ঢাকা ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কম্বাইন্ড ডিগ্রীর দাবিতে পশুপালন অনুষদের ষষ্ঠ দিনের বিক্ষোভ

বাকৃবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৩:৫২:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৬৫ Time View

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কম্বাইন্ড (বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি) ডিগ্রির দাবিতে টানা ছয়দিন ধরে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করেছে পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৪ আগস্ট) কম্বাইন্ড ডিগ্রীর বাস্তবায়নের দাবিতে ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে সকাল ১১টায় পশুপালন অনুষদের সামনে থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীরা ‘এক দফা এক দাবি, কম্বাইন্ড কম্বাইন্ড’, ‘এক পেশায় দুই ডিগ্রি, মানি না মানি না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

পরবর্তীতে দুপুর সাড়ে ১২টায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে ৭জন প্রতিনিধি দল নিয়ে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া আলোচনায় বসেন। আলোচনায় উপাচার্য ইতিবাচক সাড়া দেন সাথে কম্বাইন্ড ডিগ্রীর পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা এগিয়ে নিতে আগামী ৬ আগস্ট তারিখে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা বসতে সম্মতি দিয়েছেন। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নাম, রেজিস্ট্রেশনসহ স্বাক্ষরিত ডকুমেন্ট উপাচার্যের কাছে জমা দিতে হবে।

এ ব্যাপারে বাকৃবি উপাচার্যের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো আব্দুল আলীম বলেন, ‘একটি ডিগ্রী অবলুপ্ত বা মার্জ করতে অনেক জায়গায় যেতে হয়। একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট সভা, ইউসিজি থেকে শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যন্ত যেতে হবে। এক্ষেত্রে দাবির পক্ষে সাপোর্টার কারা, কারা চাচ্ছে, বেনিফিশিয়ারি কে হবে তাদের ডকুমেন্ট থাকতে হবে নতুবা যৌক্তিক দাবি প্রতিষ্ঠা করা কঠিন। সুতরাং তোমাদের কাছে অনুরোধ আমাগী পরশুদিনের আগে তোমাদের স্বাক্ষরিত ডকুমেন্ট জমা দাও। ওইদিন তোমাদের মধ্যে আলোচনা করে যখনই বসতে চাইবে ভিসি স্যার আলোচনায় বসবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছেন তাদের নাম যদি ডকুমেন্টে থাকে তাদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। ভিসি স্যার আশ্বাস দিয়েছেন আইডি থাকলে কোনো সমস্যা হবে না। আবারো আল্লাহকে হাজির নাজির রেখে বলছি তোমাদের কোনো ভয় নাই, তোমাদের আইডি রেজিস্ট্রেশন থাকলে কোনো ক্ষতি হবে না।’

এর আগে আজ সকাল ১১টায় আন্দোলনের শুরুতে পশুপালন অনুষদের ডিন কার্যালয় ও প্রধান দুটি ফটকে তালা লাগিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। আগামী পরশু উপাচার্যের সাথে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়া পর্যন্ত দিন কার্যালয় তালাবদ্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে আলন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে না প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ৩য় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আগামী পরশু ভিসি স্যারের সাথে আলোচনায় বসার কথা। আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়া পর্যন্ত কোনো তালা খোলা হবে না। আলোচনায় আশানুরূপ না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবো।’

Please Share This Post in Your Social Media

কম্বাইন্ড ডিগ্রীর দাবিতে পশুপালন অনুষদের ষষ্ঠ দিনের বিক্ষোভ

বাকৃবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৩:৫২:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কম্বাইন্ড (বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি) ডিগ্রির দাবিতে টানা ছয়দিন ধরে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করেছে পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৪ আগস্ট) কম্বাইন্ড ডিগ্রীর বাস্তবায়নের দাবিতে ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে সকাল ১১টায় পশুপালন অনুষদের সামনে থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীরা ‘এক দফা এক দাবি, কম্বাইন্ড কম্বাইন্ড’, ‘এক পেশায় দুই ডিগ্রি, মানি না মানি না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

পরবর্তীতে দুপুর সাড়ে ১২টায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে ৭জন প্রতিনিধি দল নিয়ে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া আলোচনায় বসেন। আলোচনায় উপাচার্য ইতিবাচক সাড়া দেন সাথে কম্বাইন্ড ডিগ্রীর পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা এগিয়ে নিতে আগামী ৬ আগস্ট তারিখে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা বসতে সম্মতি দিয়েছেন। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নাম, রেজিস্ট্রেশনসহ স্বাক্ষরিত ডকুমেন্ট উপাচার্যের কাছে জমা দিতে হবে।

এ ব্যাপারে বাকৃবি উপাচার্যের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো আব্দুল আলীম বলেন, ‘একটি ডিগ্রী অবলুপ্ত বা মার্জ করতে অনেক জায়গায় যেতে হয়। একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট সভা, ইউসিজি থেকে শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যন্ত যেতে হবে। এক্ষেত্রে দাবির পক্ষে সাপোর্টার কারা, কারা চাচ্ছে, বেনিফিশিয়ারি কে হবে তাদের ডকুমেন্ট থাকতে হবে নতুবা যৌক্তিক দাবি প্রতিষ্ঠা করা কঠিন। সুতরাং তোমাদের কাছে অনুরোধ আমাগী পরশুদিনের আগে তোমাদের স্বাক্ষরিত ডকুমেন্ট জমা দাও। ওইদিন তোমাদের মধ্যে আলোচনা করে যখনই বসতে চাইবে ভিসি স্যার আলোচনায় বসবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছেন তাদের নাম যদি ডকুমেন্টে থাকে তাদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। ভিসি স্যার আশ্বাস দিয়েছেন আইডি থাকলে কোনো সমস্যা হবে না। আবারো আল্লাহকে হাজির নাজির রেখে বলছি তোমাদের কোনো ভয় নাই, তোমাদের আইডি রেজিস্ট্রেশন থাকলে কোনো ক্ষতি হবে না।’

এর আগে আজ সকাল ১১টায় আন্দোলনের শুরুতে পশুপালন অনুষদের ডিন কার্যালয় ও প্রধান দুটি ফটকে তালা লাগিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। আগামী পরশু উপাচার্যের সাথে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়া পর্যন্ত দিন কার্যালয় তালাবদ্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে আলন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে না প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ৩য় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আগামী পরশু ভিসি স্যারের সাথে আলোচনায় বসার কথা। আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়া পর্যন্ত কোনো তালা খোলা হবে না। আলোচনায় আশানুরূপ না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবো।’