ঢাকা ১০:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ৭ জন কারাগারে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগের টিকিট বাণিজ্য ধর্ষণের বিরুদ্ধে কুবিতে মানববন্ধন 

কোচিংয়ে যাওয়ার পথে ছাত্রীকে অপহরণ,অতঃপর

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৩:৩১:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১৮ Time View

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় অপহৃত স্কুলছাত্রীকে (১৫) উদ্ধার করেছে র‍্যাব-১১। এসময় এক অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে আসামিকে বিচারিক আদালতে হাজির করা হবে। এর আগে, গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার নোয়াখালী মতিপুর গ্রাম থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রী ও অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আবুল হোসেন হৃদয় (২৪) সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের মতিপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

র‍্যাব-১ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষার্থী (১৫) স্থানীয় বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী। আসামি আবুল হোসেন হৃদয় স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য। হৃদয় ওই ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে পথরোধ করে প্রেম নিবেদন করাসহ বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ভুক্তভোগী তার মাসহ কোচিংয়ে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে আসা মাত্র হৃদয় ও অপর আসামিরা আগে থেকে ওঁতপেতে থাকা একটি কালো রঙের হাইস মাইক্রোবাস থেকে নেমে ভুক্তভোগীর মাকে ধাক্কা মেরে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। পরে তারা ভুক্তভোগীকে অপহরণ করে মাইক্রোবাস যোগে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে ভিকটিমের বাবা নিজে বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন এবং আদালতের আদেশে ১৬ ফেব্রুয়ারি সুধারাম মডেল থানায় মামলাটি দায়ের হয়।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালীর অভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মতিপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে আসামি ও অপহরণের শিকার শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় অপহৃতকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর তাদের সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

অপহরণের শিকার ভুক্তভোগী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেবেন এবং আসামিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

কোচিংয়ে যাওয়ার পথে ছাত্রীকে অপহরণ,অতঃপর

নোয়াখালী প্রতিনিধি
Update Time : ০৩:৩১:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় অপহৃত স্কুলছাত্রীকে (১৫) উদ্ধার করেছে র‍্যাব-১১। এসময় এক অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে আসামিকে বিচারিক আদালতে হাজির করা হবে। এর আগে, গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার নোয়াখালী মতিপুর গ্রাম থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রী ও অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আবুল হোসেন হৃদয় (২৪) সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের মতিপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

র‍্যাব-১ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষার্থী (১৫) স্থানীয় বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী। আসামি আবুল হোসেন হৃদয় স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য। হৃদয় ওই ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে পথরোধ করে প্রেম নিবেদন করাসহ বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ভুক্তভোগী তার মাসহ কোচিংয়ে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে আসা মাত্র হৃদয় ও অপর আসামিরা আগে থেকে ওঁতপেতে থাকা একটি কালো রঙের হাইস মাইক্রোবাস থেকে নেমে ভুক্তভোগীর মাকে ধাক্কা মেরে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। পরে তারা ভুক্তভোগীকে অপহরণ করে মাইক্রোবাস যোগে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে ভিকটিমের বাবা নিজে বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন এবং আদালতের আদেশে ১৬ ফেব্রুয়ারি সুধারাম মডেল থানায় মামলাটি দায়ের হয়।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালীর অভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মতিপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে আসামি ও অপহরণের শিকার শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় অপহৃতকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর তাদের সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

অপহরণের শিকার ভুক্তভোগী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেবেন এবং আসামিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।