ঢাকা ০১:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওজন বাড়ার পর আমি প্রথম বুঝি সমাজ কতটা নির্মম!

Reporter Name
  • Update Time : ১১:০৭:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
  • / ১০১ Time View

আগামীকাল শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে তার সিনেমা ‘ফাটাফাটি’। ছবিটি করতে গিয়ে ২০ কেজি ওজন বাড়িয়েছেন অভিনেত্রী। ছবিটা তার কাছে ওজন বাড়ানোর চেয়েও বড় বলে মনে করেন ঋতাভরী চক্রবর্তী।

ঋতাভরী বলেন, ‘ছবির বক্স অফিস, স্যাটেলাইট রাইট্‌সের আয়— সব কিছু ছাপিয়ে যায় গল্প। আর বাঙালি ভালো গল্প চায়। সেই গল্পের জোরেই এখনো মানুষ ‘ওগো বধূ..’-র কথা বলে, ‘ব্রহ্মা..’-র কথা বলে। তাই আমার মনে হয়েছিল, এই ছবিটা আমার ২৫ কেজি ওজন বাড়ানোর চেয়ে অনেক বড়।’

ওজন বাড়ানো নিয়ে নানা ব্যক্তিগত কটাক্ষের শিকারও হতে হয়েছে ঋতাভরীকে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দুবার সার্জারির পর যখন আমার ওজন বাড়ে, আমি প্রথম বুঝি সমাজ কতটা নির্মম! ওই কয়েক মাস আমি এত খারাপ কথা শুনেছি যে রীতিমতো ভেঙে পড়েছিলাম। আসলে রোগা-মোটার কিছু গতে বাঁধা ধারণা আমাদের মনে এমন ভাবে ঢুকে গিয়েছে যে, মানুষ কোনটা ভালোর জন্য বলা আর কোনটা অপমান করা— সেটাই গুলিয়ে ফেলে।’

বড় প্রযোজনা সংস্থার ওপর নির্ভর না করেই দীর্ঘ ক্যারিয়ার পাড়ি দিলেন অভিনেত্রী। তার ভাষ্যে, ‘যখন ক্যারিয়ার শুরু করি তখন দেখতাম, সবারই কেউ না কেউ আছে। হয় মেন্টর, নয় গডফাদার, না হলে প্রেমিক বা স্বামী। তখন ছোট ছিলাম তো, আমারও মনে হতো, এগুলো না থাকলে বোধহয় পথটা খুব কঠিন। একটা কেউ থাকলে ভালোই হত।’

‘আসলে সব সময় নিজের মতো চলেছি। কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, কেউ বলে দেওয়ার ছিল না। তবে এখন মনে হয়, ভালোই হয়েছে। ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে যখন কাউকে লাগেনি, যখন নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করে প্রথম সারিতে থাকতে পেরেছি, তখন ভবিষ্যতেও পারব। যেহেতু পথটা সম্পূর্ণ নিজের, তাই আমার আগে-পেছনে কেউ নেই এবং জানি ১০ বছর পরও পারব। যদি সব সময় কারও ওপর ভরসা করে থাকতাম, তা হলে এখন এতটা আত্মবিশ্বাস পেতাম না।’-যোগ করেন অভিনেত্রী

Please Share This Post in Your Social Media

ওজন বাড়ার পর আমি প্রথম বুঝি সমাজ কতটা নির্মম!

Update Time : ১১:০৭:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

আগামীকাল শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে তার সিনেমা ‘ফাটাফাটি’। ছবিটি করতে গিয়ে ২০ কেজি ওজন বাড়িয়েছেন অভিনেত্রী। ছবিটা তার কাছে ওজন বাড়ানোর চেয়েও বড় বলে মনে করেন ঋতাভরী চক্রবর্তী।

ঋতাভরী বলেন, ‘ছবির বক্স অফিস, স্যাটেলাইট রাইট্‌সের আয়— সব কিছু ছাপিয়ে যায় গল্প। আর বাঙালি ভালো গল্প চায়। সেই গল্পের জোরেই এখনো মানুষ ‘ওগো বধূ..’-র কথা বলে, ‘ব্রহ্মা..’-র কথা বলে। তাই আমার মনে হয়েছিল, এই ছবিটা আমার ২৫ কেজি ওজন বাড়ানোর চেয়ে অনেক বড়।’

ওজন বাড়ানো নিয়ে নানা ব্যক্তিগত কটাক্ষের শিকারও হতে হয়েছে ঋতাভরীকে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দুবার সার্জারির পর যখন আমার ওজন বাড়ে, আমি প্রথম বুঝি সমাজ কতটা নির্মম! ওই কয়েক মাস আমি এত খারাপ কথা শুনেছি যে রীতিমতো ভেঙে পড়েছিলাম। আসলে রোগা-মোটার কিছু গতে বাঁধা ধারণা আমাদের মনে এমন ভাবে ঢুকে গিয়েছে যে, মানুষ কোনটা ভালোর জন্য বলা আর কোনটা অপমান করা— সেটাই গুলিয়ে ফেলে।’

বড় প্রযোজনা সংস্থার ওপর নির্ভর না করেই দীর্ঘ ক্যারিয়ার পাড়ি দিলেন অভিনেত্রী। তার ভাষ্যে, ‘যখন ক্যারিয়ার শুরু করি তখন দেখতাম, সবারই কেউ না কেউ আছে। হয় মেন্টর, নয় গডফাদার, না হলে প্রেমিক বা স্বামী। তখন ছোট ছিলাম তো, আমারও মনে হতো, এগুলো না থাকলে বোধহয় পথটা খুব কঠিন। একটা কেউ থাকলে ভালোই হত।’

‘আসলে সব সময় নিজের মতো চলেছি। কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, কেউ বলে দেওয়ার ছিল না। তবে এখন মনে হয়, ভালোই হয়েছে। ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে যখন কাউকে লাগেনি, যখন নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করে প্রথম সারিতে থাকতে পেরেছি, তখন ভবিষ্যতেও পারব। যেহেতু পথটা সম্পূর্ণ নিজের, তাই আমার আগে-পেছনে কেউ নেই এবং জানি ১০ বছর পরও পারব। যদি সব সময় কারও ওপর ভরসা করে থাকতাম, তা হলে এখন এতটা আত্মবিশ্বাস পেতাম না।’-যোগ করেন অভিনেত্রী