ঢাকা ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম

এবারের লিগের ফিকশ্চারে কোন পরিবর্তন হয়নি

নওরোজ স্পোর্টস ডেস্ক
  • Update Time : ১০:১৩:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩
  • / ২৪১ Time View

পেশাদার ফুটবল লিগের খেলা মাঝপথে স্থগিত হয়নি এমন দিন খুঁজে পাওয়া কঠিন। বারবার ফিকশ্চার পরিবর্তন করতে হয়েছে। নানা জটিলতায় খেলা বারবার পিছিয়েছে।

ফিকশ্চার ঘোষণা দিয়েও সময় মতো খেলা মাঠে গড়ায়নি। আর এসব নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। সেই সব ঝুটঝামেলা থেকে এবার দেশের প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ ফিকশ্চার থেকে একচুলও নড়েনি।

যেভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, ঠিক সেভাবেই খেলা শেষ হয়েছে। সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে একটি দিনের জন্যও লিগের খেলা বদল হয়নি। এটা অনন্য এক ইতিহাস হয়েছে।

এবারই প্রথম বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে লিগের কোনো খেলা হয়নি। ভেন্যু সংকট ছিল। তারপরও লিগের খেলা বন্ধ রাখা হয়নি। লিগের সব খেলায় ঢাকার বাইরে রাজশাহী, গোপালগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, কুমিল্লা, ঢাকার বসুন্ধরা কিংসের মাঠে খেলা খেলা হয়েছে।

গত ৯ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ২২ জুলাই শেষ হয়েছে পেশাদার ফুটবলের এবারের মৌসুম। লিগের প্রচার প্রচারণা নিয়ে বাফুফের আফসোস আছে। বাফুফের সভাপতি একই সঙ্গে লিগ কমিটির চেয়ারম্যানও। তিনি খুব বড় করে না বললেও তার কণ্ঠে আফসোস ছিল, আক্ষেপ ছিল।

লিগের ম্যাচগুলো সেভাবে প্রচারের আলোয় আসেনি। তারপরও তিনি খুশি ঘোষিত ফিকশ্চার অনুসারে খেলা হয়েছে বলে।

বাফুফে সভাপতি আগেই জানিয়েছিলেন যতকিছু হোক ফিকশ্চার বদল হবে না। অনেকের কাছে বিষয়টি কানে তোলার মতো ছিল না। কারণ অতীত ফিকশ্চার বলছে অনিয়মিতভাবেই খেলা হয়েছে। ফিকশ্চার ঠিক রাখতে না পারার উদাহরণ আছে। সেই গÐি থেকে বাফুফে বেরিয়ে আসতে পারবে না।

কিন্তু ক্লাবগুলো এবং বাফুফের এক নীতির কারণে লিগের প্রত্যেকটা খেলা ঠিক সময়ে হয়েছে। ক্লাবগুলো ঢাকার বাইরে খেলতে গিয়ে অতিরিক্ত অর্থ খচর করেছে। আর্থিকভাবে কষ্ট করেছে প্রায় সব ক্লাব। তারপরও ক্লাবগুলোর যে অবদান তা স্বীকার করে বাফুফে। গোলের তালিকা বিদেশিরাই দখলে রাখছেন এবারের লিগেও সেই বিদেশিরাই গোলদাতার তালিকা উঁচিয়ে ধরেছেন।

বাংলাদেশের ফুটবলারদের নামগন্ধ নেই শীর্ষ গোলদাতার তালিকার শীর্ষ স্থানে। লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ডরিয়েলটনের দখলে ১ নম্বর স্থান। ২০ গোল করেছেন তিনি।

মোহামেডানের অধিনায়ক মালির ফুটবলার সুলায়মান দিয়াবাতে ১৬ গোল করেছেন, সঙ্গে আছে তিন হ্যাটট্রিক। ১২ গোল নিয়ে তৃতীয় স্থানে আবাহনীর কোস্টারিকান তারকা দানিয়েল কলিন্দ্রেস। শীর্ষ ১০ গোলদাতার মধ্যে বাংলাদেশের কোনো ফুটবলার নেই।

তবে বাংলাদেশের একজন ১০ নম্বরে আছেন সেটা অব অবশ্য বলা যায়। তিনি বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পাওয়া নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার আবাহনীর এলিটা কিংসলে। তিনি করেছেন ৮ গোল। আর ১৫ নম্বরে আছেন চট্টগ্রাম আবাহনী ইকবাল হোসেন। তিনি করেছেন ৫ গোল।

এলিটা কিংসলেকে বিদেশি ধরলে কিংবা বাংলাদেশি হিসেবে না ধরলে লিগে শীর্ষস্থান পাওয়া বাংলাদেশের ফুটবলার ইকবাল হোসেন শীর্ষ গোলদাতা। লিগের সবচেয়ে বড় বাজেটের দল ছিল বসুন্ধরা কিংস। প্রিমিয়ার লিগের তিন চারটা ক্লাবের বাজেট এক করলেও বসুন্ধরা কিংসের বাজেট ওপরে থাকবে।

সেই দলটার রক্ষণভাগ, মাঝমাঠ এবং আক্রমভাগে ফাটল ধরানোর মতো শক্তি কারো নেই সেটা কাগজে কলমে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। এবারের লিগের রেলিগেশন হওয়া উত্তরা আজমপুর এফসি ২০ ম্যাচের মধ্যে একটিও জিততে পারেনি। সেই দলটিই কিংসে কাছ থেকে ১ পয়েন্ট কেড়ে নিয়েছে।

পুলিশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পারেনি কিংস। পুলিশই একমাত্র দল যারা কিংসের ঘরে আঘাত করেছে। পুলিশ হারিয়েছে বসুন্ধরা কিংসকে। তা না হলে কিংস অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব মাথায় নিতে পারত। সেই জায়গা কিংসের আক্ষেপ বা কষ্ট থাকতেই পারে। ১৫ পয়েন্ট ব্যবধানে লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাও কম না। লিগে সবচেয়ে বেশি ৫১ গোল করেও ১৩ গোল হজম করেছে কিংস।

জাতীয় দলের সেরা ডিফেন্ডার, গোলকিপার নিয়েও তারা ১৩ গোল হজম করেছে। তৃতীয় স্থান নিয়ে চমক দিয়েছে পুলিশ। মোহামেডান চতুর্থ স্থান পেলেও সমর্থকরা আগের রেজাল্টের তুলনায় এবার অখুশি নন। সাদা কালোরা এবার ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ১৪ বছর পর।

Please Share This Post in Your Social Media

এবারের লিগের ফিকশ্চারে কোন পরিবর্তন হয়নি

নওরোজ স্পোর্টস ডেস্ক
Update Time : ১০:১৩:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩

পেশাদার ফুটবল লিগের খেলা মাঝপথে স্থগিত হয়নি এমন দিন খুঁজে পাওয়া কঠিন। বারবার ফিকশ্চার পরিবর্তন করতে হয়েছে। নানা জটিলতায় খেলা বারবার পিছিয়েছে।

ফিকশ্চার ঘোষণা দিয়েও সময় মতো খেলা মাঠে গড়ায়নি। আর এসব নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। সেই সব ঝুটঝামেলা থেকে এবার দেশের প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ ফিকশ্চার থেকে একচুলও নড়েনি।

যেভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, ঠিক সেভাবেই খেলা শেষ হয়েছে। সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে একটি দিনের জন্যও লিগের খেলা বদল হয়নি। এটা অনন্য এক ইতিহাস হয়েছে।

এবারই প্রথম বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে লিগের কোনো খেলা হয়নি। ভেন্যু সংকট ছিল। তারপরও লিগের খেলা বন্ধ রাখা হয়নি। লিগের সব খেলায় ঢাকার বাইরে রাজশাহী, গোপালগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, কুমিল্লা, ঢাকার বসুন্ধরা কিংসের মাঠে খেলা খেলা হয়েছে।

গত ৯ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ২২ জুলাই শেষ হয়েছে পেশাদার ফুটবলের এবারের মৌসুম। লিগের প্রচার প্রচারণা নিয়ে বাফুফের আফসোস আছে। বাফুফের সভাপতি একই সঙ্গে লিগ কমিটির চেয়ারম্যানও। তিনি খুব বড় করে না বললেও তার কণ্ঠে আফসোস ছিল, আক্ষেপ ছিল।

লিগের ম্যাচগুলো সেভাবে প্রচারের আলোয় আসেনি। তারপরও তিনি খুশি ঘোষিত ফিকশ্চার অনুসারে খেলা হয়েছে বলে।

বাফুফে সভাপতি আগেই জানিয়েছিলেন যতকিছু হোক ফিকশ্চার বদল হবে না। অনেকের কাছে বিষয়টি কানে তোলার মতো ছিল না। কারণ অতীত ফিকশ্চার বলছে অনিয়মিতভাবেই খেলা হয়েছে। ফিকশ্চার ঠিক রাখতে না পারার উদাহরণ আছে। সেই গÐি থেকে বাফুফে বেরিয়ে আসতে পারবে না।

কিন্তু ক্লাবগুলো এবং বাফুফের এক নীতির কারণে লিগের প্রত্যেকটা খেলা ঠিক সময়ে হয়েছে। ক্লাবগুলো ঢাকার বাইরে খেলতে গিয়ে অতিরিক্ত অর্থ খচর করেছে। আর্থিকভাবে কষ্ট করেছে প্রায় সব ক্লাব। তারপরও ক্লাবগুলোর যে অবদান তা স্বীকার করে বাফুফে। গোলের তালিকা বিদেশিরাই দখলে রাখছেন এবারের লিগেও সেই বিদেশিরাই গোলদাতার তালিকা উঁচিয়ে ধরেছেন।

বাংলাদেশের ফুটবলারদের নামগন্ধ নেই শীর্ষ গোলদাতার তালিকার শীর্ষ স্থানে। লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ডরিয়েলটনের দখলে ১ নম্বর স্থান। ২০ গোল করেছেন তিনি।

মোহামেডানের অধিনায়ক মালির ফুটবলার সুলায়মান দিয়াবাতে ১৬ গোল করেছেন, সঙ্গে আছে তিন হ্যাটট্রিক। ১২ গোল নিয়ে তৃতীয় স্থানে আবাহনীর কোস্টারিকান তারকা দানিয়েল কলিন্দ্রেস। শীর্ষ ১০ গোলদাতার মধ্যে বাংলাদেশের কোনো ফুটবলার নেই।

তবে বাংলাদেশের একজন ১০ নম্বরে আছেন সেটা অব অবশ্য বলা যায়। তিনি বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পাওয়া নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার আবাহনীর এলিটা কিংসলে। তিনি করেছেন ৮ গোল। আর ১৫ নম্বরে আছেন চট্টগ্রাম আবাহনী ইকবাল হোসেন। তিনি করেছেন ৫ গোল।

এলিটা কিংসলেকে বিদেশি ধরলে কিংবা বাংলাদেশি হিসেবে না ধরলে লিগে শীর্ষস্থান পাওয়া বাংলাদেশের ফুটবলার ইকবাল হোসেন শীর্ষ গোলদাতা। লিগের সবচেয়ে বড় বাজেটের দল ছিল বসুন্ধরা কিংস। প্রিমিয়ার লিগের তিন চারটা ক্লাবের বাজেট এক করলেও বসুন্ধরা কিংসের বাজেট ওপরে থাকবে।

সেই দলটার রক্ষণভাগ, মাঝমাঠ এবং আক্রমভাগে ফাটল ধরানোর মতো শক্তি কারো নেই সেটা কাগজে কলমে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। এবারের লিগের রেলিগেশন হওয়া উত্তরা আজমপুর এফসি ২০ ম্যাচের মধ্যে একটিও জিততে পারেনি। সেই দলটিই কিংসে কাছ থেকে ১ পয়েন্ট কেড়ে নিয়েছে।

পুলিশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পারেনি কিংস। পুলিশই একমাত্র দল যারা কিংসের ঘরে আঘাত করেছে। পুলিশ হারিয়েছে বসুন্ধরা কিংসকে। তা না হলে কিংস অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব মাথায় নিতে পারত। সেই জায়গা কিংসের আক্ষেপ বা কষ্ট থাকতেই পারে। ১৫ পয়েন্ট ব্যবধানে লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাও কম না। লিগে সবচেয়ে বেশি ৫১ গোল করেও ১৩ গোল হজম করেছে কিংস।

জাতীয় দলের সেরা ডিফেন্ডার, গোলকিপার নিয়েও তারা ১৩ গোল হজম করেছে। তৃতীয় স্থান নিয়ে চমক দিয়েছে পুলিশ। মোহামেডান চতুর্থ স্থান পেলেও সমর্থকরা আগের রেজাল্টের তুলনায় এবার অখুশি নন। সাদা কালোরা এবার ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ১৪ বছর পর।