ঢাকা ০২:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কামারপাড়া স্কুলে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ

মোঃ হানিফ হোসেন
  • Update Time : ১১:৪১:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৫১ Time View

রাজধানীর উত্তরায় কামাড়পারা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ খুরশীদ জাহানের পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯ টা থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। দুপুর পর্যন্ত শতাধিক শিক্ষার্থী স্কুলের ভেতরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ে বিরোধিতা করেছেন কামারিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি প্রথমে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে সরে আসতে নোটিশ দেন। তাতেও কাজ না হওয়ায় তিনি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দমনে ছাত্রলীগ নেতাদের সহযোগিতা নেন। এতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

একাধিক শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষিকা খুরশিদ সরকারী চাকরি করার পরেও আওয়ামিলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। শিক্ষার্থীদের জোড় করে রাজনৈতিক বিভিন্ন মিছিল মিটিং করাতেন তিনি। তার ভয়ে প্রতিষ্ঠানের কেউ মুখ খুলতে পারতো না। অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন তিনি।

তারা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের দমাতে তিনি কলেজের ভেতরে পাথর-ইটের খোয়া রেখে দেন। এ ছাড়াও ছিল কাঁচের বোতল। এগুলো আনা হয়েছিল ছাত্রলীগের নেতাদের জন্য। তারা ছাদের ওপর থেকে এগুলো ছুঁড়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আহত করার পরিকল্পনা করছিলেন। তবে শিক্ষার্থীরা এতে রাজী না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষেপে ছিলেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

কামারপাড়া স্কুলে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ

মোঃ হানিফ হোসেন
Update Time : ১১:৪১:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪

রাজধানীর উত্তরায় কামাড়পারা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ খুরশীদ জাহানের পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯ টা থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। দুপুর পর্যন্ত শতাধিক শিক্ষার্থী স্কুলের ভেতরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ে বিরোধিতা করেছেন কামারিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি প্রথমে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে সরে আসতে নোটিশ দেন। তাতেও কাজ না হওয়ায় তিনি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দমনে ছাত্রলীগ নেতাদের সহযোগিতা নেন। এতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

একাধিক শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষিকা খুরশিদ সরকারী চাকরি করার পরেও আওয়ামিলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। শিক্ষার্থীদের জোড় করে রাজনৈতিক বিভিন্ন মিছিল মিটিং করাতেন তিনি। তার ভয়ে প্রতিষ্ঠানের কেউ মুখ খুলতে পারতো না। অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন তিনি।

তারা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের দমাতে তিনি কলেজের ভেতরে পাথর-ইটের খোয়া রেখে দেন। এ ছাড়াও ছিল কাঁচের বোতল। এগুলো আনা হয়েছিল ছাত্রলীগের নেতাদের জন্য। তারা ছাদের ওপর থেকে এগুলো ছুঁড়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আহত করার পরিকল্পনা করছিলেন। তবে শিক্ষার্থীরা এতে রাজী না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষেপে ছিলেন তিনি।