ঢাকা ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটা আন্দোলন: নোয়াখালীতে থানায় গুলির অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:৫৮:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৬৯ Time View

নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানায় গুলির অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইমঅ্যান্ড অপস্) মোহাম্মদ ইব্রাহীম।

পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ চলাকালীন দুর্বৃত্ত কারীদের মধ্য থেকে কেউ সুধারাম মডেল থানায় অবস্থানরত পুলিশ সদস্যদেরকে উদ্দেশ্য করে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে এক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। এসময় বিভিন্ন দিক থেকে দুর্বৃত্তকারীরা থানায় অবস্থানরত পুলিশ সদস্যদের কে উদ্দেশ্য করে ইট-পাটকেল এবং ঢিল ছুঁড়তে থাকে। এতে প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও থানা বিল্ডিংয়ের জানালার কাঁচ ভেঙ্গে চৌচির হয়ে যাওয়াসহ ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইমঅ্যান্ড অপস্) মোহাম্মদ ইব্রাহীম আরও বলেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এর আগে, শনিবার বিকেল চলমান শান্তিপূর্ণ কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলা, মামলা, হত্যার বিচার সহ ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে নোয়াখালীতে ছাত্র, শিক্ষক-জনতার সমন্বয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ উঠেছে,আন্দোলনকারীদের ওই বিক্ষোভ মিছিল থেকে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ-ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ সময় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

স্থানীয়রা জানায়, বৃষ্টির বাঁধা উপেক্ষা করে জেলা শহরের মাইজদী বাজার থেকে ছাত্র জনতার সমন্বয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিলা স্কুলের সামনের প্রধান সড়কে এসে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

এসময় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, চৌমুহনী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও জনতা নিহতের সহপাঠীদের হত্যার বিচার ও দাবি মেনে নিতে বিভিন্ন শ্লোগানে ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

এছাড়াও আটক শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি, দমন-নিপীড়ন বন্ধ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।

Please Share This Post in Your Social Media

কোটা আন্দোলন: নোয়াখালীতে থানায় গুলির অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
Update Time : ১০:৫৮:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানায় গুলির অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইমঅ্যান্ড অপস্) মোহাম্মদ ইব্রাহীম।

পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ চলাকালীন দুর্বৃত্ত কারীদের মধ্য থেকে কেউ সুধারাম মডেল থানায় অবস্থানরত পুলিশ সদস্যদেরকে উদ্দেশ্য করে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে এক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। এসময় বিভিন্ন দিক থেকে দুর্বৃত্তকারীরা থানায় অবস্থানরত পুলিশ সদস্যদের কে উদ্দেশ্য করে ইট-পাটকেল এবং ঢিল ছুঁড়তে থাকে। এতে প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও থানা বিল্ডিংয়ের জানালার কাঁচ ভেঙ্গে চৌচির হয়ে যাওয়াসহ ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইমঅ্যান্ড অপস্) মোহাম্মদ ইব্রাহীম আরও বলেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এর আগে, শনিবার বিকেল চলমান শান্তিপূর্ণ কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলা, মামলা, হত্যার বিচার সহ ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে নোয়াখালীতে ছাত্র, শিক্ষক-জনতার সমন্বয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ উঠেছে,আন্দোলনকারীদের ওই বিক্ষোভ মিছিল থেকে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ-ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ সময় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

স্থানীয়রা জানায়, বৃষ্টির বাঁধা উপেক্ষা করে জেলা শহরের মাইজদী বাজার থেকে ছাত্র জনতার সমন্বয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিলা স্কুলের সামনের প্রধান সড়কে এসে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

এসময় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, চৌমুহনী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও জনতা নিহতের সহপাঠীদের হত্যার বিচার ও দাবি মেনে নিতে বিভিন্ন শ্লোগানে ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

এছাড়াও আটক শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি, দমন-নিপীড়ন বন্ধ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।