ঢাকা ০৫:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
পুলিশ হেফাজতে রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামী এসআই আকবরের জামিনে মুক্তি মৌচাকে হাসপাতালের পার্কিংয়ে গাড়ি থেকে ২ মরদেহ উদ্ধার কাকে ভোট দেবেন প্রশ্নে সিদ্ধান্তহীনতায় ৪৮.৫০ শতাংশ ভোটার মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক‍্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ কুয়ালালামপুর পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা হত্যা মামলায় সোলায়মান সেলিম রিমান্ডে ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা বিএনপি সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চায়: তারেক রহমান চাঁদাবাজির মামলায় একাত্তর টিভির সাবেক প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু গ্রেপ্তার সাগর-রুনি হত্যা, ১২০ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন

ক্যানসার ও হৃদরোগের টিকা আসছে

Reporter Name
  • Update Time : ০৯:০৯:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৩৯৪ Time View

ক্যানসারসহ বিভিন্ন প্রাণঘাতী রোগের টিকা আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই আবিষ্কারের সুখবর দিয়েছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এতে লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হতে পারে। তারা বলছেন, এই টিকা নিয়ে গবেষণাগুলো দারুণ আশা দেখিয়েছে। তারা বলছেন, কোভিড টিকাকে এ জন্য ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। অল্প সময়ে কোভিডের টিকা বের হওয়ায় বিষয়টি গবেষণাকে আরো গতি দিয়েছে।

মডার্নার চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. পল বার্টন বলেছেন, ‘আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে প্রায় সব ধরনের রোগের চিকিত্সা দিতে সক্ষম হব আমরা। পুরো মাত্রায় ব্যবহারের জন্য ক্যানসার, হূদেরাগের মতো শারীরিক সমস্যার টিকা ২০৩০ সালের মধ্যেই প্রস্তুত হয়ে যাবে।’ করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা প্রতিষ্ঠানটি এখন বিভিন্ন ধরনের টিউমারকে লক্ষ্য করে ক্যানসারের ভ্যাকসিন তৈরি করছে।

তিনি বলেন, ‘আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই আমাদের কাছে এসব জটিল রোগের ভ্যাকসিন থাকবে এবং সেটি অত্যন্ত কার্যকর হবে। লাখ লাখ মানুষ এটি নিয়ে উপকৃত হবে।’ এমআরএনএ টিকার মাধ্যমে কোভিড-১৯ আক্রান্তকারী ভাইরাসের নির্দোষ স্পাইক প্রোটিনগুলোকে মানুষের শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এগুলো শরীরে জিনগত নির্দেশনা দিয়ে থাকে। নির্দেশনাগুলো টিকা নেওয়া মানুষের শরীরে তখন স্পাইক প্রোটিন তৈরি শুরু করে। এই প্রোটিন বা অ্যান্টিজেনগুলো ক্ষতিকর সেলগুলোকে শনাক্ত করতে এক ধরনের বার্তা দেয়। এরা তখন শরীরে রোগপ্রতিরোধী ব্যবস্থাকে বলে দেয় কী করতে হবে এবং কাকে খুঁজতে হবে।

বার্টন বলেন, ‘ক্যানসারের টিকা তৈরির ক্ষেত্রে একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেখানে রোগপ্রতিরোধী ব্যবস্থা ক্যানসারের সেলকে নষ্ট করে ফেলবে। আমি মনে করি, আমাদের কাছে বিরল রোগের জন্য এমআরএনএ-ভিত্তিক থেরাপি থাকবে। এখন থেকে ১০ বছর পর আমরা এমন একটি বিশ্বের কাছে চলে যাব, যেখানে আপনি সত্যিকার অর্থে একটি রোগের জেনেটিক কারণ শনাক্ত করতে পারবেন। তখন এমআরএনএ-ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটিকে ঠিক করা যাবে।’ —দ্য গার্ডিয়ান

Please Share This Post in Your Social Media

ক্যানসার ও হৃদরোগের টিকা আসছে

Reporter Name
Update Time : ০৯:০৯:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩

ক্যানসারসহ বিভিন্ন প্রাণঘাতী রোগের টিকা আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই আবিষ্কারের সুখবর দিয়েছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এতে লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হতে পারে। তারা বলছেন, এই টিকা নিয়ে গবেষণাগুলো দারুণ আশা দেখিয়েছে। তারা বলছেন, কোভিড টিকাকে এ জন্য ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। অল্প সময়ে কোভিডের টিকা বের হওয়ায় বিষয়টি গবেষণাকে আরো গতি দিয়েছে।

মডার্নার চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. পল বার্টন বলেছেন, ‘আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে প্রায় সব ধরনের রোগের চিকিত্সা দিতে সক্ষম হব আমরা। পুরো মাত্রায় ব্যবহারের জন্য ক্যানসার, হূদেরাগের মতো শারীরিক সমস্যার টিকা ২০৩০ সালের মধ্যেই প্রস্তুত হয়ে যাবে।’ করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা প্রতিষ্ঠানটি এখন বিভিন্ন ধরনের টিউমারকে লক্ষ্য করে ক্যানসারের ভ্যাকসিন তৈরি করছে।

তিনি বলেন, ‘আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই আমাদের কাছে এসব জটিল রোগের ভ্যাকসিন থাকবে এবং সেটি অত্যন্ত কার্যকর হবে। লাখ লাখ মানুষ এটি নিয়ে উপকৃত হবে।’ এমআরএনএ টিকার মাধ্যমে কোভিড-১৯ আক্রান্তকারী ভাইরাসের নির্দোষ স্পাইক প্রোটিনগুলোকে মানুষের শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এগুলো শরীরে জিনগত নির্দেশনা দিয়ে থাকে। নির্দেশনাগুলো টিকা নেওয়া মানুষের শরীরে তখন স্পাইক প্রোটিন তৈরি শুরু করে। এই প্রোটিন বা অ্যান্টিজেনগুলো ক্ষতিকর সেলগুলোকে শনাক্ত করতে এক ধরনের বার্তা দেয়। এরা তখন শরীরে রোগপ্রতিরোধী ব্যবস্থাকে বলে দেয় কী করতে হবে এবং কাকে খুঁজতে হবে।

বার্টন বলেন, ‘ক্যানসারের টিকা তৈরির ক্ষেত্রে একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেখানে রোগপ্রতিরোধী ব্যবস্থা ক্যানসারের সেলকে নষ্ট করে ফেলবে। আমি মনে করি, আমাদের কাছে বিরল রোগের জন্য এমআরএনএ-ভিত্তিক থেরাপি থাকবে। এখন থেকে ১০ বছর পর আমরা এমন একটি বিশ্বের কাছে চলে যাব, যেখানে আপনি সত্যিকার অর্থে একটি রোগের জেনেটিক কারণ শনাক্ত করতে পারবেন। তখন এমআরএনএ-ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটিকে ঠিক করা যাবে।’ —দ্য গার্ডিয়ান