ঢাকা ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মঈন উদ্দীন

কারিগরি শিক্ষা ও শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিতের লক্ষ্যে ওকাপ কাজ করে যাচ্ছে

আঃ হান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:৪৪:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৫৮ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মঈন উদ্দীন বলেছেন, বৈদেশিক কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, নিরাপদ ও ন্যায়সঙ্গত অভিবাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ সকল অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের অধিকার নিশ্চিত করতে অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ) যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটা প্রশংসার দাবিদার।

তিনি বলেন, অভিবাসীরা কারিগরি শিক্ষা ও শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ) কাজ করে যাচ্ছে। আমরা মনে করি প্রবাসীদের রেমিটেন্স দিয়ে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে রয়েছে। প্রবাসীদের প্রতারনা এবং মানবপাচারের মতো ন্যাক্কারজন কর্ম থেকে বিরত থাকার আহবান জানান।

তিনি আরো বলেন, জীবনের তাগিদে ছেলে-মেয়ে ও পরিবারসহ সকলকে ছেড়ে অভিবাসী হয়ে কাজ করতে গিয়ে প্রতানার শিকার হওয়াটা অনেক কষ্টকর।

তিনি আরো বলেন, প্রতারক বা মানবপাচারকারীর মাধ্যমে অভিবাসী না হয়ে সরকারের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত হয়ে বৈদেশিক কর্মস্থানে গমনে আমাদের সচেতন হতে হবে।

মঙ্গলবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ) আয়োজিত কোয়ালিশন ফর ফেয়ারার লেবার মাইগ্রেশন প্রোমোটিং ইফেকটিভ, রেস্পন্সিভ অ্যান্ড ইনক্লুসিভ গভর্নেন্স ইন বাংলাদেশ(পেরি) গ্রোগ্রাম, বিজ্ঞ বিচারক, আইনজীবী ও অন্যান্য অংশীজনদের নিয়ে বৈদেশিক কর্মস্থান ও অভিবাসী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ এবং মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ বিষয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ রেজাউল করিম, বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন জাহান, বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আয়েশা আক্তার সুমি, বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

এসময় জজশীপ ও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক, জেলা ও ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এবং আইনজীবী সমিতির বিজ্ঞ আইনজীবীগন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন।

Please Share This Post in Your Social Media

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মঈন উদ্দীন

কারিগরি শিক্ষা ও শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিতের লক্ষ্যে ওকাপ কাজ করে যাচ্ছে

আঃ হান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
Update Time : ০৯:৪৪:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মঈন উদ্দীন বলেছেন, বৈদেশিক কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, নিরাপদ ও ন্যায়সঙ্গত অভিবাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ সকল অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের অধিকার নিশ্চিত করতে অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ) যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটা প্রশংসার দাবিদার।

তিনি বলেন, অভিবাসীরা কারিগরি শিক্ষা ও শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ) কাজ করে যাচ্ছে। আমরা মনে করি প্রবাসীদের রেমিটেন্স দিয়ে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে রয়েছে। প্রবাসীদের প্রতারনা এবং মানবপাচারের মতো ন্যাক্কারজন কর্ম থেকে বিরত থাকার আহবান জানান।

তিনি আরো বলেন, জীবনের তাগিদে ছেলে-মেয়ে ও পরিবারসহ সকলকে ছেড়ে অভিবাসী হয়ে কাজ করতে গিয়ে প্রতানার শিকার হওয়াটা অনেক কষ্টকর।

তিনি আরো বলেন, প্রতারক বা মানবপাচারকারীর মাধ্যমে অভিবাসী না হয়ে সরকারের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত হয়ে বৈদেশিক কর্মস্থানে গমনে আমাদের সচেতন হতে হবে।

মঙ্গলবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ) আয়োজিত কোয়ালিশন ফর ফেয়ারার লেবার মাইগ্রেশন প্রোমোটিং ইফেকটিভ, রেস্পন্সিভ অ্যান্ড ইনক্লুসিভ গভর্নেন্স ইন বাংলাদেশ(পেরি) গ্রোগ্রাম, বিজ্ঞ বিচারক, আইনজীবী ও অন্যান্য অংশীজনদের নিয়ে বৈদেশিক কর্মস্থান ও অভিবাসী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ এবং মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ বিষয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ রেজাউল করিম, বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন জাহান, বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আয়েশা আক্তার সুমি, বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

এসময় জজশীপ ও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক, জেলা ও ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এবং আইনজীবী সমিতির বিজ্ঞ আইনজীবীগন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন।