কুবির সাবেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শিক্ষকের প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ

- Update Time : ১০:২৩:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
- / ৪৩৫ Time View
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উদ্যোগে আয়োজিত রক্তাক্ত জুলাই-২০২৪ এর একবছর পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থাপকের দায়িত্বে থাকা প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুতাসিম বিল্লাহকে জীবন নাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাবেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের হাসান কামরুল।
শুক্রবার (১১ জুলাই) এই বিষয়ে অবহিতকরণ ও বিচারের দাবিতে প্রক্টর ড. মোঃ আব্দুল হাকিম বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী মুতাসিম বিল্লাহ।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, উপস্থাপকের দায়িত্ব পালনকালে প্রথম ব্যাচের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান কামরুল উপদেষ্টা ও প্রধান অতিথি জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে মুরাদনগর উপজেলা থেকে ফুল দেওয়ার বিষয়ে আমাকে অবহিত করে। প্রতিবারই আমি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের উপ-উপাচার্য মহোদয়কে অবহিত করতে বলি, সর্বশেষ সে আমার কাছে আসলে, আমি নিজেই উপ-উপাচার্য মহোদয়কে বিষয়টি জানাই। উপ-উপাচার্য আমাকে উপদেষ্টার সময় সংক্ষিপ্ত থাকায় স্টেজে ফুল না দিয়ে গেটে দেওয়ার বিষয়ে বলেন। এটি তাকে আমি অবহিত করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। জোরে হুংকার ছেড়ে বলে ‘উপ-উপাচার্যের খবর আছে’। আমি তাকে প্রোগ্রামে এ ধরনের অযাচিত আচরণ থেকে নিবৃত রাখার চেষ্টা করলে সে আমার উপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। হাত উচিয়ে, চোখ রাঙিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
লিখিত অভিযোগে এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার ও বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বপালনরত অবস্থায় তাকে (ভুক্তভোগী) দেওয়া সকল হুমকি-ধামকিসহ শারীরিক ও মানসিকভাবে যেন ভবিষ্যতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখোমুখি না হতে হয় সে বিষয়ে নিরাপত্তা প্রদান ও আজকের ঘটনার উপযুক্ত ন্যায্য বিচারের দাবি জানান ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী মুতাসিম বিল্লাহ বলেন, ‘আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং সেখানে আমার অনুষদে প্রথম হয়েছি। আমি সাংবাদিকতাও করেছি। বর্তমানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছি। একটি রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রাম চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যকে এবং আমাকে যে সাবেক শিক্ষার্থী হুমকি দিয়েছে, তা আমি কোনোভাবেই স্বাভাবিকভাবে নিতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগেও আমি যখন মাদকবিরোধী কাজ করছিলাম, তখন অনলাইন ও অফলাইনে নানা উপায়ে আমার কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এসব ঘটনার কারণে আমি জীবননাশের আশঙ্কা অনুভব করছি এবং তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছি। আমি দোষীর যথোপযুক্ত শাস্তি চাই এবং একইসঙ্গে আমি চাই যেন শিক্ষক হিসেবে ও প্রশাসনিক দায়িত্ব নির্ভয়ে পালন করতে পারি।’
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত হাসান কামরুলকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম বলেন, ‘মুতাসিম বিল্লাহ স্যারকে যে হুমকি দিয়েছে তাকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর আগামীকাল স্যার (ভুক্তভোগী) থানার জিডি করবেন। প্রশাসন বরাবর প্রক্টরিয়াল বডি থেকে চিঠি পাঠিয়েছি যাতে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’