খুলনায় জাহিদ হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

- Update Time : ০৫:৩৫:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
- / ৮৯ Time View
খুলনার খালিশপুরের আলোচিত জাহিদ হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডও দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে খুলনার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জুয়েল রানা এ রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়া মামলার সাত আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া একই আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার আরেক ভিকটিম নিহত জাহিদের বড় ভাই জাবেদকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যাচেষ্টা ও আহত করার অভিযোগে দণ্ডবিধি ৩২৪ ও ৩০৭ ধারায় ৩ বছর ও ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে আলাদাভাবে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয়মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন: মো. আব্বাস আনসারী, মো. নশু ফরাজী, মো. রিয়াজ, মো. নাদিম ও মো. জব্বার।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন: মো. ইব্রা আর আলাম আসিফ, মো. রানা হোসেন, সুলতান ওরফে গব্বার, পাতলা সাগর, মো. ওমর ফারুক ওরফে আরিফ, মো. মেহেদী হাসান ওরফে প্যাকেট মেহেদী ও মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ।
আদালতের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক শাহিন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর খালিশপুর হাউজিং এস্টেট এলাকার বাসিন্দা সাব্বির হোসেনের বড় ছেলে জাবেদ বাসা থেকে চিত্রালী বাজারের উদ্দেশ্যে বের হন। পথিমধ্যে বঙ্গবাসী মোড়ের জাহাঙ্গীরের চালের (মুদি) দোকানের সামনে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর আক্রমণ করে। এ ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন। আক্রমণের ঘটনা জানতে পেরে জাবেদের দুই ভাই মো. সুমন ও জাহিদ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ সময় এ মামলার আসামিরা ছোটভাই মো. সুমনকে জাপটে রেখে তার মেজভাই জাহিদকে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকেন।
পরবর্তীতে জাহিদ চিৎকার করতে থাকলে ঘটনাস্থলে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যান। এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক জাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর দিন নিহত জাহিদের ছোট ভাই মো. সুমন বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে নগরীর খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার প্রায় ৭ বছর ১০ মাস পর আজ রায় ঘোষণা করা হয়েছে।