ঢাকা ১১:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুঁটি গাড়তেই খোঁজ মিললো ১৪২ বছরের পুরনো মানমন্দিরের

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৬:৩২:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / ২০৮ Time View

যুক্তরাষ্ট্রে এখন গ্রীষ্মের শুরু। বইছে প্রচণ্ড দাবদাহ। এই সময়ে মিশিগান ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে আবাসিক হলের বাইরে হেমক (দোলনা) খুঁটি স্থাপনের সময় কঠিন বস্তুর সন্ধান পেয়েছেন নির্মাণশ্রমিকরা, যা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

পরিদর্শক দল তদন্ত করার পর জানায়, এটি ১৪২ বছরের পুরোনো মানমন্দির। ১৯২০-এর দশকে ভেঙে ফেলা হয়েছিল। ধ্বংসাবশেষ চাপা পড়েছিল মাটির নিচে।

মানমন্দির হলো এমন একটি জায়গা, যা স্থলজগত্, সামুদ্রিক বা মহাকাশবিজ্ঞানের ঘটনা পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহূত হয়।

ঐতিহাসিক মানমন্দিরগুলো জ্যোতির্বিদ্যা-সংক্রান্ত সেক্সট্যান্ট (নক্ষত্রের মধ্যে দূরত্ব পরিমাপের জন্য) বা স্টোনহেঞ্জ (যার জ্যোতির্বিদ্যা-সংক্রান্ত ঘটনাগুলোর কিছু প্রান্তিককরণ রয়েছে) ধারণ করার মতোই উপযোগী ছিল।

জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কিত মানমন্দিরগুলোকে প্রধানত চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, মহাকাশভিত্তিক, বায়ুবাহিত, স্থলভিত্তিক ও ভূগর্ভভিত্তিক।

মিশিগান ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে এই আবিষ্কার এখন বিরল প্রত্নতাত্ত্বিক অভিজ্ঞতা অর্জনের সহায়ক শিক্ষার্থীদের জন্য। এমন এক সুযোগ, যার অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের বিদেশে যেতে হতো।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাস প্রত্নতত্ত্ব প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী গ্রীষ্মে খননের উদ্যোগ নেবে।

নৃবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী বেন অ্যাকেই, যিনি গত জুন মাসে ক্যাম্পাস প্রত্নতাত্ত্বিক পরিদর্শন দলের সঙ্গে মানমন্দির সাইটে প্রাথমিক জরিপ পরিচালনা করেছেন।

তিনি বলেছেন, এটি স্নাতক ও স্নাতক অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রত্নতত্ত্ব বিশ্লেষণের পেশাদার প্রশিক্ষণের একটি অপরিহার্য ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে কোনো নিদর্শন সংরক্ষণের জন্য কাজ করবে। যেখানে পেনসিল থেকে শুরু করে একটি টেলিস্কোপের টুকরা পর্যন্ত হতে পারে, যা আগে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।

মিশিগান ইউনিভার্সিটির মতে, মানমন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৮১ সালে। যেটি ভেঙে ফেলা হয় ১৯২০ সালে।

১৯৬৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় আরো একটি মানমন্দির নির্মাণ করেছিল, যা এখনো চালু আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পে সমন্বয় ও সহায়তা করে এবং প্রত্নতত্ত্ব প্রকল্পে সহযোগিতা নিশ্চিত করে, এমন কিছু সঠিকভাবে গবেষণা ও সংরক্ষণ করা হয়েছে।

প্রকল্পের পরিচালক ও নৃতত্ত্ববিদ্যার অধ্যাপক স্টেসি ক্যাম্প বলেন, ক্যাম্পাস প্রত্নতত্ত্ব প্রকল্পটি মাটির নিচের ঐতিহ্য রক্ষা ও প্রশমিত করার জন্য নকশা করা হয়েছে।

আমরা নির্মাণ প্রকল্পগুলোকে (অবকাঠামো পরিকল্পনা ও সেবাসুবিধা বিভাগ) সহযোগিতা করি। আমরা এটি নিশ্চিত করার জন্য পূর্ব-পরিকল্পনা পর্যায়ে রয়েছি। যেটি সম্ভাব্য কোনো প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানকে আঘাত করলে আমরা কিছু উপায়ে তা রক্ষা করতে পারি।

Please Share This Post in Your Social Media

খুঁটি গাড়তেই খোঁজ মিললো ১৪২ বছরের পুরনো মানমন্দিরের

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৬:৩২:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রে এখন গ্রীষ্মের শুরু। বইছে প্রচণ্ড দাবদাহ। এই সময়ে মিশিগান ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে আবাসিক হলের বাইরে হেমক (দোলনা) খুঁটি স্থাপনের সময় কঠিন বস্তুর সন্ধান পেয়েছেন নির্মাণশ্রমিকরা, যা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

পরিদর্শক দল তদন্ত করার পর জানায়, এটি ১৪২ বছরের পুরোনো মানমন্দির। ১৯২০-এর দশকে ভেঙে ফেলা হয়েছিল। ধ্বংসাবশেষ চাপা পড়েছিল মাটির নিচে।

মানমন্দির হলো এমন একটি জায়গা, যা স্থলজগত্, সামুদ্রিক বা মহাকাশবিজ্ঞানের ঘটনা পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহূত হয়।

ঐতিহাসিক মানমন্দিরগুলো জ্যোতির্বিদ্যা-সংক্রান্ত সেক্সট্যান্ট (নক্ষত্রের মধ্যে দূরত্ব পরিমাপের জন্য) বা স্টোনহেঞ্জ (যার জ্যোতির্বিদ্যা-সংক্রান্ত ঘটনাগুলোর কিছু প্রান্তিককরণ রয়েছে) ধারণ করার মতোই উপযোগী ছিল।

জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কিত মানমন্দিরগুলোকে প্রধানত চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, মহাকাশভিত্তিক, বায়ুবাহিত, স্থলভিত্তিক ও ভূগর্ভভিত্তিক।

মিশিগান ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে এই আবিষ্কার এখন বিরল প্রত্নতাত্ত্বিক অভিজ্ঞতা অর্জনের সহায়ক শিক্ষার্থীদের জন্য। এমন এক সুযোগ, যার অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের বিদেশে যেতে হতো।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাস প্রত্নতত্ত্ব প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী গ্রীষ্মে খননের উদ্যোগ নেবে।

নৃবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী বেন অ্যাকেই, যিনি গত জুন মাসে ক্যাম্পাস প্রত্নতাত্ত্বিক পরিদর্শন দলের সঙ্গে মানমন্দির সাইটে প্রাথমিক জরিপ পরিচালনা করেছেন।

তিনি বলেছেন, এটি স্নাতক ও স্নাতক অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রত্নতত্ত্ব বিশ্লেষণের পেশাদার প্রশিক্ষণের একটি অপরিহার্য ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে কোনো নিদর্শন সংরক্ষণের জন্য কাজ করবে। যেখানে পেনসিল থেকে শুরু করে একটি টেলিস্কোপের টুকরা পর্যন্ত হতে পারে, যা আগে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।

মিশিগান ইউনিভার্সিটির মতে, মানমন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৮১ সালে। যেটি ভেঙে ফেলা হয় ১৯২০ সালে।

১৯৬৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় আরো একটি মানমন্দির নির্মাণ করেছিল, যা এখনো চালু আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পে সমন্বয় ও সহায়তা করে এবং প্রত্নতত্ত্ব প্রকল্পে সহযোগিতা নিশ্চিত করে, এমন কিছু সঠিকভাবে গবেষণা ও সংরক্ষণ করা হয়েছে।

প্রকল্পের পরিচালক ও নৃতত্ত্ববিদ্যার অধ্যাপক স্টেসি ক্যাম্প বলেন, ক্যাম্পাস প্রত্নতত্ত্ব প্রকল্পটি মাটির নিচের ঐতিহ্য রক্ষা ও প্রশমিত করার জন্য নকশা করা হয়েছে।

আমরা নির্মাণ প্রকল্পগুলোকে (অবকাঠামো পরিকল্পনা ও সেবাসুবিধা বিভাগ) সহযোগিতা করি। আমরা এটি নিশ্চিত করার জন্য পূর্ব-পরিকল্পনা পর্যায়ে রয়েছি। যেটি সম্ভাব্য কোনো প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানকে আঘাত করলে আমরা কিছু উপায়ে তা রক্ষা করতে পারি।