ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ‘কালো পতাকা মিছিল’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৪:১৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৬৯ Time View

বাড়ি ভাড়া ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ‘কালো পতাকা মিছিল’ নিয়ে হাইকোর্টের সামনে কদম ফোয়ারা সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।

আজ শনিবার দুপুর সোয়া ১২টায় শহীদ মিনারের সপ্তম দিনের অবস্থান কর্মসূচি থেকে মিছিল শুরু করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। দুপুর সাড়ে ১২টায় কদম ফোয়ারার সামনে অবস্থান নেন তাঁরা। সেখানে তাঁদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান অংশ নেন।

এদিকে শিক্ষকদের একাংশ শহীদ মিনারে ‘আমরণ অনশন’ চালিয়ে যাচ্ছেন।

জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরে যাব না।’

এদিকে আগামীকাল রোববার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রার ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতা, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা এবং এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ নির্ধারণের দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে গত রোববার থেকে আন্দোলন চালাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। গত বৃহস্পতিবার তাঁরা সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিও যুক্ত করেছেন।

শিক্ষকদের ওপর ‘পুলিশি হামলার’ প্রতিবাদে সোমবার থেকে সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাগাতার কর্মবিরতিও পালন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। তাঁরা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।

গত মঙ্গলবার সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। গত বুধবার তাঁরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার মার্চ টু যমুনা কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও পরে তাঁরা সেই কর্মসূচি স্থগিত করেন।

গত বৃহস্পতিবার আলোচনার পর অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার। তবে শিক্ষক-কর্মচারীরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

সরকার গত ৩০ সেপ্টেম্বর এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ৫০০ টাকা বাড়ায়। ৫ অক্টোবর এই ঘোষণা প্রকাশ্যে এলে শিক্ষকেরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের ডাক দেন। পরদিন ৬ অক্টোবর এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা অন্তত ২ বা ৩ হাজার টাকা করার প্রস্তাব অর্থ বিভাগে পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন পান। তাঁরা মূল বেতনের সঙ্গে মাসে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। আর ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া ভাতা পেতেন, যা বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা আগে বছরে ২৫ শতাংশ হারে বছরে দুটি উৎসব ভাতা পেলেও গত মে মাসে বাড়ানোর পর তাঁরা ও এমপিওভুক্ত কর্মচারীরা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে উৎসব ভাতা পাচ্ছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ‘কালো পতাকা মিছিল’

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০৪:১৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

বাড়ি ভাড়া ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ‘কালো পতাকা মিছিল’ নিয়ে হাইকোর্টের সামনে কদম ফোয়ারা সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।

আজ শনিবার দুপুর সোয়া ১২টায় শহীদ মিনারের সপ্তম দিনের অবস্থান কর্মসূচি থেকে মিছিল শুরু করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। দুপুর সাড়ে ১২টায় কদম ফোয়ারার সামনে অবস্থান নেন তাঁরা। সেখানে তাঁদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান অংশ নেন।

এদিকে শিক্ষকদের একাংশ শহীদ মিনারে ‘আমরণ অনশন’ চালিয়ে যাচ্ছেন।

জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরে যাব না।’

এদিকে আগামীকাল রোববার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রার ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতা, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা এবং এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ নির্ধারণের দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে গত রোববার থেকে আন্দোলন চালাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। গত বৃহস্পতিবার তাঁরা সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিও যুক্ত করেছেন।

শিক্ষকদের ওপর ‘পুলিশি হামলার’ প্রতিবাদে সোমবার থেকে সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাগাতার কর্মবিরতিও পালন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। তাঁরা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।

গত মঙ্গলবার সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। গত বুধবার তাঁরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার মার্চ টু যমুনা কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও পরে তাঁরা সেই কর্মসূচি স্থগিত করেন।

গত বৃহস্পতিবার আলোচনার পর অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার। তবে শিক্ষক-কর্মচারীরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

সরকার গত ৩০ সেপ্টেম্বর এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ৫০০ টাকা বাড়ায়। ৫ অক্টোবর এই ঘোষণা প্রকাশ্যে এলে শিক্ষকেরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের ডাক দেন। পরদিন ৬ অক্টোবর এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা অন্তত ২ বা ৩ হাজার টাকা করার প্রস্তাব অর্থ বিভাগে পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন পান। তাঁরা মূল বেতনের সঙ্গে মাসে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। আর ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া ভাতা পেতেন, যা বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা আগে বছরে ২৫ শতাংশ হারে বছরে দুটি উৎসব ভাতা পেলেও গত মে মাসে বাড়ানোর পর তাঁরা ও এমপিওভুক্ত কর্মচারীরা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে উৎসব ভাতা পাচ্ছেন।