ঢাকা ০৬:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
রূপগঞ্জে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্তৃক ৪০ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত পুলিশ হেফাজতে রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামী এসআই আকবরের জামিনে মুক্তি মৌচাকে হাসপাতালের পার্কিংয়ে গাড়ি থেকে ২ মরদেহ উদ্ধার কাকে ভোট দেবেন প্রশ্নে সিদ্ধান্তহীনতায় ৪৮.৫০ শতাংশ ভোটার মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক‍্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ কুয়ালালামপুর পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা হত্যা মামলায় সোলায়মান সেলিম রিমান্ডে ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা বিএনপি সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চায়: তারেক রহমান চাঁদাবাজির মামলায় একাত্তর টিভির সাবেক প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু গ্রেপ্তার

কাশ্মীরে গাছের জন্য তৈরি হচ্ছে পরিচয়পত্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৪:২৪:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৮৬ Time View

পৃথিবীর স্বর্গ বলে খ্যাত কাশ্মীর। আর এই অঞ্চলের অন্যতম আকর্ষণ হল ‘চিনার গাছ’। কিন্তু নগরায়নের জেরে বিপন্ন হতে বসেছে কাশ্মীরের এই বিখ্যাত গাছ। তাই চিনার গাছ রক্ষা করতে এবার অভিনব সিদ্ধান্ত নিলো জম্মু-কাশ্মীর সরকার।

জানা গেছে, প্রতিটি চিনার গাছের জন্য ‘ডিজিটাল ট্রি আধার’ অর্থাৎ জাতীয় পরিচয়পত্র বানাবে তারা। এর মাধ্যমে প্রত্যেকটি চিনার গাছের খুঁটিনাটি তথ্য পৌঁছে যাবে সরকারের কাছে।

কীভাবে কাজ করবে এই ডিজিটাল ট্রি আধার? জানা গেছে, চিনার গাছ নিয়ে একটি ডেটাবেস তৈরি করবে সরকার। জিও ট্যাগ দেওয়া হবে প্রত্যেকটি গাছে। আধার কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো করেই প্রত্যেকটি গাছের জন্য দেওয়া হবে স্বতন্ত্র কিউআর কোড।

লোকেশন, গাছের স্বাস্থ্য, কীভাবে গাছটি বেড়ে উঠছে- সব তথ্যই পাওয়া যাবে ওই কিউআর কোডে। এমনকি, গাছগুলোর আশেপাশে প্রকৃতি বদলাচ্ছে কি না, কোনোভাবে গাছের ক্ষতি হতে পারে কি না, সেটাও জানা যাবে ওই কিউআর কোডের মাধ্যমে।

ডিজিটাল ট্রি আধার উদ্যোগে প্রথমেই চিনার গাছগুলোর উপর সমীক্ষা চালানো হবে। তারপরে একটি ডিজিটাল প্লেট বসানো হবে প্রত্যেকটি গাছে। এরই মধ্যে সাড়ে ২৮ হাজার গাছের সমীক্ষা হয়ে গেছে বলে জানান প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর সৈয়দ তারিক।

তিনি বলেন, প্রত্যেক জেলার জন্য আলাদা করে রেজিস্টার তৈরি হবে। নতুন করে চিনার গাছ পোঁতা হলে, সেই তথ্যও লেখা হবে এই রেজিস্টারে। আগামী দিনে যেন কাশ্মীরে চিনার গাছ সংরক্ষণ করা যায়, সেজন্যই এমন উদ্যোগ।

সাধারণত ১৫০ বছর বাঁচে একেকটি চিনার গাছ। ৩০ মিটার লম্বা হয় গাছগুলো। ৩০ থেকে ৫০ বছর সময় লাগে এই উচ্চতায় পৌঁছতে। তবে ১৫০ বছর পর্যন্ত বেড়ে উঠতে পারে চিনার গাছ।

দীর্ঘদিন ধরেই কাশ্মীরে আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে চিনার গাছের সংখ্যা। ১৯৭০ এর দশকে রাজ্যটিতে এই গাছের সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার। কিন্তু এখন সেটা কমে ৩৪ হাজারে দাঁড়িয়েছে। সে কারণেই চিনার গাছ বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

সূত্র: দ্য প্রিন্ট

Please Share This Post in Your Social Media

কাশ্মীরে গাছের জন্য তৈরি হচ্ছে পরিচয়পত্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৪:২৪:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

পৃথিবীর স্বর্গ বলে খ্যাত কাশ্মীর। আর এই অঞ্চলের অন্যতম আকর্ষণ হল ‘চিনার গাছ’। কিন্তু নগরায়নের জেরে বিপন্ন হতে বসেছে কাশ্মীরের এই বিখ্যাত গাছ। তাই চিনার গাছ রক্ষা করতে এবার অভিনব সিদ্ধান্ত নিলো জম্মু-কাশ্মীর সরকার।

জানা গেছে, প্রতিটি চিনার গাছের জন্য ‘ডিজিটাল ট্রি আধার’ অর্থাৎ জাতীয় পরিচয়পত্র বানাবে তারা। এর মাধ্যমে প্রত্যেকটি চিনার গাছের খুঁটিনাটি তথ্য পৌঁছে যাবে সরকারের কাছে।

কীভাবে কাজ করবে এই ডিজিটাল ট্রি আধার? জানা গেছে, চিনার গাছ নিয়ে একটি ডেটাবেস তৈরি করবে সরকার। জিও ট্যাগ দেওয়া হবে প্রত্যেকটি গাছে। আধার কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো করেই প্রত্যেকটি গাছের জন্য দেওয়া হবে স্বতন্ত্র কিউআর কোড।

লোকেশন, গাছের স্বাস্থ্য, কীভাবে গাছটি বেড়ে উঠছে- সব তথ্যই পাওয়া যাবে ওই কিউআর কোডে। এমনকি, গাছগুলোর আশেপাশে প্রকৃতি বদলাচ্ছে কি না, কোনোভাবে গাছের ক্ষতি হতে পারে কি না, সেটাও জানা যাবে ওই কিউআর কোডের মাধ্যমে।

ডিজিটাল ট্রি আধার উদ্যোগে প্রথমেই চিনার গাছগুলোর উপর সমীক্ষা চালানো হবে। তারপরে একটি ডিজিটাল প্লেট বসানো হবে প্রত্যেকটি গাছে। এরই মধ্যে সাড়ে ২৮ হাজার গাছের সমীক্ষা হয়ে গেছে বলে জানান প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর সৈয়দ তারিক।

তিনি বলেন, প্রত্যেক জেলার জন্য আলাদা করে রেজিস্টার তৈরি হবে। নতুন করে চিনার গাছ পোঁতা হলে, সেই তথ্যও লেখা হবে এই রেজিস্টারে। আগামী দিনে যেন কাশ্মীরে চিনার গাছ সংরক্ষণ করা যায়, সেজন্যই এমন উদ্যোগ।

সাধারণত ১৫০ বছর বাঁচে একেকটি চিনার গাছ। ৩০ মিটার লম্বা হয় গাছগুলো। ৩০ থেকে ৫০ বছর সময় লাগে এই উচ্চতায় পৌঁছতে। তবে ১৫০ বছর পর্যন্ত বেড়ে উঠতে পারে চিনার গাছ।

দীর্ঘদিন ধরেই কাশ্মীরে আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে চিনার গাছের সংখ্যা। ১৯৭০ এর দশকে রাজ্যটিতে এই গাছের সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার। কিন্তু এখন সেটা কমে ৩৪ হাজারে দাঁড়িয়েছে। সে কারণেই চিনার গাছ বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

সূত্র: দ্য প্রিন্ট