ঢাকা ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
স্বৈরাচার পতনে ক্রীড়ানকের ভুমিকা পালন করে আবু সাঈদের মৃত্যু পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ আটক ১ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে কুবির এক শিক্ষক ও এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ সেনা কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা, ভুয়া ‘মেজর’ আটক মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে লাখ টাকা জরিমানা, ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড মাদক বিরোধে যুবক খুন, অভিযানে মিললো ৯ কোটি টাকার মাদক নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণ-হত্যা মামলা তুলে না নেওয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার ৬ ক্ষমতার লোভ শেখ মুজিবও সামলাতে পারেননি

কন্টেইনার জট নিরসনে চট্টগ্রাম বন্দরে বিশেষ আদেশ জারি

অর্থনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ০৩:৩৬:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • / ১৩৭ Time View

চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা কন্টেইনারগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি এবং বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

বুধবার (১৪ মে) ‘চট্টগ্রাম বন্দরে দ্রুত নিলাম, বিলিবন্দেজ ও ধ্বংস কার্যক্রম সংক্রান্ত বিশেষ আদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়।

আদেশে বলা হয়, ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যেসব পণ্য বন্দরে খালাস হয়নি, সেগুলোর কারণে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিনের পুরনো কেমিক্যাল ও বিপজ্জনক পণ্যগুলো বিস্ফোরণসহ বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছে। এসব ঝুঁকি দ্রুত নিরসনে প্রচলিত প্রমিত (Standard) নিলাম পদ্ধতির বাইরে গিয়ে ত্বরিত ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

বিশেষ আদেশ অনুযায়ী, নিষ্পত্তিযোগ্য পণ্যগুলোর ক্ষেত্রে সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণের প্রয়োজন হবে না। প্রথম নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে বিক্রির সুযোগ থাকবে, তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে। এছাড়া যেগুলোর গুণগত মান নষ্ট হয়ে গেছে বা যেগুলোর নিলাম সম্ভব নয়, সেগুলো ধ্বংস বা নিষ্ক্রিয় করতে প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম বা বিশেষায়িত সংস্থার কাছে বিনামূল্যে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা যাবে।

দুই দফা নিলামেও যদি কোনও পণ্য বিক্রি না হয়, তাহলে তৃতীয় নিলাম ছাড়াই ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে আগ্রহী ক্রেতার কাছে সর্বোচ্চ প্রাপ্ত দামে তা বিক্রি করা যাবে। একইসঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ বিপজ্জনক কেমিক্যাল জাতীয় পণ্য, যেগুলো পরীক্ষণ কর্তৃপক্ষের মতে এখনও ব্যবহারের উপযোগী, সেগুলো নির্ভরযোগ্য ক্রেতা বা বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের কাছে সর্বোচ্চ অফারে বিক্রির সুযোগ রাখা হয়েছে।

এনবিআর আশা করছে, এ আদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বন্দরের কন্টেইনার জট কমবে, দ্রুত পণ্য খালাস নিশ্চিত হবে, নিরাপত্তা ঝুঁকি হ্রাস পাবে এবং আমদানি-রফতানিকারকদের খরচ ও সময় কমবে। এতে দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

Please Share This Post in Your Social Media

কন্টেইনার জট নিরসনে চট্টগ্রাম বন্দরে বিশেষ আদেশ জারি

অর্থনীতি ডেস্ক
Update Time : ০৩:৩৬:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা কন্টেইনারগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি এবং বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

বুধবার (১৪ মে) ‘চট্টগ্রাম বন্দরে দ্রুত নিলাম, বিলিবন্দেজ ও ধ্বংস কার্যক্রম সংক্রান্ত বিশেষ আদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়।

আদেশে বলা হয়, ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যেসব পণ্য বন্দরে খালাস হয়নি, সেগুলোর কারণে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিনের পুরনো কেমিক্যাল ও বিপজ্জনক পণ্যগুলো বিস্ফোরণসহ বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছে। এসব ঝুঁকি দ্রুত নিরসনে প্রচলিত প্রমিত (Standard) নিলাম পদ্ধতির বাইরে গিয়ে ত্বরিত ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

বিশেষ আদেশ অনুযায়ী, নিষ্পত্তিযোগ্য পণ্যগুলোর ক্ষেত্রে সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণের প্রয়োজন হবে না। প্রথম নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে বিক্রির সুযোগ থাকবে, তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে। এছাড়া যেগুলোর গুণগত মান নষ্ট হয়ে গেছে বা যেগুলোর নিলাম সম্ভব নয়, সেগুলো ধ্বংস বা নিষ্ক্রিয় করতে প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম বা বিশেষায়িত সংস্থার কাছে বিনামূল্যে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা যাবে।

দুই দফা নিলামেও যদি কোনও পণ্য বিক্রি না হয়, তাহলে তৃতীয় নিলাম ছাড়াই ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে আগ্রহী ক্রেতার কাছে সর্বোচ্চ প্রাপ্ত দামে তা বিক্রি করা যাবে। একইসঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ বিপজ্জনক কেমিক্যাল জাতীয় পণ্য, যেগুলো পরীক্ষণ কর্তৃপক্ষের মতে এখনও ব্যবহারের উপযোগী, সেগুলো নির্ভরযোগ্য ক্রেতা বা বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের কাছে সর্বোচ্চ অফারে বিক্রির সুযোগ রাখা হয়েছে।

এনবিআর আশা করছে, এ আদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বন্দরের কন্টেইনার জট কমবে, দ্রুত পণ্য খালাস নিশ্চিত হবে, নিরাপত্তা ঝুঁকি হ্রাস পাবে এবং আমদানি-রফতানিকারকদের খরচ ও সময় কমবে। এতে দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে সংস্থাটি।