কমলাপুর স্টেশন ফাঁকা, ট্রেনের টিকিটে বাসে চড়ছেন যাত্রীরা

- Update Time : ০৫:৫৩:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
- / ১০১ Time View
মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধার দাবিতে সারাদেশে কর্মবিরতি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি। এতে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে যাত্রীদের জন্য বিকল্প হিসেবে বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ যাত্রীরা চাইলে ট্রেনের টিকিটে বাসে ভ্রমণ করতে পারছেন।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেকে স্টেশনে এসে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ফিরে যাচ্ছেন। সকালের দিকে স্টেশন এলাকায় যাত্রীদের কিছুটা ভিড় থাকলেও দুপুরে পুরো স্টেশন ছিল প্রায় ফাঁকা। যাত্রীর আনাগোনাও ছিল হাতে গোনা।
যেসব যাত্রী সকাল থেকে স্টেশনে ছিলেন তারা কেউ কেউ বিকল্প হিসেবে বাসে যাতায়াত করেছেন, কেউবা বাসায় ফিরে গেছেন। স্টেশন থেকে যারা টিকিট কেটেছেন তাদের অনেকেই টিকিটের টাকা ফেরত নিচ্ছেন।
স্টেশন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রেন না চলার খবরে যাত্রীরা স্টেশনে আসছেন না। বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, যেসব ট্রেন চলবে না সেসব ট্রেনের যাত্রীরা টিকিট ফেরত নিতে পারবেন। আর বিকল্প হিসেবে বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ যাত্রীরা চাইলে ট্রেনের টিকিট দিয়ে বাসে ভ্রমণ করতে পারবেন।
স্টেশনে কথা হয় জুবায়ের আলী নামে এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার ট্রেন দুপুর ১২টায় ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু স্টেশনে এসে দেখি ট্রেন চলাচল বন্ধ। বাসে যেতে অনেক সময় লাগবে। টিকিটের টাকা ফেরত নিয়ে বাসায় ফিরে যাবো। আজকে আর যাওয়া হবে না।
আরেক যাত্রী ইমন বলেন, ট্রেন চলছে না। বাড়ি যাবো বলে অফিস থেকে ছুটি নিয়েছি। বাড়ি তো যেতেই হবে৷ বাসে চলে যাবো৷
বিকল্প হিসেবে কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করা হলেও বাসগুলো দেরিতে ছাড়ছে। দীর্ঘ যাত্রায় ট্রেনে ভ্রমণ করে অভ্যস্ত যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন বলেন, কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ৷ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আলোচনা করছেন৷ তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। কখন ট্রেন চলাচল শুরু হবে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এদিকে, কর্মবিরতির কারণে সোমবার মধ্যরাতের পর কমলাপুর স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা।
দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, এরই মধ্যে রেলকর্মীদের কিছু দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। অন্য দাবিগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দেখবে। যেকোনো যৌক্তিক দাবি এলে অর্থ মন্ত্রণালয় মানা করবে না। মানবিক কারণে বা মানুষের চাকরি ব্যাপারে সমস্যা হলে, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়