ভরি ১ লাখ ৯১ হাজার ১৯৬ টাকা!
কাল থেকে আরো বাড়ছে স্বর্ণের দাম
- Update Time : ১১:১৮:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৩৩ Time View
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এবার প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫৭৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৯১ হাজার ১৯৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এটিই দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। নতুন এ দাম মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হবে। সোমবার রাতে বাজুস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির কারণ
বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এই দাম বৃদ্ধি চলতি বছরে স্বর্ণের দাম সমন্বয়ের ৫৬তম ঘটনা। এর মধ্যে ৩৯ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমেছে মাত্র ১৭ বার।
নতুন দামের বিবরণ
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৯১ হাজার ১৯৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৮২ হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪২৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২৯ হাজার ৭৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজুস জানিয়েছে, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে।
পূর্ববর্তী দাম
গত ২০ সেপ্টেম্বর বাজুস স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল। সেদিন ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৫৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩০৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৮০ হাজার ৬৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২৮ হাজার ৪৭৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ২১ সেপ্টেম্বর থেকে।
রুপার দাম অপরিবর্তিত
স্বর্ণের দাম বাড়লেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৪৭৬ টাকায়। যা দেশের ইতিহাসে রুপার সর্বোচ্চ দাম। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৩১৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৮৪৬ টাকা এবং ২ হাজার ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি ভরি রুপা।
বাজারে প্রভাব
স্বর্ণের দামে এই অভূতপূর্ব বৃদ্ধি ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বাজুসের মতে, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির কারণে এই সমন্বয় করা হয়েছে। তবে দাম বৃদ্ধির এই ধারা সাধারণ ক্রেতাদের জন্য গহনা ক্রয়কে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তুলছে।
