ঢাকা ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ বাংলাদেশি নিহত

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
  • Update Time : ১১:২২:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৪৬ Time View

ওমানের দুকুম সিদরা নামে একটি এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার সারিকাইত ইউনিয়নের সাতজন প্রবাসী নিহত হয়েছেন।

আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) ওমান সময় বিকেলে এ দুর্ঘনা ঘটে।

নিহতদের সবাই সাগরে মাছ ধরার পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। সেখানে বাণিজ্যিকভাবে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত বাংলাদেশি প্রবাসীদের একটি বড় অংশ বসবাস করে।

দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সন্দ্বীপজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের মাতম চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সন্দ্বীপের বাসিন্দা সজীব চৌধুরী বলেন, আমরা একই এলাকায় থাকতাম। প্রতিদিনের মতো তারা সাগর থেকে মাছ ধরে প্রাইভেটকারে করে বাসায় ফিরছিলেন। তবে বাসা থেকে ১ ঘণ্টার দূরত্বে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাছের গাড়ি ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। অনেকের শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। নিহতদের মরদেহ দুকুম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তাদের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন সারিকাইত ইউনিয়নের আলী আকবার সেরাংয়ের ছেলে মোহাম্মদ আমিন সওদাগর, শহীদ উল্লার ছেলে আরজু, মনু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ বাবলু, সিদ্দিক আহমেদের ছেলে সাহাব উদ্দিন, ইব্রাহিম মিস্ত্রির ছেলে মোহাম্মদ রকি, জামাল উদ্দিনের ছেলে জুয়েল।

এছাড়া বাকি অন্যজনের পরিচয় শনাক্তের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মংচিংনু মারমা বলেন, হতাহতরা সবাই সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটে। যতটুকু জানতে পেরেছি, গাড়িতে ১১ জন ছিলেন। তার মধ্যে ঘটনাস্থলেই ১০ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আবার ৭ জনের বাড়ি সন্দ্বীপে।

Please Share This Post in Your Social Media

ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ বাংলাদেশি নিহত

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
Update Time : ১১:২২:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

ওমানের দুকুম সিদরা নামে একটি এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার সারিকাইত ইউনিয়নের সাতজন প্রবাসী নিহত হয়েছেন।

আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) ওমান সময় বিকেলে এ দুর্ঘনা ঘটে।

নিহতদের সবাই সাগরে মাছ ধরার পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। সেখানে বাণিজ্যিকভাবে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত বাংলাদেশি প্রবাসীদের একটি বড় অংশ বসবাস করে।

দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সন্দ্বীপজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের মাতম চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সন্দ্বীপের বাসিন্দা সজীব চৌধুরী বলেন, আমরা একই এলাকায় থাকতাম। প্রতিদিনের মতো তারা সাগর থেকে মাছ ধরে প্রাইভেটকারে করে বাসায় ফিরছিলেন। তবে বাসা থেকে ১ ঘণ্টার দূরত্বে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাছের গাড়ি ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। অনেকের শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। নিহতদের মরদেহ দুকুম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তাদের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন সারিকাইত ইউনিয়নের আলী আকবার সেরাংয়ের ছেলে মোহাম্মদ আমিন সওদাগর, শহীদ উল্লার ছেলে আরজু, মনু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ বাবলু, সিদ্দিক আহমেদের ছেলে সাহাব উদ্দিন, ইব্রাহিম মিস্ত্রির ছেলে মোহাম্মদ রকি, জামাল উদ্দিনের ছেলে জুয়েল।

এছাড়া বাকি অন্যজনের পরিচয় শনাক্তের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মংচিংনু মারমা বলেন, হতাহতরা সবাই সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটে। যতটুকু জানতে পেরেছি, গাড়িতে ১১ জন ছিলেন। তার মধ্যে ঘটনাস্থলেই ১০ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আবার ৭ জনের বাড়ি সন্দ্বীপে।