ঢাকা ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
বাকৃবিতে নারী হয়ে নিজের সহপাঠীর অপ্রীতিকর ছবি সিনিয়র ভাইকে পাঠানোর অভিযোগ ‘লগি-বৈঠার তাণ্ডবের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে’ তিন বিচারপতিকে শোকজের তথ্য সত্য নয়: সুপ্রিম কোর্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক জেলা কারাগার পরিদর্শন গণপূর্তে একটি অনিয়ম ঢাকতে আরেকটি অনিয়ম এনা পরিবহনের ১২ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় নতুন মোড় মসজিদের খতিব ‘অপহরণে’ পুলিশের তদন্তে যা এলো সিটি ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ অবিলম্বে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ না করলে কঠোর কর্মসূচীর হুমকি সাংবাদিকদের রায় ছিঁড়ে ক্ষমতার দাপট দেখানো সেই জেলা জজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে

ক্ষোভের মুখে কর্মস্থল ত্যাগের ঘোষণা দিলেন জেলা জজ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
  • Update Time : ০২:৩৪:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৭১ Time View

শরীয়তপুরের জেলা জজ সোলায়মান

বিচার প্রার্থীদের ক্ষোভের মুখে কর্মস্থল ত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন শরীয়তপুরের জেলা জজ সোলায়মান। বুধবার ‘সাধারণ বিচার প্রার্থীদের’ ব্যানারে আইনজীবীরা তাঁর বিরুদ্ধে কোর্ট চত্বরে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করে। মামলা বর্জন করে আইনজীবীরা সকাল থেকে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে থাকেন। কোর্ট চত্বরে জেলা জজের বিরুদ্ধে ব্যানার নিয়ে অবস্থান করেন। এতে কোর্টে অচল অবস্থা সৃষ্টি হয়।

এক পর্যায়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম কাসেম এবং সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে জজের অফিসে যান। বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে সেখানে আইনজীবী সমিতির নেতাদের কাছে তিনি কর্মস্থল শরীয়তপুর ত্যাগ করার কথা জানান। এমনকি তিনি শরীয়তপুরে আর থাকবেন না বলেও জানান। আজ থেকে মামলার কোনো কাজও করবেন না বলে আইনজীবী নেতাদের আশ্বস্ত করেন।

জেলা জজ বলেন, ‘আজ থেকে আমি আর কোর্ট করবো না। শরীয়তপুরেও থাকবো না।’

জেলা জজের এ আশ্বাস পেয়ে আইনজীবী সমিতির নেতারা বিক্ষাভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং কর্মসূচি স্থগিতের আহ্বান জানান।

আইনজীবী নেতাদের মাধ্যমে জেলা জজের কর্মস্থল ত্যাগের খবর পেয়ে বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করেন।

শরীয়তপুর কোর্টে কর্মরত একজন আইনজীবী বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে মানববন্ধন করার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলাম। পরে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জজের সাথে সাক্ষাৎ করে আমাদেরকে মানববন্ধন স্থগিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদের সকল দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। তিনি আর শরীয়তপুর কোর্টে মামলা শুনানি করবেন না।’

প্রসঙ্গত, দৈনিক নওরোজের প্রিন্ট ও অনলাইন ভার্সনে শরীয়তপুর জেলা জজের বিরুদ্ধে তার দুর্নীতি অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের ধারাবাহিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে বিচার প্রার্থী ও স্থানীয়দের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এর প্রেক্ষিতে বিচার বিভাগ তার ব্যাপারে নড়ে চড়ে বসে।

Please Share This Post in Your Social Media

ক্ষোভের মুখে কর্মস্থল ত্যাগের ঘোষণা দিলেন জেলা জজ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
Update Time : ০২:৩৪:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

বিচার প্রার্থীদের ক্ষোভের মুখে কর্মস্থল ত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন শরীয়তপুরের জেলা জজ সোলায়মান। বুধবার ‘সাধারণ বিচার প্রার্থীদের’ ব্যানারে আইনজীবীরা তাঁর বিরুদ্ধে কোর্ট চত্বরে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করে। মামলা বর্জন করে আইনজীবীরা সকাল থেকে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে থাকেন। কোর্ট চত্বরে জেলা জজের বিরুদ্ধে ব্যানার নিয়ে অবস্থান করেন। এতে কোর্টে অচল অবস্থা সৃষ্টি হয়।

এক পর্যায়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম কাসেম এবং সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে জজের অফিসে যান। বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে সেখানে আইনজীবী সমিতির নেতাদের কাছে তিনি কর্মস্থল শরীয়তপুর ত্যাগ করার কথা জানান। এমনকি তিনি শরীয়তপুরে আর থাকবেন না বলেও জানান। আজ থেকে মামলার কোনো কাজও করবেন না বলে আইনজীবী নেতাদের আশ্বস্ত করেন।

জেলা জজ বলেন, ‘আজ থেকে আমি আর কোর্ট করবো না। শরীয়তপুরেও থাকবো না।’

জেলা জজের এ আশ্বাস পেয়ে আইনজীবী সমিতির নেতারা বিক্ষাভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং কর্মসূচি স্থগিতের আহ্বান জানান।

আইনজীবী নেতাদের মাধ্যমে জেলা জজের কর্মস্থল ত্যাগের খবর পেয়ে বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করেন।

শরীয়তপুর কোর্টে কর্মরত একজন আইনজীবী বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে মানববন্ধন করার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলাম। পরে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জজের সাথে সাক্ষাৎ করে আমাদেরকে মানববন্ধন স্থগিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদের সকল দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। তিনি আর শরীয়তপুর কোর্টে মামলা শুনানি করবেন না।’

প্রসঙ্গত, দৈনিক নওরোজের প্রিন্ট ও অনলাইন ভার্সনে শরীয়তপুর জেলা জজের বিরুদ্ধে তার দুর্নীতি অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের ধারাবাহিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে বিচার প্রার্থী ও স্থানীয়দের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এর প্রেক্ষিতে বিচার বিভাগ তার ব্যাপারে নড়ে চড়ে বসে।