ঢাকা ০৪:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খাবারে অরুচি হওয়ায় রান্নায় নিজেই হাত দিলেন সালমান

বিনোদন ডেস্ক
  • Update Time : ০৬:৪২:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
  • / ৫৫ Time View

ছবি : সংগৃহীত

ষাট ছুঁইছুঁই তার বয়স, সিনেমা আর পরিবার নিয়েই তার জীবন। এখনও করেননি বিয়ে। শুটিং, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা থেকে শুরু করে ছবির প্রমোশন, সবকিছু নিয়ে বেশ ভালোই ব্যস্ত থাকেন সালমান খান। হঠাৎ করেই তার মাঝেই নতুন শখ হয়েছে রান্না করার।

নিত্যদিন ক্লান্ত শরীরেও হেঁশেলে ঢুকে হাতা-খুন্তি নাড়ছেন। বানিয়ে ফেলছেন রকমারি সব পদ। ঘটনাটা কী?

জানা গেছে, একঘেয়ে খাবার খেয়ে নাকি রুচি চলে গেছে সালমানের। পোলাও-বিরিয়ানি দূরঅস্ত, রোজকার রাজমা-চালেও অরুচি ধরেছে তার! তাই স্বাদ বদলাতে নিজেই ঢুকে পড়ছেন রান্নাঘরে।

এমনকী বাড়ির রাঁধুনিদেরও নাকি কড়া নির্দেশিকা দিয়ে ফেলেছেন, তারা যেন ওই একঘেয়ে পদ না রাঁধেন।

এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে নিজেই প্রতিদিন কাজ থেকে ফিরে রান্না করতে লেগে পড়ছেন সালমান। কখনও আচার দিয়ে সালাদ আবার কখনও বা রকমারি ডালের সঙ্গে মাংস-সহযোগে হালিমের মতো পদ বানাচ্ছেন। সালমানের নাকি এখন ‘ফিউশন ফুড’ খুব প্রিয় হয়ে উঠেছে।

আর সেজন্যই সবজি, মাংস দিয়ে রকমারি এক্সপেরিমেন্ট চালাচ্ছেন।

এক সাক্ষাৎকারে ভগ্নিপতি আয়ুষ শর্মাই এমনটা জানিয়েছেন। আয়ুষের কথায়, ভাইজান দিনে দিনে ভালো শেফ হয়ে উঠছেন। কম সময়ে কীভাবে এক পদের সঙ্গে অন্য পদ মিশিয়ে মশলা দিয়ে কষিয়ে অন্য স্বাদ আনা যায়? হেঁশেলে সেসব আবিষ্কার চলছে সালমানের। আর সেসব বাহারি ফিউশন পদের নামও সাধ করে রেখেছেন ‘মিকচার’।

শুধু তাই নয়, ফ্রিজে থাকা বাড়তি কিংবা বাসি খাবারও ফেলে না দিয়ে সেগুলোকে নিত্যনতুন স্বাদে সকলের পাতে পরিবেশন করছেন। খেতেও বেশ সুস্বাদু হচ্ছে সেগুলো।

ভগ্নিপতির কথাতেই ধারণা করা গেল যে, বিয়ে না করলেও বেশ সংসারী হয়ে উঠেছেন সালমান।

সালমানের রান্না করা সেই মিকচার কেমন, এমন প্রশ্নে আয়ুষ জানালেন, কোনও খাবার নষ্ট করা পছন্দ না সালমানের। আর স্বাদ পছন্দ না হলে একটি পদের সঙ্গে অন্য পদ মিশিয়ে স্বাদবদলের চেষ্টা করেন। এই যেমন কড়কড়ে ঢেড়শ ভাজার সঙ্গে আমের আচার মিশিয়ে দেন। সালমানের হাতে তৈরি চিকেন-মাটনের মিকচার নাকি বাড়ির সবার খুব পছন্দের।

তবে সালমানের এই রাঁধুনি অবতার কতদিন থাকবে সেটা নিয়ে সন্দিহান বাড়ির লোকেরা। কারণ ভাইজানের মেজাজ বোঝা দায়। যখন যা ইচ্ছে তাই করেন। খাবারের ক্ষেত্রেও রুচি বদলায় তার। এক পদ রোজ খান না। কাজেই নিজেই হেঁশেল যুদ্ধে নেমে পড়েন।

Please Share This Post in Your Social Media

খাবারে অরুচি হওয়ায় রান্নায় নিজেই হাত দিলেন সালমান

বিনোদন ডেস্ক
Update Time : ০৬:৪২:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

ষাট ছুঁইছুঁই তার বয়স, সিনেমা আর পরিবার নিয়েই তার জীবন। এখনও করেননি বিয়ে। শুটিং, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা থেকে শুরু করে ছবির প্রমোশন, সবকিছু নিয়ে বেশ ভালোই ব্যস্ত থাকেন সালমান খান। হঠাৎ করেই তার মাঝেই নতুন শখ হয়েছে রান্না করার।

নিত্যদিন ক্লান্ত শরীরেও হেঁশেলে ঢুকে হাতা-খুন্তি নাড়ছেন। বানিয়ে ফেলছেন রকমারি সব পদ। ঘটনাটা কী?

জানা গেছে, একঘেয়ে খাবার খেয়ে নাকি রুচি চলে গেছে সালমানের। পোলাও-বিরিয়ানি দূরঅস্ত, রোজকার রাজমা-চালেও অরুচি ধরেছে তার! তাই স্বাদ বদলাতে নিজেই ঢুকে পড়ছেন রান্নাঘরে।

এমনকী বাড়ির রাঁধুনিদেরও নাকি কড়া নির্দেশিকা দিয়ে ফেলেছেন, তারা যেন ওই একঘেয়ে পদ না রাঁধেন।

এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে নিজেই প্রতিদিন কাজ থেকে ফিরে রান্না করতে লেগে পড়ছেন সালমান। কখনও আচার দিয়ে সালাদ আবার কখনও বা রকমারি ডালের সঙ্গে মাংস-সহযোগে হালিমের মতো পদ বানাচ্ছেন। সালমানের নাকি এখন ‘ফিউশন ফুড’ খুব প্রিয় হয়ে উঠেছে।

আর সেজন্যই সবজি, মাংস দিয়ে রকমারি এক্সপেরিমেন্ট চালাচ্ছেন।

এক সাক্ষাৎকারে ভগ্নিপতি আয়ুষ শর্মাই এমনটা জানিয়েছেন। আয়ুষের কথায়, ভাইজান দিনে দিনে ভালো শেফ হয়ে উঠছেন। কম সময়ে কীভাবে এক পদের সঙ্গে অন্য পদ মিশিয়ে মশলা দিয়ে কষিয়ে অন্য স্বাদ আনা যায়? হেঁশেলে সেসব আবিষ্কার চলছে সালমানের। আর সেসব বাহারি ফিউশন পদের নামও সাধ করে রেখেছেন ‘মিকচার’।

শুধু তাই নয়, ফ্রিজে থাকা বাড়তি কিংবা বাসি খাবারও ফেলে না দিয়ে সেগুলোকে নিত্যনতুন স্বাদে সকলের পাতে পরিবেশন করছেন। খেতেও বেশ সুস্বাদু হচ্ছে সেগুলো।

ভগ্নিপতির কথাতেই ধারণা করা গেল যে, বিয়ে না করলেও বেশ সংসারী হয়ে উঠেছেন সালমান।

সালমানের রান্না করা সেই মিকচার কেমন, এমন প্রশ্নে আয়ুষ জানালেন, কোনও খাবার নষ্ট করা পছন্দ না সালমানের। আর স্বাদ পছন্দ না হলে একটি পদের সঙ্গে অন্য পদ মিশিয়ে স্বাদবদলের চেষ্টা করেন। এই যেমন কড়কড়ে ঢেড়শ ভাজার সঙ্গে আমের আচার মিশিয়ে দেন। সালমানের হাতে তৈরি চিকেন-মাটনের মিকচার নাকি বাড়ির সবার খুব পছন্দের।

তবে সালমানের এই রাঁধুনি অবতার কতদিন থাকবে সেটা নিয়ে সন্দিহান বাড়ির লোকেরা। কারণ ভাইজানের মেজাজ বোঝা দায়। যখন যা ইচ্ছে তাই করেন। খাবারের ক্ষেত্রেও রুচি বদলায় তার। এক পদ রোজ খান না। কাজেই নিজেই হেঁশেল যুদ্ধে নেমে পড়েন।