ঢাকা ০১:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জাতীয় পরিচয় পত্রের কার্যক্রম সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশনে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন রমেকের ডাক্তার মাহাবুবকে চান ‘না’ সহকর্মীরা, অন্যত্র বদলির দাবি  চায়ের দোকানের আঁড়ালে মদের ব্যবসা, গ্রেফতার ২ কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস
পরিবেশ ও জ্বালানী উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ

কামরাঙ্গিরচরে গ্যাস নাই, লাকড়িতে চলে রান্না

শরিফুল হক পাভেল
  • Update Time : ০২:৫৩:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৫৬ Time View

তিতাস গ্যাসের গ্রাহকরা লাকড়ি দিয়ে রান্না করছে। ৭ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস কামরাঙ্গিরচরে। শুরু থেকে মাত্র কয়েক বছর গ্যাস সরবরাহ ভালো ছিল। কিন্তু স্বৈরাচারের আমলে গত কয়েক বছর থেকে গ্যাস নাই। চুলা জ্বলে না।

গভীর রাতে মানুষ যখন ঘুমে থাকে, তখন নামকাওয়াস্তে কিছু গ্যাস সরবরাহ করা হয়, তাও আবার ভোরে সূর্যোদয়ের আগেই চলে যায়। অথচ গ্রাহকরা নিয়মিত গ্যাসবিল দিয়েই যাচ্ছেন। কেউ বাকী রাখলে তিতাসের লোকজন এসে রাইজার খুলে নিয়ে লাইন কেটে দিয়ে যায়। এ যেনো ভাত দেয়ার নাম নাই, কিল দেয়ার গোসাই। গ্যাস সরবরাহ করতে পারে না কিন্তু প্রতি মাসের বিল কড়ায় গন্ডায় আদায় করছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

গ্রাহকের দুর্ভোগের কথা একবারও চিন্তা করে না। লজ্জা শরমও নাই। গ্যাস থাকুক আর না থাকুক প্রতিমাসের বিল দিতে হবে। এ অবস্থায় মানুষ এখন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। অনেকে বলেছেন, না আর সহ্য করা যাবেনা। এবার প্রতিরোধ আন্দোলন করতে হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় নেতা নওরোজকে বলেন, “এবার আসুক লাইন কাটতে। হাতই কেটে রাখবো। দিন দিন ক্ষোভে ফুসে উঠছে কামরাঙ্গিরচরের মানুষ। তাদের কথা, টাকা দেই গ্যাস পাই না অথচ লাকড়ি কিনে পরিবেশ নষ্ট করছি। এটা দেখবে কে? পরিবেশ ও জ্বালানী মন্ত্রনালয় এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিরব।”

কামরাঙ্গিরচরে অবৈধ লাইন। অনেক টাকা গ্যাস বিল বকেয়া- এই ঠুনকো অভিযোগে সাবেক স্বৈরাচার সরকারের এমডি প্রায় দুই মাস দুই দফায় কামরাঙ্গিরচরে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখে। অথচ গুটিকয়েক গ্রাহকের বকেয়ার কারণে নিয়মিত বিল পরিশোধকারীরা অহেতুক ভোগান্তিতে পরে। কিন্তুু একেবারেই গ্যাস না দিয়ে ঐ সময় সবাইকে বিল পরিশোধ করতে হয়।

ভুক্তভোগীরা জানান, কামরাঙ্গিরচরের বিভিন্ন এলাকায় চুলাসহ বিভিন্ন ভারী শিল্প-কারখানা ও নতুন ফ্ল্যাট বাড়ীতে অবৈধ গ্যাসের সংযোগ রয়েছে। এগুলো তিতাস গ্যাসের লোকজনের সহায়তায় হয়েছে। মাঝে মাঝে লোক দেখানো অভিযানে স্বল্প সংখ্যক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। দু’একদিন যেতে না যেতেই পুনরায় ঐসব সংযোগ চালু হয়ে যায়। এজন্য তিতাসের পক্ষ থেকে নাকি মাসোহারা চালু রয়েছে। এসব অবৈধ সংযোগের সাথে তিতাসের স্থানীয় কতিপয় ঠিকাদাররাও জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

পরিবেশ ও জ্বালানী উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ

কামরাঙ্গিরচরে গ্যাস নাই, লাকড়িতে চলে রান্না

শরিফুল হক পাভেল
Update Time : ০২:৫৩:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

তিতাস গ্যাসের গ্রাহকরা লাকড়ি দিয়ে রান্না করছে। ৭ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস কামরাঙ্গিরচরে। শুরু থেকে মাত্র কয়েক বছর গ্যাস সরবরাহ ভালো ছিল। কিন্তু স্বৈরাচারের আমলে গত কয়েক বছর থেকে গ্যাস নাই। চুলা জ্বলে না।

গভীর রাতে মানুষ যখন ঘুমে থাকে, তখন নামকাওয়াস্তে কিছু গ্যাস সরবরাহ করা হয়, তাও আবার ভোরে সূর্যোদয়ের আগেই চলে যায়। অথচ গ্রাহকরা নিয়মিত গ্যাসবিল দিয়েই যাচ্ছেন। কেউ বাকী রাখলে তিতাসের লোকজন এসে রাইজার খুলে নিয়ে লাইন কেটে দিয়ে যায়। এ যেনো ভাত দেয়ার নাম নাই, কিল দেয়ার গোসাই। গ্যাস সরবরাহ করতে পারে না কিন্তু প্রতি মাসের বিল কড়ায় গন্ডায় আদায় করছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

গ্রাহকের দুর্ভোগের কথা একবারও চিন্তা করে না। লজ্জা শরমও নাই। গ্যাস থাকুক আর না থাকুক প্রতিমাসের বিল দিতে হবে। এ অবস্থায় মানুষ এখন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। অনেকে বলেছেন, না আর সহ্য করা যাবেনা। এবার প্রতিরোধ আন্দোলন করতে হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় নেতা নওরোজকে বলেন, “এবার আসুক লাইন কাটতে। হাতই কেটে রাখবো। দিন দিন ক্ষোভে ফুসে উঠছে কামরাঙ্গিরচরের মানুষ। তাদের কথা, টাকা দেই গ্যাস পাই না অথচ লাকড়ি কিনে পরিবেশ নষ্ট করছি। এটা দেখবে কে? পরিবেশ ও জ্বালানী মন্ত্রনালয় এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিরব।”

কামরাঙ্গিরচরে অবৈধ লাইন। অনেক টাকা গ্যাস বিল বকেয়া- এই ঠুনকো অভিযোগে সাবেক স্বৈরাচার সরকারের এমডি প্রায় দুই মাস দুই দফায় কামরাঙ্গিরচরে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখে। অথচ গুটিকয়েক গ্রাহকের বকেয়ার কারণে নিয়মিত বিল পরিশোধকারীরা অহেতুক ভোগান্তিতে পরে। কিন্তুু একেবারেই গ্যাস না দিয়ে ঐ সময় সবাইকে বিল পরিশোধ করতে হয়।

ভুক্তভোগীরা জানান, কামরাঙ্গিরচরের বিভিন্ন এলাকায় চুলাসহ বিভিন্ন ভারী শিল্প-কারখানা ও নতুন ফ্ল্যাট বাড়ীতে অবৈধ গ্যাসের সংযোগ রয়েছে। এগুলো তিতাস গ্যাসের লোকজনের সহায়তায় হয়েছে। মাঝে মাঝে লোক দেখানো অভিযানে স্বল্প সংখ্যক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। দু’একদিন যেতে না যেতেই পুনরায় ঐসব সংযোগ চালু হয়ে যায়। এজন্য তিতাসের পক্ষ থেকে নাকি মাসোহারা চালু রয়েছে। এসব অবৈধ সংযোগের সাথে তিতাসের স্থানীয় কতিপয় ঠিকাদাররাও জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।