ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রে সংক্রমণ
খালেদা জিয়া হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে
- Update Time : ০১:৪৫:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
- / ৩৭ Time View
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রে সংক্রমণ নিয়ে রোববার রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সেখানে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে। আগামী ১২ ঘণ্টা তিনি মেডিকেল বোর্ডের পর্যবেক্ষণে থাকবেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘ওনার (খালেদা জিয়া) চেস্টে (বুক) ইনফেকশন (সংক্রমণ) হয়েছে। হার্টের (হৃদ্যন্ত্র) সমস্যা আগে থেকেই ছিল।’ সংক্রমণ হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়ায় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তী ১২ ঘণ্টা ওনার (খালেদা জিয়া) অবস্থা কী হয়, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার পর খালেদা জিয়ার বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় এবং কিছু পরবর্তী সময়ে করা হবে। এর মধ্যে কিছু পরীক্ষার ফলাফল আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাওয়া যাবে। খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা নিয়ে উৎকণ্ঠিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে খালেদা জিয়া তাঁর গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। পরে স্বাস্থ্যবিষয়ক পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়। গত ১৫ অক্টোবর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এক দিন ভর্তি থাকার পর বাসায় ফেরেন তিনি।
৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতা, হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। লন্ডন ক্লিনিকে টানা ১৭ দিন চিকিৎসার পর ২৫ জানুয়ারি তিনি তাঁর ছেলে তারেক রহমানের বাসায় লন্ডনের ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেন। লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। দেশে আসার পর নিজ বাসাতেই এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীন তাঁর চিকিৎসা চলছে।
