ঢাকা ০১:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সিলেটসহ অন্যান্য স্থানে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ ইসরায়েলি নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে লোহাগাড়া যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল রংপুরে নানা আয়োজনে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদ্‌যাপিত টঙ্গীতে পোশাক শ্রমিক ছুরিকাঘাতে নিহত রংপুরে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ, আট নেতা বহিষ্কার তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিকল্প অর্থায়নের উপর তাগিদ উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধি দল উখিয়ায় মাত্র ৫ গন্ডা জমির জন্য প্রান গেলো ৩ জনের গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন। টঙ্গীতে ট্রেনে কাটা পড়ে গৃহবধূর মৃত্যু,পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড

কক্সবাজারে পর্যটকদের ঢল, হোটেল-মোটেলে খালি নেই রুম

অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ১২:৩৪:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৮০ Time View

লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত কক্সবাজার। সাপ্তাহিক ছুটি ও ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নেমেছে পর্যটকের ঢল। পাঁচ শতাধিক হোটেল মোটেলের কোনো রুম খালি নেই বলে জানা গেছে।

অনেক পর্যটক রুম না পেয়ে ব্যাগ-লাগেজ নিয়ে যত্রতত্র ঘুরছেন। আশানুরূপ পর্যটক আসায় এই মৌসুমে শতকোটি টাকার ব্যবসায়ের আশা করছেন হোটেল মালিকেরা।

তারা বলছেন, গতকাল শুক্রবার থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত হোটেল-মোটেল-গেস্টহাউস-রিসোর্ট কোথাও কোনো রুম খালি নেই। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর ১০ শতাংশ রুম খালি থাকলেও এরপর থার্টি ফার্স্ট নাইট (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত শতভাগ রুম অগ্রিম বুকিং করা। আগামী ১০ দিনে সৈকতে অন্তত ৭ লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলে মালিকেরা মনে করছেন।

কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, এতদিন কিছুটা পর্যটকের ভাড়া থাকলেও ডিসেম্বর মাসে পর্যটক বেড়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ায় অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে এই লম্বা ছুটি কাটাতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে এসেছে । আমাদের হোটেল প্রায় রুম শতভাগ বুকিং। অনেক পর্যটক রুম চাইলেও দিতে পারছি না।

সী গাজীপুর রিসোর্টের ব্যবস্থাপক আব্দুল জব্বার বলেন, গতকাল শুক্রবার থেকে আমাদের হোটেলে কোনো রুম খালি নেই। এটির চাপ জানুয়ারি ১০ তারিখ পর্যন্ত থাকবে।

কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটক রিয়াদ বলেন, আমরা বন্ধুরা মিলে কক্সবাজারে ভ্রমণে এসেছি। রুম বুকিং না দিয়ে এখানে এসে বিপদে পড়েছি।কোনো রুম পাচ্ছি না। কটেজে কিছু রুম খালি আছে এগুলো মানসম্মত নয় এবং দামও বেশি।

আরেক পর্যটক কায়সার বলেন, সন্তানদের পরীক্ষা শেষ। তাই তাদের সময় দিতে পুরো পরিবার আসছি। সমুদ্র পাড়ে এসে এক সঙ্গে এত মানুষ দেখে ভালো লাগছে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, সৈকতের কলাতলী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট ও লাবনী পয়েন্টে পর্যটকে ভরা। শুধু এই তিন পয়েন্ট ছাড়া অন্য পয়েন্টগুলোতে চোখে পড়ার মত ভিড় ছিল। আগত পর্যটরা বালিয়াড়িতে দাঁড়িয়ে ঘোড়ায় চড়ে, ওয়াটার বাইক ও বিচ বাইকে চড়ে সমুদ্র দর্শনে মেতেছেন। কিছু পর্যটক নোনা জলে স্নান করতে নেমে আনন্দ উপভোগ করছেন।

কক্সবাজার পর্যটক সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসাইন বলেন, লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত কক্সবাজার। আগত পর্যটকদের সেবা দিতে আমরা প্রস্তুত। কোনো পর্যটক হয়রানি হলে অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম বলেন, আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের টহল আরও দুইগুণ বাড়ানো হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

কক্সবাজারে পর্যটকদের ঢল, হোটেল-মোটেলে খালি নেই রুম

অনলাইন ডেস্ক
Update Time : ১২:৩৪:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

অনেক পর্যটক রুম না পেয়ে ব্যাগ-লাগেজ নিয়ে যত্রতত্র ঘুরছেন। আশানুরূপ পর্যটক আসায় এই মৌসুমে শতকোটি টাকার ব্যবসায়ের আশা করছেন হোটেল মালিকেরা।

তারা বলছেন, গতকাল শুক্রবার থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত হোটেল-মোটেল-গেস্টহাউস-রিসোর্ট কোথাও কোনো রুম খালি নেই। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর ১০ শতাংশ রুম খালি থাকলেও এরপর থার্টি ফার্স্ট নাইট (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত শতভাগ রুম অগ্রিম বুকিং করা। আগামী ১০ দিনে সৈকতে অন্তত ৭ লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলে মালিকেরা মনে করছেন।

কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, এতদিন কিছুটা পর্যটকের ভাড়া থাকলেও ডিসেম্বর মাসে পর্যটক বেড়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ায় অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে এই লম্বা ছুটি কাটাতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে এসেছে । আমাদের হোটেল প্রায় রুম শতভাগ বুকিং। অনেক পর্যটক রুম চাইলেও দিতে পারছি না।

সী গাজীপুর রিসোর্টের ব্যবস্থাপক আব্দুল জব্বার বলেন, গতকাল শুক্রবার থেকে আমাদের হোটেলে কোনো রুম খালি নেই। এটির চাপ জানুয়ারি ১০ তারিখ পর্যন্ত থাকবে।

কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটক রিয়াদ বলেন, আমরা বন্ধুরা মিলে কক্সবাজারে ভ্রমণে এসেছি। রুম বুকিং না দিয়ে এখানে এসে বিপদে পড়েছি।কোনো রুম পাচ্ছি না। কটেজে কিছু রুম খালি আছে এগুলো মানসম্মত নয় এবং দামও বেশি।

আরেক পর্যটক কায়সার বলেন, সন্তানদের পরীক্ষা শেষ। তাই তাদের সময় দিতে পুরো পরিবার আসছি। সমুদ্র পাড়ে এসে এক সঙ্গে এত মানুষ দেখে ভালো লাগছে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, সৈকতের কলাতলী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট ও লাবনী পয়েন্টে পর্যটকে ভরা। শুধু এই তিন পয়েন্ট ছাড়া অন্য পয়েন্টগুলোতে চোখে পড়ার মত ভিড় ছিল। আগত পর্যটরা বালিয়াড়িতে দাঁড়িয়ে ঘোড়ায় চড়ে, ওয়াটার বাইক ও বিচ বাইকে চড়ে সমুদ্র দর্শনে মেতেছেন। কিছু পর্যটক নোনা জলে স্নান করতে নেমে আনন্দ উপভোগ করছেন।

কক্সবাজার পর্যটক সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসাইন বলেন, লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত কক্সবাজার। আগত পর্যটকদের সেবা দিতে আমরা প্রস্তুত। কোনো পর্যটক হয়রানি হলে অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম বলেন, আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের টহল আরও দুইগুণ বাড়ানো হয়েছে।