গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদ
কুবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

- Update Time : ০৭:২৯:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
- / ৯৯ Time View
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকাল পাঁচটার দিকে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে হামলার নিন্দা জানান এবং জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘গোপালগঞ্জের গোলাপি, আর কতকাল জ্বালাবি?’, ‘৩২ গেছে যে পথে, টুঙ্গিপাড়া যাবে সেপথে’, ‘গোপালগঞ্জে হামলা কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘বীর বাঙালি লাঠি ধরো, গোপালগঞ্জ স্বাধীন করো’, ‘জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
চল্লিশ মিনিট ধরে অবরোধ কর্মসূচি চলে। এসময় রাস্তার দুইদিকে যানজট সৃষ্টি হয়। জন ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে দ্রুত অবরোধ কর্মসূচি তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক মুহাম্মদ সাকিব হুসাইন, সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন মু. রুবেল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক আবু রায়হান ও সদস্য সচিব মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম। এছাড়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যবৃন্দসহ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলার সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন মু. রুবেল বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের অগ্রনায়কদের দেশগড়ার যে পদযাত্রা শুরু করেছেন জুলাই পদযাত্রা, সেই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জ গিয়েছিলেন। সেখানে এই অগ্রনায়কদের ওপর হামলা করে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এরই প্রতিবাদে আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক মুহাম্মদ সাকিব হুসাইন বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নায়কদের ওপর স্বৈরাচারের দোসরদের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আমরা আজকে মহাসড়ক অবরোধ করেছি। আমরা দাবি জানাচ্ছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের বিচার করতে হবে।’
উল্লেখ্য, পূর্বে ঘোষিত কর্মসূচী হিসেবে আজ (১৬ জুলাই) গোপালগঞ্জে জুলাই পদযাত্রায় যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা। এসময় সমাবেশ স্থলে চেয়ার ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ করেন গোপালগঞ্জের স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্র*লীগের কর্মীরা। রাস্তায় পুলিশ সদস্যদের মারধর ও পুলিশের কাভার্ড ভ্যানে আগুন এবং ইউএনও’র গাড়িতে হামলা করেন। সর্বশেষ তথ্যমতে উক্ত সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজন নিহতের তথ্য পাওয়া গেছে।