কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ফিলিপনগরে টুকু,গিট্টু সোহাগ ও লালচাঁদ বাহিনীর দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

- Update Time : ০৫:৪৬:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৮১ Time View
কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নে বর্তমান ” গিট্টু সোহাগ ও টুকু” এবং প্রয়াত সন্ত্রাসী লালচাঁদ বাহিনীর আতংকে অতিষ্ঠ জনগন ও জমি এবং বাথানের গরু মালিকরা।ফিলিপনগর ইউনিয়নের বিষয়ে কেউ বলছেন সন্ত্রাসের জনপদ,কেউবা বলে থাকেন বর্তমান “গিট্টু সোহাগ ও টুকু” এবং প্রয়াত লালচাঁদ বাহিনীদের অভয়ারণ্য।এই জনপদের মানুষ এখন নির্বিঘ্নে,নিরাপদে,শান্তিতে বসবাস করতে পারছে না।প্রকাশ্যে স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহড়া,গোলাগুলি এই এলাকায় যেন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।এক সময়ের উঠতি বয়সের কিশোরগ্যাং বর্তমান সন্ত্রাসীরা বাহিনী,যার নেপথ্যে আমিরুল,একাধিক হত্যা মামলা সহ অন্যান্য মামলার আসামী ও অস্ত্র ব্যাবসায়ী তরিকুল ইসলাম টুকু।বর্তমান ফিলিপনগরের বাসিন্দা,চিলমারী,মরিচা ও রাজশাহী বাঘা থানার চরাঞ্চলে ত্রাস,জমিদস্যু,ডাকাত,গরুর বাথানের রাখাল ও মালিকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজ গিট্টু-সোহাগ,গিট্টুর ভাই জিল্লু,রিন্টু গিট্টু,শামীম,আল আমীন,রওশন,রাসেল,লালন,হিমেল মেকার।এদিকে প্রয়াত লালচাঁদ বাহিনীর সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা-সুকচাঁদ,সুকচাদের ছেলে বিপ্লব ও বিমল,নাহারুলের ছেলে মামুন,নিজাম গংরা।
উল্লেখিত সন্ত্রাসী দুই বাহিনী সদস্যদের গডফাদার তরিকুল ইসলাম টুকু।তবে সকলের নামে একাধিক হত্যা মামলা,হত্যাচেষ্টা,চাঁদাবাজি,মারামারি সহ একাধিক মামলা রয়েছে।গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি,পরপর তিন বারের ফিলিপনগর ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টুকে তাঁর অফিসে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সরাসরি অংশগ্রহণ ছিল”গিট্টু সোহাগ ও টুকু বাহিনীরা।এছাড়া, ২০২৩ সালে দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চক দৌলতপুর গ্রামের মারুফ হত্যাকাণ্ডেয়ো “গিট্টু-সোহাগ” ও লালনের নাম জড়িত ছিল।তদন্তে বেরিয়ে এসেছে এই দুই জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের গোপন তথ্য,যা সিআইডি পুনরায় তদন্ত করছে।তবে,ফিলিপনগর ইউনিয়নের প্রয়াত চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টু হত্যার পর জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত হয়ে আবারও ফিলিপনগর এলাকায় সন্ত্রাস ছড়িয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত করেছে।
“গিট্টু- সোহাগ ও টুকু এবং লালচাঁদ” বাহিনীর গ্যাংরা।তারা নিয়মিত চাঁদাবাজি,জমি দখল,অস্ত্র বাণিজ্যসহ নানা অপরাধ করেই চলেছে।ফিলিপনগরের চরাঞ্চলের সাধারণ মানুষ এই সন্ত্রাসীদের জিম্মি হয়ে প্রাননাশের ভয়ে প্রশাসনের দারস্ত হতে ভয় পাচ্ছে।এই সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান তরিকুল ইসলাম টুকু,যিনি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার চারাবটতলা এলাকায় থেকে অপকর্ম নিয়ন্ত্রণ করেন নিয়মিত।তবে চরাঞ্চলে সকল অপকর্মের সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের অপরাধের বিবরন,নাম ঠিকানা,যাহা স্থানীয় তথ্যমতে,জেলার গোয়েন্দা সংস্থার সকল ইউনিট,বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াতে সকল বিষয়ে তথ্য প্রদান ও খবর প্রকাশ হয়েছে।বিশেষ করে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পুলিশ কিছুটা নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগে ও দৌলতপুর উপজেলার বিএনপির সভাপতি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা,তাঁর ভাই শামীম মোল্লা ও বাচ্চু মোল্লার ছেলে শিশির মোল্লা এবং দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অস্ত্র ও মাদক ব্যাবসায়ী বিল্লাল হোসেন(সাবেক চেয়ারম্যান) এদের কারনেই ফিলিনগর,চিলমারী,মরিচার চরাঞ্চলে এলাকায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ফিলিপনগর ইউনিয়নের”গিট্টু সোহাগ ও টুকু এবং প্রয়াত সন্ত্রাসী লালচাঁদ”বাহিনীর সন্ত্রাসী বাহিনীরা।
কয়েকদিন সরেজমিন অনুসন্ধান চালানোর মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসে নিরাপত্তা নিয়ে এই এলাকার মানুষের অতিমাত্রায় উদ্বেগের বিষয়টি।
ইতিমধ্যে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের অন্তর্ভুক্ত দৌলতপুর থানা,জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি,কুষ্টিয়ার মিরপুর বিজিবি,র্যাব-১২,কুষ্টিয়ার সিপিসি-১ এবং কুষ্টিয়া জেলা সেনাবাহিনী বিশেষ বিশেষ অপারেশনে নামকরা ও তালিকাভুক্ত বেশ কিছু সন্ত্রাসী,শ্যুটার,কন্টাক কিলার,ডাকাত ও চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় এনে জেল হাজতে পাঠিয়েছে কুষ্টিয়া জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।তবে উল্লেখিত বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,সন্ত্রাসী যেই হোক,কোনো ছাড় দেওয়া হবেনা,সংশ্লিষ্ট থানাতে বা আমার কাছে কেউ অভিযোগ করলে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।এছাড়া জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সকল ইউনিটে অবগত করা আছে বিষয়গুলো।এদিকে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,দৌলতপুর থানাধীন ফিলিপনগর,চিলমারী,মরিচা এই তিন ইউনিয়নের চরাঞ্চলের সন্ত্রাসী “গিট্টু-সোহাগ,টুকু ও লালচাঁদ বাহিনীদের বর্তমান আইনবিরোধী কার্যক্রম বিষয়ে আমরা কাজ করছি,বিষয়টি নিয়ে আমাদের কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সহ জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সকল ইউনিট কাজ করছে।