ঢাকা ০২:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ইসরাইলকে পশ্চিম তীর দখল করতে দেবো না: ট্রাম্প শাহরুখ-আরিয়ানের বিরুদ্ধে মামলা, আদালতে খারিজ শাহরুখ-আরিয়ানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন সমীর ওয়াংখেড়ে চেন্নাইয়ে থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে পদপিষ্ট হয়ে ৩৪ জনের মৃত্যু জনগণ যেভাবে চায়, আমাদের সেভাবে চলতে হবে : তারেক রহমান বাদামতলীতে ঢাকা ৭ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মনি’র গণসংযোগ দোলনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান পাচার হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের ঢাকা ৭ আসনের মানুষের খাদেম হতে চাই – আলহাজ্ব আব্দুর রহমান টঙ্গীর কেমিক্যাল গুদামে অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শনে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক

এস আলমের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির নির্দেশ

জাতীয় ডেস্ক
  • Update Time : ১১:২০:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১২৬৪ Time View

দুর্নীতি মামলার আসামি এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

অপর যে দুজনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির আদেশ হয়েছে তাঁরা হলেন এস আলম গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুস সামাদ ও পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হাসান।

আজ দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

আবেদনে বলা হয়, সাইফুল আলম, আব্দুস সামাদ ও আব্দুল্লাহ হাসান পরস্পরের যোগসাজশে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে ‘এএম ট্রেডিং’ নামে একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে জাল নথি তৈরি ও ব্যবহার করেছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণের নামে ১০৪ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৭০৮ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সাইফুল আলম দুর্নীতির মাধ্যমে এই অর্থ এস আলম সুপার ইডিবল ওয়েলের স্বার্থে স্থানান্তর বা পুনর্বিন্যাস বা রূপান্তর করেছেন, যার পরিমাণ ৩৪০ কোটি টাকা বলে অভিযোগে উল্লেখ আছে।

তদন্ত চলাকালে আসামিরা বিদেশে পলাতক থাকায় তাদের আটক করা যায়নি। তাই আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করে।

দুদক ও আদালত সংশ্লিষ্টসূত্রগুলো বলছে, দুর্নীতির মামলার এজাহার নামীয় আসামি সাইফুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ১৬ সেপ্টেম্বর ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির আবেদন করেন দুদকের তাহাসিন মোনাবিল হক। তাতে বলা হয়, সাইফুল আলম, আবদুস সামাদ ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হাসানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযাগ, অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে জালিয়াতি করে ব্যাংক থেকে ১০৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাইফুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।

এর আগে ১৩ মে সাইফুল আলমের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১৩ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। এ ছাড়া গত ২৪ জুন সাইফুল আলম ও তাঁর স্ত্রীর নামে বিদেশে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, সাইপ্রাসে মোহাম্মদ সাইফুল আলমের নামে থাকা দোতলা একটি আবাসিক ভবন ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।

এ ছাড়া ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসে মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে থাকা ১৯টি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত। এর বাইরে আরও ছয়টি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।

এর আগে ১৭ জুন সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির নামে থাকা আরও ১৮০ কোটি টাকা মূল্যের জমি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।

গত ২৭ এপ্রিল এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির নামে থাকা আরও ৫৫৯ কোটি টাকা মূল্যের জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

গত ২৩ এপ্রিল এস আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির নামে থাকা আরও জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে ৯ এপ্রিল এস আলম গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট আরও ৬৬টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত। এসব ব্যাংক হিসেবে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৩৭৪ কোটি ৬১ লাখ ৭ হাজার ২২১ টাকা।

Please Share This Post in Your Social Media

এস আলমের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির নির্দেশ

জাতীয় ডেস্ক
Update Time : ১১:২০:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দুর্নীতি মামলার আসামি এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

অপর যে দুজনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির আদেশ হয়েছে তাঁরা হলেন এস আলম গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুস সামাদ ও পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হাসান।

আজ দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

আবেদনে বলা হয়, সাইফুল আলম, আব্দুস সামাদ ও আব্দুল্লাহ হাসান পরস্পরের যোগসাজশে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে ‘এএম ট্রেডিং’ নামে একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে জাল নথি তৈরি ও ব্যবহার করেছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণের নামে ১০৪ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৭০৮ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সাইফুল আলম দুর্নীতির মাধ্যমে এই অর্থ এস আলম সুপার ইডিবল ওয়েলের স্বার্থে স্থানান্তর বা পুনর্বিন্যাস বা রূপান্তর করেছেন, যার পরিমাণ ৩৪০ কোটি টাকা বলে অভিযোগে উল্লেখ আছে।

তদন্ত চলাকালে আসামিরা বিদেশে পলাতক থাকায় তাদের আটক করা যায়নি। তাই আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করে।

দুদক ও আদালত সংশ্লিষ্টসূত্রগুলো বলছে, দুর্নীতির মামলার এজাহার নামীয় আসামি সাইফুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ১৬ সেপ্টেম্বর ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির আবেদন করেন দুদকের তাহাসিন মোনাবিল হক। তাতে বলা হয়, সাইফুল আলম, আবদুস সামাদ ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হাসানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযাগ, অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে জালিয়াতি করে ব্যাংক থেকে ১০৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাইফুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।

এর আগে ১৩ মে সাইফুল আলমের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১৩ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। এ ছাড়া গত ২৪ জুন সাইফুল আলম ও তাঁর স্ত্রীর নামে বিদেশে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, সাইপ্রাসে মোহাম্মদ সাইফুল আলমের নামে থাকা দোতলা একটি আবাসিক ভবন ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।

এ ছাড়া ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসে মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে থাকা ১৯টি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত। এর বাইরে আরও ছয়টি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।

এর আগে ১৭ জুন সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির নামে থাকা আরও ১৮০ কোটি টাকা মূল্যের জমি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।

গত ২৭ এপ্রিল এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির নামে থাকা আরও ৫৫৯ কোটি টাকা মূল্যের জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

গত ২৩ এপ্রিল এস আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির নামে থাকা আরও জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে ৯ এপ্রিল এস আলম গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট আরও ৬৬টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত। এসব ব্যাংক হিসেবে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৩৭৪ কোটি ৬১ লাখ ৭ হাজার ২২১ টাকা।