আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
কলকাতায় নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় চিকিৎসকদের গণ ইস্তফা

- Update Time : ০৮:০৪:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
- / ৪২ Time View
কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় বিচারের দাবিতে প্রায় দুই মাস ধরে রাজপথে আন্দোলন করছেন পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকরা। সবশেষ রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকরা ১০ দফা দাবি নিয়ে কলকাতার এসপ্ল্যানেডে গত শনিবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন।
এই অনশনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে মঙ্গলবারই আর জি কর হাসপাতালের ৫০ জন সিনিয়র চিকিৎসক একসঙ্গে ‘গণ ইস্তফা’ দিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার গণ ইস্তফা দিলেন কলকাতা মেডিকেল কলেজের ৭০ জন চিকিৎসক।
এদিকে ন্যাশনাল মেডিকেলের ৩৫ জন এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেলের আরও ৫০ জন সিনিয়র চিকিৎসক গণ ইস্তফা দিয়েছেন।
তারা বলেছেন, জুনিয়ার চিকিৎসকদের দাবি যৌক্তিক। রাজ্য সরকার কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় তারা গণ ইস্তফা দিয়েছেন। পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলন শুরুর হুমকিও দেন তারা।
কলকাতা মেডিকেল কলেজের এক জুনিয়র চিকিৎসক সংবাদমাধ্যম এবিপিকে বলেন, আমরা এতদিন ধরে আন্দোলনে আছি, সিনিয়র চিকিৎসকরা আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। এটাকে আমরা গার্ড অফ অনার হিসেবে দেখতে চাই। সিনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আজকে যে গণ ইস্তফা, সেটা যদি সরকার গ্রাহ্য না করে, তাহলে পরবর্তীতে তারা ইনডিভিজুয়ালি ইস্তফা দিতেও পিছপা হবেন না। এই ডিসিশনকে আমরা আন্তরিকভাবে সম্মান জানাই।
তবে সিনিয়র চিকিৎসকদের গণ ইস্তফার এই পদক্ষেপকে স্বাভাবিকভাবে নেয়নি পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল সরকার। দলটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা কুণাল ঘোষ চিকিৎসকদের কটাক্ষ করে বলেছেন, পুজোর ছুটিতে অনেকের বাইরে যাওয়ার আছে৷ তাই এই ছুঁতো করছেন।
এদিকে আর জি কর মেডিকেলে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) প্রথম চার্জশিটে একজনের নাম কেন? এই প্রশ্ন তুলে বুধবার সিবিআই অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দেন ডাক্তার-নার্সদের তিনটি সংগঠন- সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম, মেডিকেল সার্ভিস সেন্টার ও নার্সেস ইউনিটি।
স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ৩টায় কলকাতার করুণাময়ী মোড় থেকে শুরু হয় মিছিল। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মিছিলটি কলকাতার সিবিআই কার্যালয় অর্থাৎ সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে এসে পৌঁছয়। পরে চারজনের একটি প্রতিনিধি দলকে সিবিআই কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তারা বর্তমানে সিবিআই কার্যালয়ে রয়েছেন।
চিকিৎসকদের অভিযোগ, যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে, সেখানে গ্রেপ্তার সিভিক ভলান্টিয়ারকেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে। কিন্তু প্রথম থেকেই চিকিৎসকদের একাংশের পক্ষ থেকে দাবি উঠছিলো, যে ধরনের নৃশংসতা ঘটেছে, তা কারোর একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। সিবিআই তদন্ত এবং তাদের চার্জশিট চিকিৎসকদের কাছে সন্তোষজনক মনে হয়নি।
এর আগে তদন্তভার হাতে পাওয়ার ৫৫ দিনের মাথায় গতকাল প্রথম চার্জশিট দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। গ্রেপ্তার সিভিক ভলান্টিয়ারকেই ধর্ষক ও খুনি হিসাবে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে সিবিআই।