ঢাকা ০১:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সিলেটসহ অন্যান্য স্থানে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ ইসরায়েলি নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে লোহাগাড়া যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল রংপুরে নানা আয়োজনে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদ্‌যাপিত টঙ্গীতে পোশাক শ্রমিক ছুরিকাঘাতে নিহত রংপুরে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ, আট নেতা বহিষ্কার তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিকল্প অর্থায়নের উপর তাগিদ উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধি দল উখিয়ায় মাত্র ৫ গন্ডা জমির জন্য প্রান গেলো ৩ জনের গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন। টঙ্গীতে ট্রেনে কাটা পড়ে গৃহবধূর মৃত্যু,পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড

কুবিতে ‘সর্পদংশন প্রতিরোধ ও সচেতনতা’ বিষয়ক কর্মশালা

কুবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:২৩:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৪২ Time View

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন ‘অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’ এর উদ্যোগে এবং ‘ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড স্নেক রেস্কিউ টিম ইন বাংলাদেশ’ এর পরিচালনায় ‘সর্পদংশন প্রতিরোধ ও সচেতনামূলক কর্মশালা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৫ জানুয়ারী) সকাল ১০ টার দিকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ৫০১ নাম্বার রুমে কর্মশালাটি শুরু হয়।

কর্মশালাটি দুইটি ধাপে সম্পন্ন হয়। প্রথম ধাপে সর্প পরিচিতি ও সর্পদংশন বিষয়ক তাত্ত্বিক বিষয়সমূহ আলোচনা করা হয় এবং দ্বিতীয় ধাপে প্রায়োগিক বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়। এতে প্রশিক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ওয়াইল্ড লাইফ এন্ড স্নেক রেস্কিউ টিম ইন বাংলাদেশ এর সদস্য নজরুল ইসলাম ও নাবিদ আল জুবায়েদ

উক্ত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির গবেষণা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আবদুল্লাহ আল হোসাইন।

আবদুল্লাহ আল হোসাইন বলেন, ‘আমাদের বাসাবাড়িতে প্রায়ই সাপের দেখা মেলে। সাপ দেখার সাথে সাথেই আমরা সাপটাকে মেরে ফেলি যেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারণ অধিকাংশ সাপই নির্বিষ সাপ। যেগুলো আমাদের জন্য কোনো না কোনোভাবে উপকারি। তাই আমাদের উচিত সাপ দেখার সাথে সাথেই মেরে না ফেলে সাপটাকে নিরাপদে সরিয়ে দেওয়া। সরকার বিভিন্ন সময় সাপ মারার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও তেমন ফলপ্রসূ হচ্ছে না। এজন্য আমাদের প্রয়োজন সচেতনতা। যথা সম্ভব আমাদের উচিত স্কুল থেকে শুরু করে সব জায়গায় সচেতনতা বৃদ্ধি করা।’

অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন বলেন, ‘নির্বিষ সাপ মেরে ফেলার ফলে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এ ব্যাপারে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। এজন্য যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে এমন সচেতনতামূলক কর্মশালার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই সেই সাথে ‘ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্নেক রেস্কিউ টিমকেও ধন্যবাদ জানাই এমন একটা প্রোগ্রাম আয়েজনে সহযোগিতা করার জন্য।’

সংগঠনটির সভাপতি তামিম মিয়া বলেন, ‘সাপ সম্পর্কে যে মৌলিক বিষয়গুলো আছে সেগুলোর ব্যাপারে মানুষকে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। দেখা যাচ্ছে এমন অনেক সাপ আছে যেগুলো বিষধর না, তারপরও মানুষ না বুঝে সেগুলোকে মেরে ফেলে। আমাদের চেষ্টা ছিল যেন মানুষকে সাপ সম্পর্কে সচেতন করতে পারি এবং সাপের সাথে সাথে অন্য যেসকল প্রাণী আছে, সেগুলো যেন প্রকৃতিতে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে পারে।’

Please Share This Post in Your Social Media

কুবিতে ‘সর্পদংশন প্রতিরোধ ও সচেতনতা’ বিষয়ক কর্মশালা

কুবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৯:২৩:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন ‘অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’ এর উদ্যোগে এবং ‘ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড স্নেক রেস্কিউ টিম ইন বাংলাদেশ’ এর পরিচালনায় ‘সর্পদংশন প্রতিরোধ ও সচেতনামূলক কর্মশালা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৫ জানুয়ারী) সকাল ১০ টার দিকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ৫০১ নাম্বার রুমে কর্মশালাটি শুরু হয়।

কর্মশালাটি দুইটি ধাপে সম্পন্ন হয়। প্রথম ধাপে সর্প পরিচিতি ও সর্পদংশন বিষয়ক তাত্ত্বিক বিষয়সমূহ আলোচনা করা হয় এবং দ্বিতীয় ধাপে প্রায়োগিক বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়। এতে প্রশিক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ওয়াইল্ড লাইফ এন্ড স্নেক রেস্কিউ টিম ইন বাংলাদেশ এর সদস্য নজরুল ইসলাম ও নাবিদ আল জুবায়েদ

উক্ত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির গবেষণা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আবদুল্লাহ আল হোসাইন।

আবদুল্লাহ আল হোসাইন বলেন, ‘আমাদের বাসাবাড়িতে প্রায়ই সাপের দেখা মেলে। সাপ দেখার সাথে সাথেই আমরা সাপটাকে মেরে ফেলি যেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারণ অধিকাংশ সাপই নির্বিষ সাপ। যেগুলো আমাদের জন্য কোনো না কোনোভাবে উপকারি। তাই আমাদের উচিত সাপ দেখার সাথে সাথেই মেরে না ফেলে সাপটাকে নিরাপদে সরিয়ে দেওয়া। সরকার বিভিন্ন সময় সাপ মারার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও তেমন ফলপ্রসূ হচ্ছে না। এজন্য আমাদের প্রয়োজন সচেতনতা। যথা সম্ভব আমাদের উচিত স্কুল থেকে শুরু করে সব জায়গায় সচেতনতা বৃদ্ধি করা।’

অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন বলেন, ‘নির্বিষ সাপ মেরে ফেলার ফলে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এ ব্যাপারে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। এজন্য যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে এমন সচেতনতামূলক কর্মশালার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই সেই সাথে ‘ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্নেক রেস্কিউ টিমকেও ধন্যবাদ জানাই এমন একটা প্রোগ্রাম আয়েজনে সহযোগিতা করার জন্য।’

সংগঠনটির সভাপতি তামিম মিয়া বলেন, ‘সাপ সম্পর্কে যে মৌলিক বিষয়গুলো আছে সেগুলোর ব্যাপারে মানুষকে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। দেখা যাচ্ছে এমন অনেক সাপ আছে যেগুলো বিষধর না, তারপরও মানুষ না বুঝে সেগুলোকে মেরে ফেলে। আমাদের চেষ্টা ছিল যেন মানুষকে সাপ সম্পর্কে সচেতন করতে পারি এবং সাপের সাথে সাথে অন্য যেসকল প্রাণী আছে, সেগুলো যেন প্রকৃতিতে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে পারে।’