ঢাকা ০৭:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত স্বৈরাচার পতনে ক্রীড়ানকের ভুমিকা পালন করে আবু সাঈদের মৃত্যু পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ আটক ১

কুড়িগ্রামে জাতীয় পার্টির সভায় সংঘর্ষ, আহত-২

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:৫৩:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩
  • / ২০৬ Time View

কুড়িগ্রামে জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল উপলক্ষে প্রস্তুতি সভায় যুব সংহতি আন্দোলনের কর্মীদের সাথে এমপি গ্রুপের কর্মীদের সংঘর্ষে যুব সংহতির দুই নেতা গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন,কুড়িগ্রাম পৌর যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক ও ফুলবাড়ী উপজেলা যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ।

সোমবার(২২ মে) দুপুরে জেলা শহরের দাদামোড়স্থ আলমাস কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

বিশ্বস্ত সুত্র জানায়, জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা শুরু হওয়ার পূর্বে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর আব্দুস সালাম সভাস্থলে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে এ সময় কুড়িগ্রাম জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ও কুড়িগ্রাম ২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদের কর্মীরা বাঁধা প্রদান করে। এসময় বিক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে বাঁধার কারণ জানতে চাইলে ওই দুই নেতাকে এলোপাথারি মারপিট করেন এমপির কর্মীরা।

সভা স্থলের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সদর থানার পুলিশের সহযোগিতায় নেতা-কর্মীরা অবসরপ্রাপ্ত মেজর আব্দুস সালামকে কিছু সময়ের জন্য কমিউনিটি সেন্টারের পাশে একটি আবাসিক হোটেলে নিরাপদে রাখেন।

পরে জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ও কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য সমাবেশস্থলে পৌঁছে কেন্দ্রীয় নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সমাবেশে প্রবেশ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সভা শুরু হলে এক পর্যায়ে উপস্থাপক এ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির অতিথিদের পদবী উল্লেখ না করায় আবারো বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন নেতা-কর্মীরা। জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সদস্য সচিব ও হলোখানা ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রেজা বিষয়টি থামার চেষ্টা করলে তার উপরও চটেন এমপির রাজনৈতিক উপদেষ্টা নুরে আলম সিদ্দিক লাভলু ও সমর্থকরা। এমতাবস্থায় উভয় গ্রুপের মধ্যে বিরাজ করে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। হট্টগোলের মধ্যেই তড়িঘড়ি করে শেষ হয় প্রস্তুতি সভা।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা যুব সংহতি আন্দোলনের সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যানের সমর্থক মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন,’জাতীয় পার্টি এমনিতেই দুর্বল। তার উপর আবার গ্রুপিং-সংঘর্ষ। কি কারণে মেজর স্যারকে সমাবেশে ঢুকতে বাঁধা দেয়া হলো তা আমাদের বোধগম্য নয়। বহিরাগত লোকজন এসে আমাদেরকে মারপিট করে। যা দুঃখজনক। আমরা অবশ্যই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে আজকের বিষয়টি জানাবো।’

সংর্ঘষের ঘটনার বিষয়ে জানতে কুড়িগ্রাম ২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদকে একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি।

Please Share This Post in Your Social Media

কুড়িগ্রামে জাতীয় পার্টির সভায় সংঘর্ষ, আহত-২

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
Update Time : ১০:৫৩:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩

কুড়িগ্রামে জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল উপলক্ষে প্রস্তুতি সভায় যুব সংহতি আন্দোলনের কর্মীদের সাথে এমপি গ্রুপের কর্মীদের সংঘর্ষে যুব সংহতির দুই নেতা গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন,কুড়িগ্রাম পৌর যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক ও ফুলবাড়ী উপজেলা যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ।

সোমবার(২২ মে) দুপুরে জেলা শহরের দাদামোড়স্থ আলমাস কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

বিশ্বস্ত সুত্র জানায়, জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা শুরু হওয়ার পূর্বে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর আব্দুস সালাম সভাস্থলে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে এ সময় কুড়িগ্রাম জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ও কুড়িগ্রাম ২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদের কর্মীরা বাঁধা প্রদান করে। এসময় বিক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে বাঁধার কারণ জানতে চাইলে ওই দুই নেতাকে এলোপাথারি মারপিট করেন এমপির কর্মীরা।

সভা স্থলের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সদর থানার পুলিশের সহযোগিতায় নেতা-কর্মীরা অবসরপ্রাপ্ত মেজর আব্দুস সালামকে কিছু সময়ের জন্য কমিউনিটি সেন্টারের পাশে একটি আবাসিক হোটেলে নিরাপদে রাখেন।

পরে জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ও কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য সমাবেশস্থলে পৌঁছে কেন্দ্রীয় নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সমাবেশে প্রবেশ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সভা শুরু হলে এক পর্যায়ে উপস্থাপক এ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির অতিথিদের পদবী উল্লেখ না করায় আবারো বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন নেতা-কর্মীরা। জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সদস্য সচিব ও হলোখানা ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রেজা বিষয়টি থামার চেষ্টা করলে তার উপরও চটেন এমপির রাজনৈতিক উপদেষ্টা নুরে আলম সিদ্দিক লাভলু ও সমর্থকরা। এমতাবস্থায় উভয় গ্রুপের মধ্যে বিরাজ করে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। হট্টগোলের মধ্যেই তড়িঘড়ি করে শেষ হয় প্রস্তুতি সভা।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা যুব সংহতি আন্দোলনের সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যানের সমর্থক মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন,’জাতীয় পার্টি এমনিতেই দুর্বল। তার উপর আবার গ্রুপিং-সংঘর্ষ। কি কারণে মেজর স্যারকে সমাবেশে ঢুকতে বাঁধা দেয়া হলো তা আমাদের বোধগম্য নয়। বহিরাগত লোকজন এসে আমাদেরকে মারপিট করে। যা দুঃখজনক। আমরা অবশ্যই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে আজকের বিষয়টি জানাবো।’

সংর্ঘষের ঘটনার বিষয়ে জানতে কুড়িগ্রাম ২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদকে একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি।