ওয়াল্টন কোম্পানির প্রতিনিধিরাই ভয়াবহ প্রতারণার শিকার

- Update Time : ০৯:৩২:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ১৪২ Time View
ওয়াল্টন আমাদের পণ্য সেজে আমাদের জন্যই অদ্ভুত অভিনব এক প্রতারণার ফাঁদ তৈরী করেছে। মেড ইন বাংলাদেশ নাম দিয়ে নিম্নমানের চায়না পণ্যকে আমাদের পণ্য বলে প্রতারণা চালাচ্ছে আমাদের সাথেই।
কথায় আছে, ’সস্তার তিন অবস্থা’ কিন্তু ওয়াল্টনের মানহীন পণ্যই বিক্রি হচ্ছে অনেক দাম দিয়ে। ওয়াল্টনের কমদামী পণ্য দাম দিয়ে কিনে শুধু যে ভোক্তারাই প্রতারিত হচেছ বিষয়টা তা নয়, ওয়াল্টনের প্রতারণার ফাঁদে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে খোদ ওয়াল্টনের বিক্রয় প্রতিনিধিরাই।
এই সকল ডিলাররা ওয়াল্টনের পণ্যসমূহ সারাদেশে ভোক্তাদের নাগালে পৌছে দেয়। অথচ তারাই আজ ওয়াল্টনের বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ তুলছে। ওয়াল্টনের ব্যবসায়িক ফাঁদে পরে সব হারিয়ে নিঃস্ব এইসব ডিলাররা। এই অসহায়ত্ব সামাজিক মর্যাদা হারানোর,এই অসহায়ত্ব সমাজের মানুষের।
উল্লেখ্য, ওয়াল্টন ও মার্সেল একই কোম্পানি। এই কোম্পানি ডিলারদের টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ করেনি।
নওরোজকে ডিস্ট্রিবিউটাররা জানান, ২০১৯ সালে ২০ লাখ ফ্রিজ বাজারে বিক্রির লক্ষ্য নির্ধারণ করে ওয়াল্টন কর্তৃপক্ষ। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য ডিলারদের কমিশন প্রদান করার প্রতিশ্রতি দেয় ওয়াল্টন। এক্ষেত্রে ওয়াল্টন ও মার্সেল পণ্যের জন্য আলাদা আলাদা কমিশনের কথা বলা হয় ডিলারদের।
ওয়াল্টনের কমিশন দেয়ার প্রতিশ্রুতি:
- ওয়াল্টন পণ্যের বিক্রয় মূল্য থেকে ৪০ শতাংশ
- মার্সেলের পণ্যের ওপর ৪৫ শতাংশ
তবে ডিলারদের বক্তব্য কমিশন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি না রেখে মাত্র ২০-২৫ শতাংশ কমিশন দেওয়া হয় তাদের।
২০০৮ সালে ওয়াল্টনের যাত্রা শুরু হয়। ১৫ বছর ধরে ব্যবসার নামে চলছে ওয়াল্টনের এই মহা প্রতারণা।এতোদিন তাদের কিছুই বলা যায় নি, কারণ আওয়ামীলীগের ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ডিলারদের উপর চালিয়েছে স্টিমরোলার।
বর্তমান অন্তর্বতী সরকারের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠ বিচার দাবী করছে ভুক্তভোগী ওয়াল্টন প্রতিনিধিরা।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়