ঢাকা ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
তাবাসসুমের নেতৃত্বে আওয়ামী প্রেতাত্মারা এখনো সক্রিয় ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলি সব পণ্য বয়কট করছে যুক্তরাজ্যের বৃহৎ সুপারমার্কেট ফিলিস্তিনের পক্ষ নেয়ায় ইংলিশ কিংবদন্তি লিনেকারকে ছাঁটাই করল বিবিসি কুবিতে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী দিলেন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নির্বাচন পেছাতে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত শুরু হয়েছে : মির্জা ফখরুল আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্সের মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে ভুল বুঝানোর চেষ্টা করছে সরকারের উপদেষ্টা : ইশরাক সরকার গায়ের জোরে ইশরাককে মেয়র হতে দিচ্ছে না : রিজভী

কুবিতে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী দিলেন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা

কুবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:২৩:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • / ৫৬ Time View

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কৃত হয়েও সেমিস্টার ফাইনাল পরিক্ষায় অংশ নিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ব এক শিক্ষার্থী। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বিভাগটির শিক্ষার্থীদের মাঝে। তবে বিভাগ সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্রশাসন থেকে বহিষ্কার হওয়া সংক্রান্ত কোন আনুষ্ঠানিক চিঠি বিভাগে প্রেরণ করা হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পরিক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী হলেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শাকিল খান। গত ০৬ মে বিজয়-২৪ হলে প্রাধ্যক্ষের নেতৃত্বে মাদকবিরোধী অভিযানে মাদকের সাথে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ৭ই মে তাকে হল থেকে এবং ১৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

আরো জানা যায়, সংশ্লিষ্ট বিভাগটিতে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ARC-221 কোর্সের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে চতুর্থ সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয় গত ২৯ এপ্রিল। এই সেমিস্টারের বাকিগুলো পরীক্ষা গুলোছিল যথাক্রমে ARC-222 কোর্সের ৪ই মে, ARC-223 কোর্সের ৮ই মে এবং ARC-224 কোর্সের পরীক্ষা ছিল ১২ মে। সর্বশেষ ARC-225–South Asian Epigraphy (Ancient Period) কোর্সটির পরীক্ষা ছিল গত ১৮ মে। সর্বশেষ পরীক্ষাটি ছিল বহিষ্কৃত হওয়ার পর। বহিষ্কৃত হয়েও শাকিল খান সর্বশেষ পরীক্ষা হওয়া ARC-225 কোর্সটিতে অংশগ্রহণ করেন।

নিয়ম অনুযায়ী, বহিষ্কারের মেয়াদকালে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সকলপ্রকার অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাসহ বহিষ্কৃতরা বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হলেও অবস্থান করতে পারবে না। কিন্তু এই বিধানের তোয়াক্কা না করে পরীক্ষা দিয়েছেন সেই শিক্ষার্থী।

এনিয়ে পরীক্ষায় বসা শিক্ষার্থী শাকিল খান বলেন, আমি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলাম। তবে আমি যে পরীক্ষায় বসতে পারব না, এ বিষয়টি বিভাগ থেকে আমাকে কিছু জানায়নি।

তবে বিভাগসংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, একটি সিদ্ধান্ত হলে সেটা বিভাগে প্রশাসন প্রেরণ করবে, এটাই নিয়ম। কোন আনুষ্ঠানিক চিঠি ছাড়া তো আমরা একজন শিক্ষার্থীকে বসতে মানা করতে পারি না। শৃঙ্খলা বোর্ড বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে। সেটা যদি পাস হয়ে থাকে, তাহলে একটি অফিস আদেশ বিভাগে পাঠানোর কথা। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব। কিন্তু এমন কোন চিঠি বিভাগে আসে নাই। এটা প্রশাসনই ভালো বলতে পারবে।

চলমান চতুর্থ সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান খান। একই সাথে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী শাকিল খান যেই হল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন মাহমুদুল হাসান খান সেই হলের প্রাধ্যক্ষ ছিলেন। উনার অভিযানেই মাদক সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে শাকিল খানের বিরুদ্ধে।

এনিয়ে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান খান বলেন, বহিষ্কার হয়েছি কিনা সেটাতো প্রশাসন থেকে তো আমাদেরকে কিছু জানানো হয়নি। আনুষ্ঠানিক কোন চিঠিও পাঠানো হয়নি। সেজন্য আমরা তাকে (শাকিল) পরিক্ষায় বসতে দিয়েছি। এখন যদি প্রশাসন মনে করে পরীক্ষা গ্রহণযোগ্য হবে না, তবে সেটা প্রশাসনের বিষয়।

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন বলেন, শৃঙ্খলা বোর্ডের কমিটিতে আমিও ছিলাম। সেখানে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই সংক্রান্ত কোন অফিসিয়াল চিঠি প্রশাসন থেকে বিভাগে আসে নাই। সেজন্য পরীক্ষা দিতে দিয়েছি।

বিভাগীয় দপ্তরে চিঠি না পাঠানোর অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, যেহেতু বিভাগীয় প্রধান মিটিংয়ে (শৃঙ্খলা বোর্ডের) ছিলেন, তো উনি বিষয়টি (বহিষ্কার) সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। সেখানে চিঠি ইস্যু করা না করা তো কোন বিষয় না। আমি এখন ছুটিতে আছি, চিঠি পাঠানোর বিষয়ে রেজিস্ট্রার স্যার ভালো বলতে পারবেন।

অভিযোগের বিষয়ে রেজিস্ট্রার(অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, শৃঙ্খলা বোর্ডের একটি মিটিং হয়েছে। মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। ঐটার ফাইল নোট পাস হয়ে ঘুরে আসলে তারপর আমি পাঠাতে পারব। অনুমোদন না হলে সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না। বহিষ্কার ফাইল নোট এখনো পাস হয়ে রেজিস্ট্রার দপ্তরে আসেনি। তাই আমরা এখনো চিঠি দিতে পারিনি

তবে গত ১৪ মে শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের অনুলিপি প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও নৈতিক অবক্ষয়মূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে সর্বসম্মতিক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হলের আবাসিকতার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তদ্‌প্রেক্ষিতে উক্ত সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন হলে অবস্থান করতে পারবে না এবং অ্যাকাডেমিক সকল কার্যক্রম থেকেও সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শৃঙ্খলা বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম জানান, বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত যেদিন নেওয়া হয়, সেদিন থেকেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়ে থাকে। সেই হিসেবে বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থী অ্যাকাডেমিক কোন কার্যক্রম অংশ নিতে পারবে না। এমনকি ক্যাম্পাসে, হলেও প্রবেশ করতে পারবে না। আর বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীতো কোনোভাবেই পরীক্ষায় বসতে পারবে না।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের প্রধান নূরুল করিম বলেন, ‘আইন অনুযায়ী একজন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী কোনোভাবে পরীক্ষায় বসতে পারে না। যদি ঐ বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসে থাকে তাহলে বিষয়টি আমার জানা নেই। এখন শুনতেছি ঐ বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে হবে।’

এনিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলীকে কল করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।

Please Share This Post in Your Social Media

কুবিতে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী দিলেন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা

কুবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৯:২৩:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কৃত হয়েও সেমিস্টার ফাইনাল পরিক্ষায় অংশ নিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ব এক শিক্ষার্থী। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বিভাগটির শিক্ষার্থীদের মাঝে। তবে বিভাগ সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্রশাসন থেকে বহিষ্কার হওয়া সংক্রান্ত কোন আনুষ্ঠানিক চিঠি বিভাগে প্রেরণ করা হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পরিক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী হলেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শাকিল খান। গত ০৬ মে বিজয়-২৪ হলে প্রাধ্যক্ষের নেতৃত্বে মাদকবিরোধী অভিযানে মাদকের সাথে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ৭ই মে তাকে হল থেকে এবং ১৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

আরো জানা যায়, সংশ্লিষ্ট বিভাগটিতে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ARC-221 কোর্সের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে চতুর্থ সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয় গত ২৯ এপ্রিল। এই সেমিস্টারের বাকিগুলো পরীক্ষা গুলোছিল যথাক্রমে ARC-222 কোর্সের ৪ই মে, ARC-223 কোর্সের ৮ই মে এবং ARC-224 কোর্সের পরীক্ষা ছিল ১২ মে। সর্বশেষ ARC-225–South Asian Epigraphy (Ancient Period) কোর্সটির পরীক্ষা ছিল গত ১৮ মে। সর্বশেষ পরীক্ষাটি ছিল বহিষ্কৃত হওয়ার পর। বহিষ্কৃত হয়েও শাকিল খান সর্বশেষ পরীক্ষা হওয়া ARC-225 কোর্সটিতে অংশগ্রহণ করেন।

নিয়ম অনুযায়ী, বহিষ্কারের মেয়াদকালে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সকলপ্রকার অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাসহ বহিষ্কৃতরা বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হলেও অবস্থান করতে পারবে না। কিন্তু এই বিধানের তোয়াক্কা না করে পরীক্ষা দিয়েছেন সেই শিক্ষার্থী।

এনিয়ে পরীক্ষায় বসা শিক্ষার্থী শাকিল খান বলেন, আমি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলাম। তবে আমি যে পরীক্ষায় বসতে পারব না, এ বিষয়টি বিভাগ থেকে আমাকে কিছু জানায়নি।

তবে বিভাগসংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, একটি সিদ্ধান্ত হলে সেটা বিভাগে প্রশাসন প্রেরণ করবে, এটাই নিয়ম। কোন আনুষ্ঠানিক চিঠি ছাড়া তো আমরা একজন শিক্ষার্থীকে বসতে মানা করতে পারি না। শৃঙ্খলা বোর্ড বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে। সেটা যদি পাস হয়ে থাকে, তাহলে একটি অফিস আদেশ বিভাগে পাঠানোর কথা। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব। কিন্তু এমন কোন চিঠি বিভাগে আসে নাই। এটা প্রশাসনই ভালো বলতে পারবে।

চলমান চতুর্থ সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান খান। একই সাথে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী শাকিল খান যেই হল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন মাহমুদুল হাসান খান সেই হলের প্রাধ্যক্ষ ছিলেন। উনার অভিযানেই মাদক সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে শাকিল খানের বিরুদ্ধে।

এনিয়ে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান খান বলেন, বহিষ্কার হয়েছি কিনা সেটাতো প্রশাসন থেকে তো আমাদেরকে কিছু জানানো হয়নি। আনুষ্ঠানিক কোন চিঠিও পাঠানো হয়নি। সেজন্য আমরা তাকে (শাকিল) পরিক্ষায় বসতে দিয়েছি। এখন যদি প্রশাসন মনে করে পরীক্ষা গ্রহণযোগ্য হবে না, তবে সেটা প্রশাসনের বিষয়।

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন বলেন, শৃঙ্খলা বোর্ডের কমিটিতে আমিও ছিলাম। সেখানে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই সংক্রান্ত কোন অফিসিয়াল চিঠি প্রশাসন থেকে বিভাগে আসে নাই। সেজন্য পরীক্ষা দিতে দিয়েছি।

বিভাগীয় দপ্তরে চিঠি না পাঠানোর অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, যেহেতু বিভাগীয় প্রধান মিটিংয়ে (শৃঙ্খলা বোর্ডের) ছিলেন, তো উনি বিষয়টি (বহিষ্কার) সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। সেখানে চিঠি ইস্যু করা না করা তো কোন বিষয় না। আমি এখন ছুটিতে আছি, চিঠি পাঠানোর বিষয়ে রেজিস্ট্রার স্যার ভালো বলতে পারবেন।

অভিযোগের বিষয়ে রেজিস্ট্রার(অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, শৃঙ্খলা বোর্ডের একটি মিটিং হয়েছে। মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। ঐটার ফাইল নোট পাস হয়ে ঘুরে আসলে তারপর আমি পাঠাতে পারব। অনুমোদন না হলে সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না। বহিষ্কার ফাইল নোট এখনো পাস হয়ে রেজিস্ট্রার দপ্তরে আসেনি। তাই আমরা এখনো চিঠি দিতে পারিনি

তবে গত ১৪ মে শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের অনুলিপি প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও নৈতিক অবক্ষয়মূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে সর্বসম্মতিক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হলের আবাসিকতার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তদ্‌প্রেক্ষিতে উক্ত সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন হলে অবস্থান করতে পারবে না এবং অ্যাকাডেমিক সকল কার্যক্রম থেকেও সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শৃঙ্খলা বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম জানান, বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত যেদিন নেওয়া হয়, সেদিন থেকেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়ে থাকে। সেই হিসেবে বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থী অ্যাকাডেমিক কোন কার্যক্রম অংশ নিতে পারবে না। এমনকি ক্যাম্পাসে, হলেও প্রবেশ করতে পারবে না। আর বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীতো কোনোভাবেই পরীক্ষায় বসতে পারবে না।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের প্রধান নূরুল করিম বলেন, ‘আইন অনুযায়ী একজন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী কোনোভাবে পরীক্ষায় বসতে পারে না। যদি ঐ বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসে থাকে তাহলে বিষয়টি আমার জানা নেই। এখন শুনতেছি ঐ বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে হবে।’

এনিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলীকে কল করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।