ঢাকা ১০:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত স্বৈরাচার পতনে ক্রীড়ানকের ভুমিকা পালন করে আবু সাঈদের মৃত্যু পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ আটক ১ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে

গত দুই নির্বাচনের বিতর্কের চাপে : সিইসি

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ০৪:২২:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১৯১ Time View

২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে যে বিতর্ক আছে তার চাপ বর্তমান ইসির ওপর এসে পড়েছে। তাই এ কমিশনের দায়িত্ব বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

রোববার (১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, আস্থার সংকটই নির্বাচনের আসল সংকট। সেটি যেন তৈরি না হয়, সেজন্য দায়িত্ব পালনে সজাগ থাকতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দেশে যে দুটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলোর বিতর্কের চাপ বর্তমান কমিশনের ওপর পড়েছে। এজন্য এই কমিশনের দায়িত্ব অনেক বেশি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনের বিতর্কের চাপ আমাদের ওপর এসে পড়েছে। তাই আমাদের দায়িত্ব বেশি।

আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে ইসি। আমরা আগামীতে যে নির্বাচন করতে যাচ্ছি এই নির্বাচনের বিশেষ দিক হচ্ছে অভিযোগের মাত্রা অতিরিক্ত।

নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা-বিতর্ক থাকতে পারে। অতীতে, এমনকি ব্রিটিশ আমলেও নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হয়েছে বলে জানান তিনি।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে, ক্রেডিবল বলে একটা শব্দ আছে।

এই শব্দটা শুধু আমাদের দেশের আইনে নয়, সব দেশের আইনে এবং আন্তর্জাতিক যে আইসিসিপিআর আছে ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস, সেখানেও ডেমোক্রেসির ক্ষেত্রে এই শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে; নির্বাচনগুলো ক্রেডিবল হতে হবে।

ক্রেডিবল তখনই হবে যখন আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছতা প্রতিপাদিত করতে পারব।

ডিজিটাল প্রযুক্তি থাকায় এটা সম্ভব মন্তব্য করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, মিডিয়ার কর্মীরা তাৎক্ষণিক তথ্যগুলো ধারণ করে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারেন।

এদিক থেকে জবাবদিহিতা অনেক সহজ হয়ে গেছে এবং নির্বাচনের স্বচ্ছতা, এটা শুধু অবাধ হবে তা না—এটা স্বচ্ছভাবে হচ্ছে দেখা যেতে হবে।

এসময় সব নির্বাচনী কর্মকর্তাকে নিরপেক্ষতার সঙ্গে ভোট অনুষ্ঠানে কাজ করার আহ্বান জানান সিইসি।

বক্তব্য রাখার আগে জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।

Please Share This Post in Your Social Media

গত দুই নির্বাচনের বিতর্কের চাপে : সিইসি

স্টাফ রিপোর্টার
Update Time : ০৪:২২:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩

২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে যে বিতর্ক আছে তার চাপ বর্তমান ইসির ওপর এসে পড়েছে। তাই এ কমিশনের দায়িত্ব বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

রোববার (১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, আস্থার সংকটই নির্বাচনের আসল সংকট। সেটি যেন তৈরি না হয়, সেজন্য দায়িত্ব পালনে সজাগ থাকতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দেশে যে দুটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলোর বিতর্কের চাপ বর্তমান কমিশনের ওপর পড়েছে। এজন্য এই কমিশনের দায়িত্ব অনেক বেশি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনের বিতর্কের চাপ আমাদের ওপর এসে পড়েছে। তাই আমাদের দায়িত্ব বেশি।

আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে ইসি। আমরা আগামীতে যে নির্বাচন করতে যাচ্ছি এই নির্বাচনের বিশেষ দিক হচ্ছে অভিযোগের মাত্রা অতিরিক্ত।

নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা-বিতর্ক থাকতে পারে। অতীতে, এমনকি ব্রিটিশ আমলেও নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হয়েছে বলে জানান তিনি।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে, ক্রেডিবল বলে একটা শব্দ আছে।

এই শব্দটা শুধু আমাদের দেশের আইনে নয়, সব দেশের আইনে এবং আন্তর্জাতিক যে আইসিসিপিআর আছে ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস, সেখানেও ডেমোক্রেসির ক্ষেত্রে এই শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে; নির্বাচনগুলো ক্রেডিবল হতে হবে।

ক্রেডিবল তখনই হবে যখন আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছতা প্রতিপাদিত করতে পারব।

ডিজিটাল প্রযুক্তি থাকায় এটা সম্ভব মন্তব্য করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, মিডিয়ার কর্মীরা তাৎক্ষণিক তথ্যগুলো ধারণ করে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারেন।

এদিক থেকে জবাবদিহিতা অনেক সহজ হয়ে গেছে এবং নির্বাচনের স্বচ্ছতা, এটা শুধু অবাধ হবে তা না—এটা স্বচ্ছভাবে হচ্ছে দেখা যেতে হবে।

এসময় সব নির্বাচনী কর্মকর্তাকে নিরপেক্ষতার সঙ্গে ভোট অনুষ্ঠানে কাজ করার আহ্বান জানান সিইসি।

বক্তব্য রাখার আগে জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।