ঢাকা ১০:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জাতীয় পরিচয় পত্রের কার্যক্রম সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশনে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন রমেকের ডাক্তার মাহাবুবকে চান ‘না’ সহকর্মীরা, অন্যত্র বদলির দাবি  চায়ের দোকানের আঁড়ালে মদের ব্যবসা, গ্রেফতার ২ কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস

কুবির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের গল্প সংকলন ‘কথাশিল্প’ মোড়ক উন্মোচন

কুবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৭:৩২:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
  • / ৮ Time View

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) কথাসাহিত্য বিষয়ক ছোটোকাগজ ‘কথাশিল্প’-এর প্রথম সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। এই সংখ্যার সকল গল্প বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের লেখা। এটির সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কামরুন নাহার শীলা।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাডমিন্টন কোর্টে স্নাতকোত্তর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহাগ আহমেদের সঞ্চালনায় বিভাগটির সহযোগী অধ্যাপক ড. কামরুন নাহার শীলা, সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রেজাউল ইসলাম এবং প্রভাষক মোঃ গোলাম মাহমুদ পাভেল সহ স্নাতকোত্তর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কথাসাহিত্য বিষয়ক ছোটোকাগজ কথাশিল্প-এর মোড়ক উন্মোচিত হয়।

জানা যায়, স্নাতকের তৃতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারে ‘বাংলা ছোটগল্প-০১’ পড়িয়েছিলেন ড. কামরুন নাহার শীলা। সে সময় শিক্ষার্থীদের আগ্রহে প্রত্যেকের কাছ থেকে গল্প জমা নেন। সর্বশেষ ছেচল্লিশ জন শিক্ষার্থীর লেখা এই কথাসাহিত্য বিষয়ক ছোটোকাগজে ছাপা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ১৩ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সুবর্ণা মোস্তফা বলেন, ‘আমি যখন জমা দেয়ার জন্য গল্প লিখি, তখন এই বিশাল সাহিত্যবোধের জগতে আমি খুবই নতুন। তাই এই অপরিণত সাহিত্যবোধ ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে গল্পগুলো লিখেছিলাম। এই উৎসাহ-উদ্দীপনাগুলো আসলে কখনো প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু আজকে এই গল্পগুলো রূপ পেয়েছে। তার জন্য ম্যামকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’

আরেক শিক্ষার্থী মো. তাওহীদ হোসেন সানি বলেন, ‘এর আগে কখনো গল্প বা সাহিত্য রচনা করিনি। তবে ম্যামের অনুপ্রেরণায় আমরা গল্পগুলো লিখেছি। স্নাতকোত্তরের শেষ সময়ে আমাদের গল্পগুলো পুস্তকে সংরক্ষিত হওয়ায় আমরা ম্যামের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

মো. আরিফুল ইসলাম নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের এই এলোমেলো ভাবনাগুলোকে বইয়ের মধ্য দিয়ে রূপ দিয়েছেন সেই সাথে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সুন্দর স্মৃতিগুলোর সাথে আরও একটি সুন্দর স্মৃতি যুক্ত হলো। আশা করছি এই বই এবং এই বইয়ের মধ্যে যে ছোট গল্পগুলো আছে এগুলো সামনের দিনে আমাদের সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে অন্যতম একটা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।’

 

প্রভাষক মো. গোলাম মাহমুদ পাবেল বলেন, ‘সৃজনশীল সাহিত্যের যে প্রকাশনাটি আজকে প্রকাশ হলো, সেজন্য শীলা ম্যামকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন। যাদের লেখনিতে এটা প্রকাশ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে সৃজনশীল সাহিত্য লেখার বোধ যে আছে এটা আমি জানতাম। তারা সেটার প্রমাণ রেখেছে। এই কথাসাহিত্যের মঙ্গল কামনা করি।’

বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুন নাহার শিলা বলেন, ‘আরো আগেই শিক্ষার্থীদের লেখা নিয়ে সংকলনটা প্রকাশ করার কথা ছিলো। কিন্তু নানান কারণে আমি সেটা করতে পারিনি। সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। শিক্ষার্থীরা আমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে গল্প লেখার কাজটি করেছে। সেজন্য আমার খুব ভালো লেগেছে। নানান চড়াই-উতরাই পেরিয়ে কথাশিল্প বইটির প্রকাশ শেষ করতে পেরেছি। আমার চাওয়া হবে তারা যেন এই সাহিত্য চর্চাকে ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখে।’

Please Share This Post in Your Social Media

কুবির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের গল্প সংকলন ‘কথাশিল্প’ মোড়ক উন্মোচন

কুবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৭:৩২:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) কথাসাহিত্য বিষয়ক ছোটোকাগজ ‘কথাশিল্প’-এর প্রথম সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। এই সংখ্যার সকল গল্প বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের লেখা। এটির সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কামরুন নাহার শীলা।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাডমিন্টন কোর্টে স্নাতকোত্তর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহাগ আহমেদের সঞ্চালনায় বিভাগটির সহযোগী অধ্যাপক ড. কামরুন নাহার শীলা, সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রেজাউল ইসলাম এবং প্রভাষক মোঃ গোলাম মাহমুদ পাভেল সহ স্নাতকোত্তর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কথাসাহিত্য বিষয়ক ছোটোকাগজ কথাশিল্প-এর মোড়ক উন্মোচিত হয়।

জানা যায়, স্নাতকের তৃতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারে ‘বাংলা ছোটগল্প-০১’ পড়িয়েছিলেন ড. কামরুন নাহার শীলা। সে সময় শিক্ষার্থীদের আগ্রহে প্রত্যেকের কাছ থেকে গল্প জমা নেন। সর্বশেষ ছেচল্লিশ জন শিক্ষার্থীর লেখা এই কথাসাহিত্য বিষয়ক ছোটোকাগজে ছাপা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ১৩ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সুবর্ণা মোস্তফা বলেন, ‘আমি যখন জমা দেয়ার জন্য গল্প লিখি, তখন এই বিশাল সাহিত্যবোধের জগতে আমি খুবই নতুন। তাই এই অপরিণত সাহিত্যবোধ ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে গল্পগুলো লিখেছিলাম। এই উৎসাহ-উদ্দীপনাগুলো আসলে কখনো প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু আজকে এই গল্পগুলো রূপ পেয়েছে। তার জন্য ম্যামকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’

আরেক শিক্ষার্থী মো. তাওহীদ হোসেন সানি বলেন, ‘এর আগে কখনো গল্প বা সাহিত্য রচনা করিনি। তবে ম্যামের অনুপ্রেরণায় আমরা গল্পগুলো লিখেছি। স্নাতকোত্তরের শেষ সময়ে আমাদের গল্পগুলো পুস্তকে সংরক্ষিত হওয়ায় আমরা ম্যামের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

মো. আরিফুল ইসলাম নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের এই এলোমেলো ভাবনাগুলোকে বইয়ের মধ্য দিয়ে রূপ দিয়েছেন সেই সাথে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সুন্দর স্মৃতিগুলোর সাথে আরও একটি সুন্দর স্মৃতি যুক্ত হলো। আশা করছি এই বই এবং এই বইয়ের মধ্যে যে ছোট গল্পগুলো আছে এগুলো সামনের দিনে আমাদের সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে অন্যতম একটা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।’

 

প্রভাষক মো. গোলাম মাহমুদ পাবেল বলেন, ‘সৃজনশীল সাহিত্যের যে প্রকাশনাটি আজকে প্রকাশ হলো, সেজন্য শীলা ম্যামকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন। যাদের লেখনিতে এটা প্রকাশ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে সৃজনশীল সাহিত্য লেখার বোধ যে আছে এটা আমি জানতাম। তারা সেটার প্রমাণ রেখেছে। এই কথাসাহিত্যের মঙ্গল কামনা করি।’

বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুন নাহার শিলা বলেন, ‘আরো আগেই শিক্ষার্থীদের লেখা নিয়ে সংকলনটা প্রকাশ করার কথা ছিলো। কিন্তু নানান কারণে আমি সেটা করতে পারিনি। সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। শিক্ষার্থীরা আমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে গল্প লেখার কাজটি করেছে। সেজন্য আমার খুব ভালো লেগেছে। নানান চড়াই-উতরাই পেরিয়ে কথাশিল্প বইটির প্রকাশ শেষ করতে পেরেছি। আমার চাওয়া হবে তারা যেন এই সাহিত্য চর্চাকে ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখে।’