ঢাকা ০৫:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সিলেট

ওসমানী বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পে ৬১৭ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধি

মো.মুহিবুর রহমান, সিলেট প্রতিনিধি
  • Update Time : ০২:৩৩:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৩৩ Time View

সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পে আরও ৬১৭ কোটি ৮ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় অনুমোদন করেছে সরকার। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি-র বৈঠকে ব্যয় বৃদ্ধির এই ভেরিয়েশন প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। বৈঠক শেষে তিনি জানান, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প (১ম পর্যায়) (১ম সংশোধন)’ শীর্ষক প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রস্তাব পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অর্থ উপদেষ্টা আরো জানান, প্রকল্পের পরিকল্পনা পুনর্বিন্যাস, নির্মাণ উপকরণের মান ও পরিমাণ পরিবর্তন, নতুন কারিগরি সুবিধা সংযোজন, এবং প্রশাসনিক খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণেই মোট ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিমানবন্দরের পরিধি ও সক্ষমতা বাড়াতে এসব পরিবর্তন জরুরি হয়ে পড়ে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চীনা প্রতিষ্ঠান বেইজিং আরবান কনস্ট্রাকশন গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড (বিইউসিজি)। প্রথমে প্রকল্পের মূল চুক্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ হাজার ১১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা। নতুন সংশোধিত প্রস্তাব অনুমোদনের ফলে মোট চুক্তিমূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৩৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

সিলেট অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান যাত্রীচাপ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার সক্ষমতা বাড়াতে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন অবকাঠামো, আধুনিক রানওয়ে, টার্মিনাল সুবিধা ও যান্ত্রিক উন্নয়ন সম্পন্ন হলে বিমানবন্দরের মান ও কার্যক্ষমতা উল্লেখ যোগ্যভাবে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর সত্যতা নিশ্চিত করে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক মোঃ হাফিজ আহমেদ জানান, অনেক দিন পরে প্রকল্পটিতে ব্যয় বৃদ্ধি একটি আশার খবর। ২০২০ সালের ১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজ শুরু হলে কোভিড-১৯ ও ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারণে এর অগ্রগতি থমকে দাঁড়িয়েছিল। এবার ব্যয় বৃদ্ধির ফলে প্রকল্পটি অবশেষে আশার আলো দেখবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

সিলেট

ওসমানী বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পে ৬১৭ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধি

মো.মুহিবুর রহমান, সিলেট প্রতিনিধি
Update Time : ০২:৩৩:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পে আরও ৬১৭ কোটি ৮ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় অনুমোদন করেছে সরকার। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি-র বৈঠকে ব্যয় বৃদ্ধির এই ভেরিয়েশন প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। বৈঠক শেষে তিনি জানান, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প (১ম পর্যায়) (১ম সংশোধন)’ শীর্ষক প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রস্তাব পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অর্থ উপদেষ্টা আরো জানান, প্রকল্পের পরিকল্পনা পুনর্বিন্যাস, নির্মাণ উপকরণের মান ও পরিমাণ পরিবর্তন, নতুন কারিগরি সুবিধা সংযোজন, এবং প্রশাসনিক খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণেই মোট ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিমানবন্দরের পরিধি ও সক্ষমতা বাড়াতে এসব পরিবর্তন জরুরি হয়ে পড়ে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চীনা প্রতিষ্ঠান বেইজিং আরবান কনস্ট্রাকশন গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড (বিইউসিজি)। প্রথমে প্রকল্পের মূল চুক্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ হাজার ১১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা। নতুন সংশোধিত প্রস্তাব অনুমোদনের ফলে মোট চুক্তিমূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৩৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

সিলেট অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান যাত্রীচাপ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার সক্ষমতা বাড়াতে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন অবকাঠামো, আধুনিক রানওয়ে, টার্মিনাল সুবিধা ও যান্ত্রিক উন্নয়ন সম্পন্ন হলে বিমানবন্দরের মান ও কার্যক্ষমতা উল্লেখ যোগ্যভাবে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর সত্যতা নিশ্চিত করে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক মোঃ হাফিজ আহমেদ জানান, অনেক দিন পরে প্রকল্পটিতে ব্যয় বৃদ্ধি একটি আশার খবর। ২০২০ সালের ১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজ শুরু হলে কোভিড-১৯ ও ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারণে এর অগ্রগতি থমকে দাঁড়িয়েছিল। এবার ব্যয় বৃদ্ধির ফলে প্রকল্পটি অবশেষে আশার আলো দেখবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।