ঢাকা ০১:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত স্বৈরাচার পতনে ক্রীড়ানকের ভুমিকা পালন করে আবু সাঈদের মৃত্যু পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ আটক ১ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে
পরিবেশ ও জ্বালানী উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ

কামরাঙ্গিরচরে গ্যাস নাই, লাকড়িতে চলে রান্না

শরিফুল হক পাভেল
  • Update Time : ০২:৫৩:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১১৯ Time View

তিতাস গ্যাসের গ্রাহকরা লাকড়ি দিয়ে রান্না করছে। ৭ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস কামরাঙ্গিরচরে। শুরু থেকে মাত্র কয়েক বছর গ্যাস সরবরাহ ভালো ছিল। কিন্তু স্বৈরাচারের আমলে গত কয়েক বছর থেকে গ্যাস নাই। চুলা জ্বলে না।

গভীর রাতে মানুষ যখন ঘুমে থাকে, তখন নামকাওয়াস্তে কিছু গ্যাস সরবরাহ করা হয়, তাও আবার ভোরে সূর্যোদয়ের আগেই চলে যায়। অথচ গ্রাহকরা নিয়মিত গ্যাসবিল দিয়েই যাচ্ছেন। কেউ বাকী রাখলে তিতাসের লোকজন এসে রাইজার খুলে নিয়ে লাইন কেটে দিয়ে যায়। এ যেনো ভাত দেয়ার নাম নাই, কিল দেয়ার গোসাই। গ্যাস সরবরাহ করতে পারে না কিন্তু প্রতি মাসের বিল কড়ায় গন্ডায় আদায় করছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

গ্রাহকের দুর্ভোগের কথা একবারও চিন্তা করে না। লজ্জা শরমও নাই। গ্যাস থাকুক আর না থাকুক প্রতিমাসের বিল দিতে হবে। এ অবস্থায় মানুষ এখন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। অনেকে বলেছেন, না আর সহ্য করা যাবেনা। এবার প্রতিরোধ আন্দোলন করতে হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় নেতা নওরোজকে বলেন, “এবার আসুক লাইন কাটতে। হাতই কেটে রাখবো। দিন দিন ক্ষোভে ফুসে উঠছে কামরাঙ্গিরচরের মানুষ। তাদের কথা, টাকা দেই গ্যাস পাই না অথচ লাকড়ি কিনে পরিবেশ নষ্ট করছি। এটা দেখবে কে? পরিবেশ ও জ্বালানী মন্ত্রনালয় এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিরব।”

কামরাঙ্গিরচরে অবৈধ লাইন। অনেক টাকা গ্যাস বিল বকেয়া- এই ঠুনকো অভিযোগে সাবেক স্বৈরাচার সরকারের এমডি প্রায় দুই মাস দুই দফায় কামরাঙ্গিরচরে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখে। অথচ গুটিকয়েক গ্রাহকের বকেয়ার কারণে নিয়মিত বিল পরিশোধকারীরা অহেতুক ভোগান্তিতে পরে। কিন্তুু একেবারেই গ্যাস না দিয়ে ঐ সময় সবাইকে বিল পরিশোধ করতে হয়।

ভুক্তভোগীরা জানান, কামরাঙ্গিরচরের বিভিন্ন এলাকায় চুলাসহ বিভিন্ন ভারী শিল্প-কারখানা ও নতুন ফ্ল্যাট বাড়ীতে অবৈধ গ্যাসের সংযোগ রয়েছে। এগুলো তিতাস গ্যাসের লোকজনের সহায়তায় হয়েছে। মাঝে মাঝে লোক দেখানো অভিযানে স্বল্প সংখ্যক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। দু’একদিন যেতে না যেতেই পুনরায় ঐসব সংযোগ চালু হয়ে যায়। এজন্য তিতাসের পক্ষ থেকে নাকি মাসোহারা চালু রয়েছে। এসব অবৈধ সংযোগের সাথে তিতাসের স্থানীয় কতিপয় ঠিকাদাররাও জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

পরিবেশ ও জ্বালানী উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ

কামরাঙ্গিরচরে গ্যাস নাই, লাকড়িতে চলে রান্না

শরিফুল হক পাভেল
Update Time : ০২:৫৩:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

তিতাস গ্যাসের গ্রাহকরা লাকড়ি দিয়ে রান্না করছে। ৭ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস কামরাঙ্গিরচরে। শুরু থেকে মাত্র কয়েক বছর গ্যাস সরবরাহ ভালো ছিল। কিন্তু স্বৈরাচারের আমলে গত কয়েক বছর থেকে গ্যাস নাই। চুলা জ্বলে না।

গভীর রাতে মানুষ যখন ঘুমে থাকে, তখন নামকাওয়াস্তে কিছু গ্যাস সরবরাহ করা হয়, তাও আবার ভোরে সূর্যোদয়ের আগেই চলে যায়। অথচ গ্রাহকরা নিয়মিত গ্যাসবিল দিয়েই যাচ্ছেন। কেউ বাকী রাখলে তিতাসের লোকজন এসে রাইজার খুলে নিয়ে লাইন কেটে দিয়ে যায়। এ যেনো ভাত দেয়ার নাম নাই, কিল দেয়ার গোসাই। গ্যাস সরবরাহ করতে পারে না কিন্তু প্রতি মাসের বিল কড়ায় গন্ডায় আদায় করছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

গ্রাহকের দুর্ভোগের কথা একবারও চিন্তা করে না। লজ্জা শরমও নাই। গ্যাস থাকুক আর না থাকুক প্রতিমাসের বিল দিতে হবে। এ অবস্থায় মানুষ এখন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। অনেকে বলেছেন, না আর সহ্য করা যাবেনা। এবার প্রতিরোধ আন্দোলন করতে হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় নেতা নওরোজকে বলেন, “এবার আসুক লাইন কাটতে। হাতই কেটে রাখবো। দিন দিন ক্ষোভে ফুসে উঠছে কামরাঙ্গিরচরের মানুষ। তাদের কথা, টাকা দেই গ্যাস পাই না অথচ লাকড়ি কিনে পরিবেশ নষ্ট করছি। এটা দেখবে কে? পরিবেশ ও জ্বালানী মন্ত্রনালয় এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিরব।”

কামরাঙ্গিরচরে অবৈধ লাইন। অনেক টাকা গ্যাস বিল বকেয়া- এই ঠুনকো অভিযোগে সাবেক স্বৈরাচার সরকারের এমডি প্রায় দুই মাস দুই দফায় কামরাঙ্গিরচরে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখে। অথচ গুটিকয়েক গ্রাহকের বকেয়ার কারণে নিয়মিত বিল পরিশোধকারীরা অহেতুক ভোগান্তিতে পরে। কিন্তুু একেবারেই গ্যাস না দিয়ে ঐ সময় সবাইকে বিল পরিশোধ করতে হয়।

ভুক্তভোগীরা জানান, কামরাঙ্গিরচরের বিভিন্ন এলাকায় চুলাসহ বিভিন্ন ভারী শিল্প-কারখানা ও নতুন ফ্ল্যাট বাড়ীতে অবৈধ গ্যাসের সংযোগ রয়েছে। এগুলো তিতাস গ্যাসের লোকজনের সহায়তায় হয়েছে। মাঝে মাঝে লোক দেখানো অভিযানে স্বল্প সংখ্যক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। দু’একদিন যেতে না যেতেই পুনরায় ঐসব সংযোগ চালু হয়ে যায়। এজন্য তিতাসের পক্ষ থেকে নাকি মাসোহারা চালু রয়েছে। এসব অবৈধ সংযোগের সাথে তিতাসের স্থানীয় কতিপয় ঠিকাদাররাও জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।