ঢাকা ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
বিনা শর্তে মাফ চাইলাম, তারপরও বাকি থাকল কোনটা বুঝি না: জামায়াত আমির লালবাগে রিয়াজ উদ্দিন মনির সমর্থনে র‍্যালি রায় ছিঁড়ে পছন্দের বিচারকের কাছে পুন: বিচারের জন্য পাঠালেন শরীয়তপুরের জেলা জজ জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা ও র‍্যালি ব্যর্থ প্রশাসনের প্রতীক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা : ব্যারিস্টার ফুয়াদ ভেঙে ফেলা হচ্ছে ‘মিনিস্টার বাড়ি’ সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ তিন দফা দাবিতে ৯ম দিনের অনশন, অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিক্ষকরা জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদ হত্যার ঘটনায় তার ছাত্রী আটক পিআর নিয়ে নাহিদের বালখিল্য বক্তব্য জাতি আশা করে না: জামায়াত

এসপি-ওসির বিরুদ্ধে মামলা করলেন এসআইয়ের স্ত্রী

গাইবান্ধার প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:৫৫:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • / ২৮ Time View

আদালতে মামলা করেছেন এসআইয়ের স্ত্রী

গাইবান্ধায় এক সাব-ইন্সপেক্টরের (এসআই) ব্যক্তিগত মোবাইল ও ল্যাপটপ আটকে রাখার অভিযোগে পুলিশ সুপার নিশাত এ্যঞ্জেলা ও সদর থানার ওসি শহীনুর ইসলাম তালুকদারসহ তিনজনের নামে আদালতে মামলা করেছেন ওই এসআইয়ের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার হাফিজুর রহমান।

এর আগে বুধবার বিকেলে গাইবান্ধা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন সদর থানার সাবেক এসআই (বর্তমানে জয়পুরহাটে কমর্রত) মনিরুজ্জামানের স্ত্রী কাজলী খাতুন (৩১)। পুলিশ সুপার ও ওসি ছাড়াও মামলার অপর আসামি হলেন এসআই মনিরুজ্জামনের দুঃসম্পকের্র আত্মীয় তারেকুজ্জামান তুহিন (২৩)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ‘গত মার্চ মাসে ফেসবুকে ছাত্রলীগের সাথে সংশি­ষ্টতার ট্যাগ দিয়ে এসআই মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন তারই দুঃসম্পকের্র আত্মীয় তারেকুজ্জামান তুহিন। পরে ২৫ মার্চ বিকেলে সদর থানার ওসি শাহিনুর ইসলাম তালুকদারে মাধ্যমে ওই এসআইকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ডেকে নেন পুলিশ সুপার নিশাত এ্যঞ্জেলা। এ সময় তার মোবাইল নিয়ে পর্যবেক্ষণ করার পর তার ব্যবহৃত ল্যাপটপটি থানা থেকে এনে সেটিও পর্যবেক্ষণ করা হয়। পরে ওই এসআই মনিরুজ্জামানের মোবাইল ও ল্যাপটপ পুলিশ সুপার তার নিজের জিম্মায় রেখে দেন। এ ঘটনা প্রকাশ করলে চাকরির ক্ষতিসহ হত্যার হুমকি দেন আসামিরা। একপর্যায়ে মনিরুজ্জামানকে রাজশাহী রেঞ্জের জয়পুরহাটের কালাই থানায় বদলি করা হয়।’

এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী জান্নাতি ফেরদৌসী লাবনী বলেন, ‘আমার মাধ্যমে বুধবার বিকেলে ফরিয়াদী মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়ে অধিক তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন।’

এদিকে মামলার পরদিন আজ বৃহস্পতিবার এসআই মনিরুজ্জামানকে জয়পুরহাটের কালাই থানা থেকে জয়পুরহাট পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়।

এ ঘটনায় মামলার বাদী মনিরুজ্জামানের স্ত্রী কাজলী খাতুনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘এসআই মনিরুজ্জামান তার নিকট আত্নীয় তারেকুজ্জামান তুহিন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে নিয়ে কটূক্তি করে তার ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন পোস্ট করেন। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ সুপার তার কক্ষে ওই এসআইকে ডেকে নেন এবং পোস্টের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইল, ল্যাপটপ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য আমার মাধ্যমে ঢাকায় পাঠান। এতেই ক্ষুদ্ধ হয়ে তার স্ত্রী মামলা করেছেন।’

এ ব্যাপারে জানতে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার নিশাত এঞ্জেলার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

এসপি-ওসির বিরুদ্ধে মামলা করলেন এসআইয়ের স্ত্রী

গাইবান্ধার প্রতিনিধি
Update Time : ১০:৫৫:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

গাইবান্ধায় এক সাব-ইন্সপেক্টরের (এসআই) ব্যক্তিগত মোবাইল ও ল্যাপটপ আটকে রাখার অভিযোগে পুলিশ সুপার নিশাত এ্যঞ্জেলা ও সদর থানার ওসি শহীনুর ইসলাম তালুকদারসহ তিনজনের নামে আদালতে মামলা করেছেন ওই এসআইয়ের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার হাফিজুর রহমান।

এর আগে বুধবার বিকেলে গাইবান্ধা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন সদর থানার সাবেক এসআই (বর্তমানে জয়পুরহাটে কমর্রত) মনিরুজ্জামানের স্ত্রী কাজলী খাতুন (৩১)। পুলিশ সুপার ও ওসি ছাড়াও মামলার অপর আসামি হলেন এসআই মনিরুজ্জামনের দুঃসম্পকের্র আত্মীয় তারেকুজ্জামান তুহিন (২৩)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ‘গত মার্চ মাসে ফেসবুকে ছাত্রলীগের সাথে সংশি­ষ্টতার ট্যাগ দিয়ে এসআই মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন তারই দুঃসম্পকের্র আত্মীয় তারেকুজ্জামান তুহিন। পরে ২৫ মার্চ বিকেলে সদর থানার ওসি শাহিনুর ইসলাম তালুকদারে মাধ্যমে ওই এসআইকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ডেকে নেন পুলিশ সুপার নিশাত এ্যঞ্জেলা। এ সময় তার মোবাইল নিয়ে পর্যবেক্ষণ করার পর তার ব্যবহৃত ল্যাপটপটি থানা থেকে এনে সেটিও পর্যবেক্ষণ করা হয়। পরে ওই এসআই মনিরুজ্জামানের মোবাইল ও ল্যাপটপ পুলিশ সুপার তার নিজের জিম্মায় রেখে দেন। এ ঘটনা প্রকাশ করলে চাকরির ক্ষতিসহ হত্যার হুমকি দেন আসামিরা। একপর্যায়ে মনিরুজ্জামানকে রাজশাহী রেঞ্জের জয়পুরহাটের কালাই থানায় বদলি করা হয়।’

এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী জান্নাতি ফেরদৌসী লাবনী বলেন, ‘আমার মাধ্যমে বুধবার বিকেলে ফরিয়াদী মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়ে অধিক তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন।’

এদিকে মামলার পরদিন আজ বৃহস্পতিবার এসআই মনিরুজ্জামানকে জয়পুরহাটের কালাই থানা থেকে জয়পুরহাট পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়।

এ ঘটনায় মামলার বাদী মনিরুজ্জামানের স্ত্রী কাজলী খাতুনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘এসআই মনিরুজ্জামান তার নিকট আত্নীয় তারেকুজ্জামান তুহিন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে নিয়ে কটূক্তি করে তার ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন পোস্ট করেন। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ সুপার তার কক্ষে ওই এসআইকে ডেকে নেন এবং পোস্টের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইল, ল্যাপটপ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য আমার মাধ্যমে ঢাকায় পাঠান। এতেই ক্ষুদ্ধ হয়ে তার স্ত্রী মামলা করেছেন।’

এ ব্যাপারে জানতে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার নিশাত এঞ্জেলার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।