ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে ফুটপাত ও ওয়াকওয়ে দখলে অবাধ মহোৎসব, প্রশাসনের নীরবতা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৩:০৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৪৭ Time View

কিশোরগঞ্জ শহরের ফুটপাত, ওয়াকওয়ে ও নদীর পাড় এখন দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে। শহরের গৌরাঙ্গ বাজার ব্রীজের দুই পাশে, বড় বাজার, মুক্তমঞ্চ এবং আশপাশের এলাকা একের পর এক অবৈধ দোকান, টং, ভ্যানগাড়ি ও স্থায়ী স্থাপনার জন্য ভরপুর। ফলে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে প্রতিদিন, অথচ প্রশাসনের কোনও কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ৫ আগস্টের পর থেকে দখল আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে আগে পথচারীরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারত, এখন সেই জায়গা দোকানপাট ও মালামলে ভরে গেছে। নদীর ধারের খোলা জায়গাও দখল হয়ে গেছে।

পথচারী রফিকুল ইসলাম বলেন, “আগে নদীর ধারে হেঁটে যাওয়া যেত, এখন তা দোকান আর ভ্যানগাড়ির দখলে। ফুটপাত মানেই এখন বাজার।” কলেজছাত্রী লাবণী আক্তার জানান, “ওয়াকওয়ে আগে সুন্দর ছিল। এখন সব জায়গা দখল হয়ে গেছে। মেয়েদের চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।”

স্থানীয় এক দোকানি জানিয়েছেন, “আমরা প্রতিদিন জায়গার ভাড়া দেই। প্রশাসন কিছু বলে না।”

গণঅধিকার পরিষদের সদস্য আবু হানিফ বলেন, “৫ আগস্টের আগে এক দলের লোকেরা দখল করত, এখন অন্য দলের লোকেরা দখল করছে। দখলদার বদল হলেও দখল বন্ধ হয়নি। প্রশাসন চোখ বুঁজে আছে।”

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, “ফুটপাত, ওয়াকওয়ে ও নদীর জায়গা সরকারি সম্পত্তি। আমরা বিষয়টি অবগত হয়েছি। খুব দ্রুতই অভিযান চালানো হবে এবং প্রয়োজন হলে উচ্ছেদ কার্যক্রমও শুরু করা হবে।”

নাগরিকরা আশঙ্কা করছেন, যদি এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে কিশোরগঞ্জ শহরের সৌন্দর্য, খোলা বাতাস এবং পথচারীদের স্বাভাবিক চলাচল হারিয়ে যাবে দখলদারদের হাতে।

Please Share This Post in Your Social Media

কিশোরগঞ্জে ফুটপাত ও ওয়াকওয়ে দখলে অবাধ মহোৎসব, প্রশাসনের নীরবতা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
Update Time : ০৩:০৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

কিশোরগঞ্জ শহরের ফুটপাত, ওয়াকওয়ে ও নদীর পাড় এখন দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে। শহরের গৌরাঙ্গ বাজার ব্রীজের দুই পাশে, বড় বাজার, মুক্তমঞ্চ এবং আশপাশের এলাকা একের পর এক অবৈধ দোকান, টং, ভ্যানগাড়ি ও স্থায়ী স্থাপনার জন্য ভরপুর। ফলে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে প্রতিদিন, অথচ প্রশাসনের কোনও কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ৫ আগস্টের পর থেকে দখল আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে আগে পথচারীরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারত, এখন সেই জায়গা দোকানপাট ও মালামলে ভরে গেছে। নদীর ধারের খোলা জায়গাও দখল হয়ে গেছে।

পথচারী রফিকুল ইসলাম বলেন, “আগে নদীর ধারে হেঁটে যাওয়া যেত, এখন তা দোকান আর ভ্যানগাড়ির দখলে। ফুটপাত মানেই এখন বাজার।” কলেজছাত্রী লাবণী আক্তার জানান, “ওয়াকওয়ে আগে সুন্দর ছিল। এখন সব জায়গা দখল হয়ে গেছে। মেয়েদের চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।”

স্থানীয় এক দোকানি জানিয়েছেন, “আমরা প্রতিদিন জায়গার ভাড়া দেই। প্রশাসন কিছু বলে না।”

গণঅধিকার পরিষদের সদস্য আবু হানিফ বলেন, “৫ আগস্টের আগে এক দলের লোকেরা দখল করত, এখন অন্য দলের লোকেরা দখল করছে। দখলদার বদল হলেও দখল বন্ধ হয়নি। প্রশাসন চোখ বুঁজে আছে।”

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, “ফুটপাত, ওয়াকওয়ে ও নদীর জায়গা সরকারি সম্পত্তি। আমরা বিষয়টি অবগত হয়েছি। খুব দ্রুতই অভিযান চালানো হবে এবং প্রয়োজন হলে উচ্ছেদ কার্যক্রমও শুরু করা হবে।”

নাগরিকরা আশঙ্কা করছেন, যদি এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে কিশোরগঞ্জ শহরের সৌন্দর্য, খোলা বাতাস এবং পথচারীদের স্বাভাবিক চলাচল হারিয়ে যাবে দখলদারদের হাতে।