ঢাকা ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুবিতে অনার প্রেজেন্টস ‘বিজভেঞ্চার’-র ফাইনাল অনুষ্ঠিত

কুবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ১২:৪৮:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / ৩১ Time View

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রথমবারের মতো জাতীয় বিজনেস কেস প্রতিযোগিতা ‘বিজভেঞ্চার’-এর ফাইনাল আয়োজিত হয়েছে। এতে বিজয়ী হয়েছে টিম প্যানিক অ্যাটাক এবং প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছে যথাক্রমে টিম কোড ব্রেকার এবং টিম নো মিনিটস লেফট।

শনিবার (১০ মে) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) এর ময়নামতি অডিটরিয়ামে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৯ টায় অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করে মোবাইল ব্র্যান্ড কোম্পানি অনার। সকাল সাড়ে দশটায় জাতীয় সংগীত এর মধ্য দিয়ে হাসিন মাহতাব মাহিনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠান এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

এই প্রতিযোগিতায় ৬টি দল অংশগ্রহণ করে। দলগুলো হলো– দলগুলোর মধ্যে নো মিনিটস লেফট, প্যানিক অ্যাটাক, টিম টপ গান এবং ওমের্টা এই চারটি দল বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) থেকে অংশ নেয়। এছাড়া বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টিম ইউরেখা এবং আর্মি ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে টিম কোড ব্রেকার অংশগ্রহণ করে।

এতে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন সামান-র চিফ অপারেটিং অফিসার আজম খান, ডিআইভিসি-এর হেড অব কমিউনিকেশনস তারিফ মোহাম্মদ খান ও বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি এর লেকচারার ইয়াকুব আলী শাকিল।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর মাশফিক এনাম তূর্য। প্রতিযোগিতার শেষে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় পরিবেশনা করে জনপ্রিয় ব্যান্ড দল ‘আনকোর’।

বিচারক প্যানেলের আজম খান বলেন, ‘অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের মধ্যে ৬টি টিম সিলেক্ট হয়েছে। যখন একটা বিজনেস কেস তৈরি করা হয়, তখন যেন ব্রান্ডিং পার্টটাকে গুরুত্ব দেয়া হয়। তোমাদের নিজেদের ব্রান্ডিং যত স্ট্রং হবে প্রত্যেকটা বায়ারের কাছে তুমি তত বেশি সেল করতে পারবে। সবসময়ই মনে রাখতে হবে তুমি কিন্তু আইডিয়াকে সেলস করছো, তুমি কোনো লিটারেচার লিখছো না, গান লিখছো না কবিতা লিখছো না যে মানুষ শুনে আনন্দ পাবে। তুমি একটা আইডিয়াকে মানুষের সামনে সেলস করছো, প্রসপেকটিভ কোনো বায়ারস থাকবে যে আইডিয়াটা পিক করবে। সামনে এধরনের আরও বেটার প্রেজেন্টেশন হবে। এখানে সবাই যে ভালোবাসা দেখিয়েছে, আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।’

অনুষ্ঠান সম্পর্কে ডিরেক্টর সুমাইয়া কবির বলেন, ” কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বারের মতো জাতীয় বিজনেস কেস প্রতিযোগিতা ছিল বিজ ভেঞ্চার-২০২৫। যেহেতু এর আগে জাতীয় পর্যায়ের কেস প্রতিযোগিতা বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়নি তাই এর প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী দের জন্য এমন একটি উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি করা যেখানে তারা দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে বিজনেস আইডিয়া,কেস সম্পর্কিত জ্ঞানগুলো বিনিময় করতে পারে।”

এছাড়াও লিড অর্গানাইজার ইমরুল এহসান বলেন, ” দীর্ঘ ১ বছরের পরিশ্রমের ফলাফল হিসেবে আজকের বিজ ভেঞ্জার।সবার আগ্রহ ও প্রশংসার জায়গাটাকে ধরে রাখতে এই অনুষ্ঠান কে ভবিষ্যতেও চালিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে আমাদের।”

উল্লেখ্য, বিজয়ী দলগুলোর জন্য ছিল ১ লাখ টাকা পুরস্কার। এতে বিজয়ী এবং প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ দলের জন্য ছিল যথাক্রমে ৫০ হাজার এবং ৩০ হাজার এবং ২০ হাজার টাকা। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এতে ২৪৮ টি টিম রেজিস্ট্রেশন করে।পরবর্তীতে দুটি ধাপে বাছাই প্রক্রিয়া শেষে ছয়টি দল ফাইনালের জন্য নির্বাচিত হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

কুবিতে অনার প্রেজেন্টস ‘বিজভেঞ্চার’-র ফাইনাল অনুষ্ঠিত

কুবি প্রতিনিধি
Update Time : ১২:৪৮:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রথমবারের মতো জাতীয় বিজনেস কেস প্রতিযোগিতা ‘বিজভেঞ্চার’-এর ফাইনাল আয়োজিত হয়েছে। এতে বিজয়ী হয়েছে টিম প্যানিক অ্যাটাক এবং প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছে যথাক্রমে টিম কোড ব্রেকার এবং টিম নো মিনিটস লেফট।

শনিবার (১০ মে) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) এর ময়নামতি অডিটরিয়ামে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৯ টায় অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করে মোবাইল ব্র্যান্ড কোম্পানি অনার। সকাল সাড়ে দশটায় জাতীয় সংগীত এর মধ্য দিয়ে হাসিন মাহতাব মাহিনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠান এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

এই প্রতিযোগিতায় ৬টি দল অংশগ্রহণ করে। দলগুলো হলো– দলগুলোর মধ্যে নো মিনিটস লেফট, প্যানিক অ্যাটাক, টিম টপ গান এবং ওমের্টা এই চারটি দল বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) থেকে অংশ নেয়। এছাড়া বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টিম ইউরেখা এবং আর্মি ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে টিম কোড ব্রেকার অংশগ্রহণ করে।

এতে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন সামান-র চিফ অপারেটিং অফিসার আজম খান, ডিআইভিসি-এর হেড অব কমিউনিকেশনস তারিফ মোহাম্মদ খান ও বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি এর লেকচারার ইয়াকুব আলী শাকিল।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর মাশফিক এনাম তূর্য। প্রতিযোগিতার শেষে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় পরিবেশনা করে জনপ্রিয় ব্যান্ড দল ‘আনকোর’।

বিচারক প্যানেলের আজম খান বলেন, ‘অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের মধ্যে ৬টি টিম সিলেক্ট হয়েছে। যখন একটা বিজনেস কেস তৈরি করা হয়, তখন যেন ব্রান্ডিং পার্টটাকে গুরুত্ব দেয়া হয়। তোমাদের নিজেদের ব্রান্ডিং যত স্ট্রং হবে প্রত্যেকটা বায়ারের কাছে তুমি তত বেশি সেল করতে পারবে। সবসময়ই মনে রাখতে হবে তুমি কিন্তু আইডিয়াকে সেলস করছো, তুমি কোনো লিটারেচার লিখছো না, গান লিখছো না কবিতা লিখছো না যে মানুষ শুনে আনন্দ পাবে। তুমি একটা আইডিয়াকে মানুষের সামনে সেলস করছো, প্রসপেকটিভ কোনো বায়ারস থাকবে যে আইডিয়াটা পিক করবে। সামনে এধরনের আরও বেটার প্রেজেন্টেশন হবে। এখানে সবাই যে ভালোবাসা দেখিয়েছে, আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।’

অনুষ্ঠান সম্পর্কে ডিরেক্টর সুমাইয়া কবির বলেন, ” কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বারের মতো জাতীয় বিজনেস কেস প্রতিযোগিতা ছিল বিজ ভেঞ্চার-২০২৫। যেহেতু এর আগে জাতীয় পর্যায়ের কেস প্রতিযোগিতা বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়নি তাই এর প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী দের জন্য এমন একটি উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি করা যেখানে তারা দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে বিজনেস আইডিয়া,কেস সম্পর্কিত জ্ঞানগুলো বিনিময় করতে পারে।”

এছাড়াও লিড অর্গানাইজার ইমরুল এহসান বলেন, ” দীর্ঘ ১ বছরের পরিশ্রমের ফলাফল হিসেবে আজকের বিজ ভেঞ্জার।সবার আগ্রহ ও প্রশংসার জায়গাটাকে ধরে রাখতে এই অনুষ্ঠান কে ভবিষ্যতেও চালিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে আমাদের।”

উল্লেখ্য, বিজয়ী দলগুলোর জন্য ছিল ১ লাখ টাকা পুরস্কার। এতে বিজয়ী এবং প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ দলের জন্য ছিল যথাক্রমে ৫০ হাজার এবং ৩০ হাজার এবং ২০ হাজার টাকা। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এতে ২৪৮ টি টিম রেজিস্ট্রেশন করে।পরবর্তীতে দুটি ধাপে বাছাই প্রক্রিয়া শেষে ছয়টি দল ফাইনালের জন্য নির্বাচিত হয়।