গণতন্ত্রকে আবারও ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে : মির্জা ফখরুল
- Update Time : ০৬:৪৫:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৪৮ Time View
জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : সংগৃহীত
গণতন্ত্রকে আবারও ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে আজ বাংলাদেশে বিভিন্ন রকমভাবে একটা প্রচেষ্টা চলছে, একটা চক্রান্ত চলছে গণতন্ত্রকে আবারও ধ্বংস করার জন্যে। সেই মুহূর্তে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সমৃদ্ধি দিবস আমাদের সেই পথেই যেতে হবে। যে পথে সত্যিকার অর্থেই আমরা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারব, একটা সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারব, জনগণের ভোটের অধিকারকে নিশ্চিত করতে পারব, বিচারের অধিকারকে নিশ্চিত করতে পারব সেই লক্ষ্যেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, বিএনপি এগিয়ে যাবে। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের গণভোট প্রশ্নের বিএনপির সঙ্গে আলোচনার যে প্রস্তাব বিএনপিকে দিয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য গতকাল দলের স্থায়ী কমিটির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত খুব পরিষ্কার আপনাদের জানিয়ে দিয়েছি। ওটাই আমাদের বক্তব্যে।
৭ নভেম্বরের পটভূমি তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সৈনিক এবং দেশপ্রেমিক মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে আধিপত্যবাদের চক্রান্তকে বানচাল করে দেয় এবং এই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং মহানায়ক রাষ্ট্রনায়ক স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে গৃহবন্দি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে তাকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। এটা ছিল বাংলাদেশের অগ্রগতির একটা টার্নিং পয়েন্ট।
শহীদ জিয়াউর রহমান একদলীয় ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ফেরত নিয়ে আসেন। মাল্টি পার্টি ডেমোক্রেসি তিনি চর্চা করেন, তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দেন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করেন এবং জনগণের গণতান্ত্রিক যে অধিকার সে অধিকারকে তিনি নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন। তার রাষ্ট্র পরিচালনার মাত্র চার বছর মধ্যে তিনি বাংলাদেশে একদিকে রাষ্ট্র ব্যবস্থার, রাজনৈতিক অবস্থা অন্যদিকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আমূল সংস্কার সাধন করেন এবং একদলীয় বাকশাল থেকে তিনি বহুদিনের গণতন্ত্রে নিয়ে আসেন।
দেশে মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে উন্নয়নে অগ্রযাত্রা সূচনা করে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশকে সুখী, সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মাণের ভিত্তি নির্মাণ করেছিলেন তিনি। সেই ভিত্তি পরবর্তীকালে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপি মহাসচিব দলের স্থায়ী কমিটির মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, এ জেড এম জাহিদ হোসেনকে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে যান এবং পুষ্পমাল্য অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এ সময়ে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদসহ মহানগর উত্তর আমিনুল হক, দক্ষিণ রফিকুল আলম মজনু, তানভীর আহমেদ রবিনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির পুস্পস্তবক অর্পণের পরে মহানগর বিএনপি, মুক্তিযোদ্ধা দল, মহিলা দল, যুব দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ড্যাব, এ্যাব, ছাত্র দল, তাঁতী দল, মস্যজীবী দলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা আলাদাভাবে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
এদিকে, ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ঢাকাসহ সারা দেশে র্যালি বের করবে বিএনপি। রাজধানীতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমবেত হয়ে এই র্যালি শুরু হবে বিকেল ৩টায়। ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিনের যৌথ উদ্যোগে র্যালিটি কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক, মগবাজার, বাংলামটর হয়ে সোনারগাঁও হোটেল মোড়ে এসে শেষে হবে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়






































































































































































































