ঢাকা ০৬:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুবিতে বিজয়-২৪ হলের উদ্যোগে জুলাই আন্দোলনে আহতদের সম্মাননা প্রদান

কুবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:০৮:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
  • / ৭৫ Time View

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বিজয়-২৪ হল প্রশাসনের উদ্যোগে জুলাই আন্দোলনে আহত সাংবাদিকসহ ১২০ জনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। এসময় শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিল করা হয়।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেল পাঁচটার দিকে বিজয়-২৪ হলে এই অনুষ্ঠানটি হয়।


উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিজয়-২৪ হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মাহমুদুল হাসান খাঁন। এছাড়া হলের হাউজ টিউটর ও আবাসিক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন বিজয়-২৪ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জাওয়াদ উর রাকিন খান। দোয়া পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ খলিলুর রহমান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ধর্মীয়গ্রন্থ পাঠ এবং জুলাই শহিদদের ও মাইলস্টোন কলেজের বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে আহত শিক্ষার্থী এবং ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা জুলাই আন্দোলন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।

সুনীতি-শান্তি হলের আবাসিক শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা বলেন, ‘জুলাই হলো আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটা অধ্যায়। এই আন্দোলনে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন প্রশংসনীয়। শুরুতে কোটা নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়, ধীরে ধীরে আন্দোলন আরও বড় হয়। ১১ তারিখ যখন আমাদের ভাইয়েরা প্রথম হামলার শিকার হয়, এটা শোনার পর আমরা মেয়েরা বসে থাকিনি। যে যে অবস্থায় ছিলাম সেই অবস্থাতেই ভাইয়ের সাহায্য এগিয়ে যাই। ঐদিন বৃষ্টির মাঝেও আমরা দমে যাইনি রাত এগারোটা পর্যন্ত আমরা রাস্তা ছিলাম। ১৮ তারিখ কোটবাড়ি বিশ্বরোডেও আমরা নারীরা ছিলাম। হল বন্ধ হওয়ার পরেও আমরা আন্দোলন চালিয়ে গেছি।’

একই হলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী আমেনা ইকরা বলেন, ‘জুলাই আমার কাছে অন্যরকম অনুভূতি। আমি একাত্তর দেখিনি, ছোটবেলায় একাত্তরের বীরত্ব গাঁথা গল্প শুনেছি, যেগুলোর প্রতিফলন চব্বিশে দেখেছি। চব্বিশে এসে দেখেছি, বুঝেছি কেন মানুষ একাত্তরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন।’

বিজয়-২৪ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নাঈম ভূঁইয়া বলেন, ‘এধরনের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য আমাদের হল প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে যারা আছেন তাদেরকে শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট হিসেবে কাজ করার জন্য অনুরোধ করব। আমাদের প্রত্যকটি হলে খাবারের যে অবস্থা তা খুবই বাজে। ক্যাফেটেরিয়া সংস্কার হলেও খাবারের মান ভালো না এবং দামও বেশি। এই উচ্চমূল্য কমিয়ে শিক্ষার্থী বান্ধব করতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম বলেন, ‘যখন দেখলাম আমার শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছে, আমি কিছু লিখেছিলাম। এই লেখার কারণে আমাকে তিনদিন মোবাইল বন্ধ রাখতে হয়েছে। আমাকে বাসার বাইরে থাকতে হয়েছে। আমার পরিচিতরা আমাকে ফোনে পায়নি। পহেলা আগস্ট শিক্ষকদের সঙ্গে মানববন্ধনে যোগ দিতে আসি, কোটবাড়ি আসার পর আমাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই ও আগস্টের আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল একটি স্বাধীন ও সুশাসিত বাংলাদেশ গঠন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কি সেই স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি? এখনো মাদক ও র‍্যাগিংয়ের মতো সমস্যাগুলো আমাদের সামনে আসে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের সক্রিয় সহযোগিতা চাই।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘এই ক্যাম্পাস ও হলই তোমার পরিচয়। এই পরিচয় আমৃত্যু তোমার সঙ্গে থাকবে। তাই এই ক্যাম্পাস ও হলের সুনাম রক্ষা করা মানেই তোমার নিজের সুনাম রক্ষা করা।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ‘এই জুলাই একদিনের ঘটনা নয়। এটি বহু ত্যাগ, নিপীড়ন ও সংগ্রামের স্মারক। বাংলাদেশের নতুন করে জাগরণের পেছনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। আমরা তখন চাইলেও মুক্তভাবে বলতে বা লিখতে পারতাম না, তবুও শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।’

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এই আন্দোলনে ছাত্রছাত্রী, নারী, শিক্ষক, শ্রমজীবী ও বুদ্ধিজীবীরা বিভিন্নভাবে ভূমিকা রেখেছেন। কেউ সামনে, কেউ পেছনে, কেউ-বা অন্তরালে থেকে। তোমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকো, তবে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবে। যারা ত্যাগ করেছেন, তাদের সম্মান রেখে ব্যক্তি স্বার্থ ত্যাগ করে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা কখনো পিছুপা হব না।’

বিজয়-২৪ হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মাহমুদুল হাসান খাঁন বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের শুরুর দিক থেকেই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছি। গত এক আগস্ট আমাদের শিক্ষকরা দাঁড়িয়েছিলেন। এখানে পাভেল স্যার আছেন, যে ছয়জন শিক্ষক দাঁড়িয়ে ছিলেন তিন তাদের অন্যতম। আমরা আসতে গিয়ে পথে বাধাপ্রাপ্ত হই। কোনোভাবে আমরা ক্যাম্পাসে আসতে পারি নাই।’

সম্মাননা অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে অনেকের অবদান রয়েছে। আমি চেয়েছিলাম সর্বনিম্ন হলেও তাদের একটু স্বীকৃতি দেওয়া। যারা জুলাই আন্দোলনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আহত হয়েছেন এবং সম্মুখ সারিতে ছিলেন, তাদের নাম সংগ্রহ করেছি। বিজয়-২৪ যে নামটা, এই নামটা এসেছে জুলাই যোদ্ধাদের অবদানে। আমার কোনোভাবে উচিত হবে না বায়াস্ট হয়ে কোনো কাজ করা।’

Please Share This Post in Your Social Media

কুবিতে বিজয়-২৪ হলের উদ্যোগে জুলাই আন্দোলনে আহতদের সম্মাননা প্রদান

কুবি প্রতিনিধি
Update Time : ১০:০৮:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বিজয়-২৪ হল প্রশাসনের উদ্যোগে জুলাই আন্দোলনে আহত সাংবাদিকসহ ১২০ জনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। এসময় শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিল করা হয়।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেল পাঁচটার দিকে বিজয়-২৪ হলে এই অনুষ্ঠানটি হয়।


উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিজয়-২৪ হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মাহমুদুল হাসান খাঁন। এছাড়া হলের হাউজ টিউটর ও আবাসিক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন বিজয়-২৪ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জাওয়াদ উর রাকিন খান। দোয়া পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ খলিলুর রহমান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ধর্মীয়গ্রন্থ পাঠ এবং জুলাই শহিদদের ও মাইলস্টোন কলেজের বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে আহত শিক্ষার্থী এবং ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা জুলাই আন্দোলন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।

সুনীতি-শান্তি হলের আবাসিক শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা বলেন, ‘জুলাই হলো আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটা অধ্যায়। এই আন্দোলনে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন প্রশংসনীয়। শুরুতে কোটা নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়, ধীরে ধীরে আন্দোলন আরও বড় হয়। ১১ তারিখ যখন আমাদের ভাইয়েরা প্রথম হামলার শিকার হয়, এটা শোনার পর আমরা মেয়েরা বসে থাকিনি। যে যে অবস্থায় ছিলাম সেই অবস্থাতেই ভাইয়ের সাহায্য এগিয়ে যাই। ঐদিন বৃষ্টির মাঝেও আমরা দমে যাইনি রাত এগারোটা পর্যন্ত আমরা রাস্তা ছিলাম। ১৮ তারিখ কোটবাড়ি বিশ্বরোডেও আমরা নারীরা ছিলাম। হল বন্ধ হওয়ার পরেও আমরা আন্দোলন চালিয়ে গেছি।’

একই হলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী আমেনা ইকরা বলেন, ‘জুলাই আমার কাছে অন্যরকম অনুভূতি। আমি একাত্তর দেখিনি, ছোটবেলায় একাত্তরের বীরত্ব গাঁথা গল্প শুনেছি, যেগুলোর প্রতিফলন চব্বিশে দেখেছি। চব্বিশে এসে দেখেছি, বুঝেছি কেন মানুষ একাত্তরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন।’

বিজয়-২৪ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নাঈম ভূঁইয়া বলেন, ‘এধরনের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য আমাদের হল প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে যারা আছেন তাদেরকে শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট হিসেবে কাজ করার জন্য অনুরোধ করব। আমাদের প্রত্যকটি হলে খাবারের যে অবস্থা তা খুবই বাজে। ক্যাফেটেরিয়া সংস্কার হলেও খাবারের মান ভালো না এবং দামও বেশি। এই উচ্চমূল্য কমিয়ে শিক্ষার্থী বান্ধব করতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম বলেন, ‘যখন দেখলাম আমার শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছে, আমি কিছু লিখেছিলাম। এই লেখার কারণে আমাকে তিনদিন মোবাইল বন্ধ রাখতে হয়েছে। আমাকে বাসার বাইরে থাকতে হয়েছে। আমার পরিচিতরা আমাকে ফোনে পায়নি। পহেলা আগস্ট শিক্ষকদের সঙ্গে মানববন্ধনে যোগ দিতে আসি, কোটবাড়ি আসার পর আমাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই ও আগস্টের আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল একটি স্বাধীন ও সুশাসিত বাংলাদেশ গঠন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কি সেই স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি? এখনো মাদক ও র‍্যাগিংয়ের মতো সমস্যাগুলো আমাদের সামনে আসে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের সক্রিয় সহযোগিতা চাই।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘এই ক্যাম্পাস ও হলই তোমার পরিচয়। এই পরিচয় আমৃত্যু তোমার সঙ্গে থাকবে। তাই এই ক্যাম্পাস ও হলের সুনাম রক্ষা করা মানেই তোমার নিজের সুনাম রক্ষা করা।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ‘এই জুলাই একদিনের ঘটনা নয়। এটি বহু ত্যাগ, নিপীড়ন ও সংগ্রামের স্মারক। বাংলাদেশের নতুন করে জাগরণের পেছনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। আমরা তখন চাইলেও মুক্তভাবে বলতে বা লিখতে পারতাম না, তবুও শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।’

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এই আন্দোলনে ছাত্রছাত্রী, নারী, শিক্ষক, শ্রমজীবী ও বুদ্ধিজীবীরা বিভিন্নভাবে ভূমিকা রেখেছেন। কেউ সামনে, কেউ পেছনে, কেউ-বা অন্তরালে থেকে। তোমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকো, তবে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবে। যারা ত্যাগ করেছেন, তাদের সম্মান রেখে ব্যক্তি স্বার্থ ত্যাগ করে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা কখনো পিছুপা হব না।’

বিজয়-২৪ হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মাহমুদুল হাসান খাঁন বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের শুরুর দিক থেকেই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছি। গত এক আগস্ট আমাদের শিক্ষকরা দাঁড়িয়েছিলেন। এখানে পাভেল স্যার আছেন, যে ছয়জন শিক্ষক দাঁড়িয়ে ছিলেন তিন তাদের অন্যতম। আমরা আসতে গিয়ে পথে বাধাপ্রাপ্ত হই। কোনোভাবে আমরা ক্যাম্পাসে আসতে পারি নাই।’

সম্মাননা অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে অনেকের অবদান রয়েছে। আমি চেয়েছিলাম সর্বনিম্ন হলেও তাদের একটু স্বীকৃতি দেওয়া। যারা জুলাই আন্দোলনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আহত হয়েছেন এবং সম্মুখ সারিতে ছিলেন, তাদের নাম সংগ্রহ করেছি। বিজয়-২৪ যে নামটা, এই নামটা এসেছে জুলাই যোদ্ধাদের অবদানে। আমার কোনোভাবে উচিত হবে না বায়াস্ট হয়ে কোনো কাজ করা।’