ঢাকা ০৭:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সাবেক অর্থমন্ত্রীর স্ত্রী কাশমেরী কামালের লুটপাট পর্ব-২

এপিএস মিজান এবং ব্যবসায়ীর আলাপে লুকিয়ে আছে রহস্য

মোহাম্মদ আলম :
  • Update Time : ০৬:৫১:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ২৯ Time View

স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী এবং তাদের স্বজনদের দূর্ণীতির নজির বিশ্বে দ্বিতীয়টি পাওয়া যাবে না। লুটপাট থেকে বাদ যায়নি তাদের স্ত্রী-সন্তান বা অধিনস্থ কর্মচারী কর্মকর্তাগণও। সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের স্ত্রী কাশমেরী কামাল স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে অনেক ব্যবসায়িকে পথে বসিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ি দুই বন্ধুর বিরোধের জেরে কাশমেরী কামাল হাতিয়ে নিয়েছেন ছয়শ’ কোটি টাকা। মোস্তফা কামালের এপিএস মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান ছয়শ’ কোটি টাকা লোপাটে সহযোগিতা করেন। এপিএস মিজান নিজেও কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বিরোধপূর্ণ বিপুল অর্থ ভুক্তভোগি ব্যবসায়ীদের ফেরৎ দেওয়ার কথা বলে বছরের পর বছর ঘুরিয়েছেন। কিন্তু টাকা আর ফেরত আসেনি।

নওরোজের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর এই অর্থ লোপাট ও পাচারের ঘটনা। গত ৭ সেপ্টেম্বর নওরোজের প্রথম পৃষ্ঠায় ব্যবসায়ী দুই বন্ধুর বিরোধের জের, ছয়শ’ কোটি টাকা হাতিয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রীর স্ত্রী কাশমেরী’’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পর ব্যাপক তোলপাড় চলছে। কিন্তু ঘটনা এখানেই শেষ না। ছয়শ’ কোটি টাকা কোথা থেকে এলো, কোথায় গেলো। এপিএস মিজান ভুক্তভোগি ব্যবসায়ি ও কাশমেরী কামালের আর্থিক লেনদেনের সব ঘটনার মধ্যস্থতাকারি হিসেবে কাজ করেছে। ভুক্তভোগি ব্যবসায়ি এবং এপিএস মিজানের মধ্যে এ বিষয়ে একাধিকবার মুঠোফোনে কথা হয়েছে। এর মধ্যে এক্সক্লুসিভ একাধিক কল রেকর্ড নওরোজের হাতে রয়েছে। ব্যবসায়ীর সঙ্গে এপিএস মিজানের কথোপকথনেই লুকিয়ে রয়েছে ছয়শ’ কোটি টাকা পাচারের আসল রহস্য। দুইজনের কথোপকথনের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।

ব্যবসায়ী : মিজান ভাই, আমি প্রচন্ড প্রেসারে আছি! কিভাবে যে উদ্ধার পাবো। ম্যাডাম(কাশমেরী কামাল) বললো তিনি ব্যাংকে আছেন, আমার অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে দিবেন। কিন্তু কই বাস্তবে কিছুই পাঠায়নি।
এপিএস মিজানুর রহমান: আমি যতদূর জানি শাওনকে কিছু ফান্ড দিছে।

ব্যবসায়ী : কত?

এপিএস মিজান: সম্ভবত ১০ কোটি।
ব্যবসায়ি : অথচ ম্যাডাম বা শাওন কেউই আমাকে কোন টাকা দেয়নি। আপনিতো সব জানেন, ম্যাডাম প্রথমে হিসাব দিলো আমি ২০৬ কোটি টাকা পাবো। সেখান থেকেও কমিয়ে ১৮৮ কোটি টাকা আমাকে ফেরত দেওয়ার কথা। আমি তাতেও রাজি হয়েছি। কিন্তু একটা টাকাও ফেরত পেলাম না।

এপিএস মিজান: আমি শুধু আল্লাহর কাছে দোয়া করি সবাইরে যেন উদ্ধার করে । আপনার পাওনা ১৮৮ কোটি টাকা আমার জানা আছে। লেনদেন কিভাবে হবে সবকিছু আমার উপস্থিতিতে হয়েছে। কে কত পাবে, সব নোট কইরা রাখছি। সেখানে আপনার সবসহ ১৮৮ কোটি টাকা।
ব্যবসায়ী : ২০২০ সালে ম্যাডাম(কাশমেরী কামাল) শাওন ও আশরাফকে ডেকে সামনাসামনি সব হিসাব ফয়সালা করছে। তারপর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শাওন-আশরাফের অ্যাকাউন্টে জমাকৃত অর্থ ম্যাডামের আন্ডারে ডিসভার্স করেছে। এখন ২০২২ সালের ডিসেম্বর, প্রায় দুই বছর। ১৮৮ কোটিতো দূরে থাক, আমাকে পাওনা একটি টাকাও দেওয়া হয়নি।

এপিএস মিজান ম্যাডামের সামনে শাওন(মনোয়ার হোসেন ভূইয়া ওরফে শাওন), আশরাফ (আশরাফুল আলম মোল্লা) সব পক্ষই ছিলো। দুইজনই স্বীকার গেছে আপনি টাকা পাবেন। পাওনা এবং লাভসহ ১৮৮ কোটি টাকা আপনাকে ফেরৎ দিবে। এটা ফাইনাল হয়েছে। পাওনা টাকা ডিসভার্স করার খরচও শাওনের দেওয়ার কথা।

এ বিষয়ে জানতে এপিএস মিজানুর রহমান মিজানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ব্যবসায়ী আশরাফুল আলম মোল্লা ও মনোয়ার হোসেন ভূইয়া ওরফে শাওনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার বিষয়ে অস্বীকার করেননি তবে রহস্যজনক কারণে এড়িয়ে যান। (চলবে)

সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রতিবেদকের ক্ষতিসাধনের হুমকি 
দৈনিক নওরোজ পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ‘ব্যবসায়ী দুই বন্ধুর বিরোধের জের, ছয়শ’ কোটি টাকা হাতিয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রীর স্ত্রী কাশমেরী’’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের জেরে প্রতিবেদককে ক্ষতিসাধনের হুমকি প্রদান করা হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৯:০৮ ঘটিকায় এক ব্যক্তি নিজেকে গোয়েন্দা পরিচয়ে এই প্রতিবেদককে মুঠোফোনে কল দিয়ে হুমকি দেন। স্মার্ট মোবাইলের ট্রুকলারে ওই ব্যক্তির নাম মুফতি আমিনুল দেখা গেছে।

তিনি হুমকি দিয়ে বলেন নওরোজ অফিসের ঠিকানা দেন সেখানে আমার গোয়েন্দা টিম পাঠাবো। পরবর্তি সময়ে ১০ সেপ্টেম্বর বিকালে ব্যবসায়ী আশরাফুল আলম হোয়াটস অ্যাপে এসএমএসের মাধ্যমে পুনরায় এই প্রতিবেদককে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। একইভাবে ওই ব্যবসায়ী এই প্রতিবেদকের হোয়াটস অ্যাপে সাবেক স্বৈরশাসক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ছবি পাঠান। শুধু তাই না! আশরাফুল আলম এই প্রতিবেদকের হোয়াটস অ্যাপে একটা ইউটিউব ভিডিও লিংক পাঠান। ভিডিওতে দেখা যায়, ইতোপূর্বে সংবাদ প্রকাশের জেরে একজন সাংবাদিককে কচুকাটা করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

হুমকিদাতা নিজেকে চট্টগ্রামের একটি বির্তকিত শিল্পগোষ্ঠীর পক্ষে এই মর্মে হুমকি প্রদান করে বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিউজ করতে যাওয়ায় তাকে কচুকাটা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ঐ সাংবাদিক তখন হুমকির অডিও দিয়ে একটি ভিডিও ইউটিউবে পাবলিষ্ট করেন। সেই ভিডিও এই প্রতিবেদককে পাঠিয়ে একই হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

উল্লেখ্য, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ছত্রছায়ায় শিল্প গোষ্ঠীটি বেপরোয়া হয়েছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতন হলেও কর্পোরেট স্বৈরশাসক হিসেবে এদের ঔদ্ধত্য একটুও কমেনি। যে কারণে হুমকি দিয়ে সংবাদ প্রকাশে বিরত রাখার হীন প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

সাবেক অর্থমন্ত্রীর স্ত্রী কাশমেরী কামালের লুটপাট পর্ব-২

এপিএস মিজান এবং ব্যবসায়ীর আলাপে লুকিয়ে আছে রহস্য

মোহাম্মদ আলম :
Update Time : ০৬:৫১:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী এবং তাদের স্বজনদের দূর্ণীতির নজির বিশ্বে দ্বিতীয়টি পাওয়া যাবে না। লুটপাট থেকে বাদ যায়নি তাদের স্ত্রী-সন্তান বা অধিনস্থ কর্মচারী কর্মকর্তাগণও। সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের স্ত্রী কাশমেরী কামাল স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে অনেক ব্যবসায়িকে পথে বসিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ি দুই বন্ধুর বিরোধের জেরে কাশমেরী কামাল হাতিয়ে নিয়েছেন ছয়শ’ কোটি টাকা। মোস্তফা কামালের এপিএস মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান ছয়শ’ কোটি টাকা লোপাটে সহযোগিতা করেন। এপিএস মিজান নিজেও কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বিরোধপূর্ণ বিপুল অর্থ ভুক্তভোগি ব্যবসায়ীদের ফেরৎ দেওয়ার কথা বলে বছরের পর বছর ঘুরিয়েছেন। কিন্তু টাকা আর ফেরত আসেনি।

নওরোজের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর এই অর্থ লোপাট ও পাচারের ঘটনা। গত ৭ সেপ্টেম্বর নওরোজের প্রথম পৃষ্ঠায় ব্যবসায়ী দুই বন্ধুর বিরোধের জের, ছয়শ’ কোটি টাকা হাতিয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রীর স্ত্রী কাশমেরী’’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পর ব্যাপক তোলপাড় চলছে। কিন্তু ঘটনা এখানেই শেষ না। ছয়শ’ কোটি টাকা কোথা থেকে এলো, কোথায় গেলো। এপিএস মিজান ভুক্তভোগি ব্যবসায়ি ও কাশমেরী কামালের আর্থিক লেনদেনের সব ঘটনার মধ্যস্থতাকারি হিসেবে কাজ করেছে। ভুক্তভোগি ব্যবসায়ি এবং এপিএস মিজানের মধ্যে এ বিষয়ে একাধিকবার মুঠোফোনে কথা হয়েছে। এর মধ্যে এক্সক্লুসিভ একাধিক কল রেকর্ড নওরোজের হাতে রয়েছে। ব্যবসায়ীর সঙ্গে এপিএস মিজানের কথোপকথনেই লুকিয়ে রয়েছে ছয়শ’ কোটি টাকা পাচারের আসল রহস্য। দুইজনের কথোপকথনের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।

ব্যবসায়ী : মিজান ভাই, আমি প্রচন্ড প্রেসারে আছি! কিভাবে যে উদ্ধার পাবো। ম্যাডাম(কাশমেরী কামাল) বললো তিনি ব্যাংকে আছেন, আমার অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে দিবেন। কিন্তু কই বাস্তবে কিছুই পাঠায়নি।
এপিএস মিজানুর রহমান: আমি যতদূর জানি শাওনকে কিছু ফান্ড দিছে।

ব্যবসায়ী : কত?

এপিএস মিজান: সম্ভবত ১০ কোটি।
ব্যবসায়ি : অথচ ম্যাডাম বা শাওন কেউই আমাকে কোন টাকা দেয়নি। আপনিতো সব জানেন, ম্যাডাম প্রথমে হিসাব দিলো আমি ২০৬ কোটি টাকা পাবো। সেখান থেকেও কমিয়ে ১৮৮ কোটি টাকা আমাকে ফেরত দেওয়ার কথা। আমি তাতেও রাজি হয়েছি। কিন্তু একটা টাকাও ফেরত পেলাম না।

এপিএস মিজান: আমি শুধু আল্লাহর কাছে দোয়া করি সবাইরে যেন উদ্ধার করে । আপনার পাওনা ১৮৮ কোটি টাকা আমার জানা আছে। লেনদেন কিভাবে হবে সবকিছু আমার উপস্থিতিতে হয়েছে। কে কত পাবে, সব নোট কইরা রাখছি। সেখানে আপনার সবসহ ১৮৮ কোটি টাকা।
ব্যবসায়ী : ২০২০ সালে ম্যাডাম(কাশমেরী কামাল) শাওন ও আশরাফকে ডেকে সামনাসামনি সব হিসাব ফয়সালা করছে। তারপর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শাওন-আশরাফের অ্যাকাউন্টে জমাকৃত অর্থ ম্যাডামের আন্ডারে ডিসভার্স করেছে। এখন ২০২২ সালের ডিসেম্বর, প্রায় দুই বছর। ১৮৮ কোটিতো দূরে থাক, আমাকে পাওনা একটি টাকাও দেওয়া হয়নি।

এপিএস মিজান ম্যাডামের সামনে শাওন(মনোয়ার হোসেন ভূইয়া ওরফে শাওন), আশরাফ (আশরাফুল আলম মোল্লা) সব পক্ষই ছিলো। দুইজনই স্বীকার গেছে আপনি টাকা পাবেন। পাওনা এবং লাভসহ ১৮৮ কোটি টাকা আপনাকে ফেরৎ দিবে। এটা ফাইনাল হয়েছে। পাওনা টাকা ডিসভার্স করার খরচও শাওনের দেওয়ার কথা।

এ বিষয়ে জানতে এপিএস মিজানুর রহমান মিজানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ব্যবসায়ী আশরাফুল আলম মোল্লা ও মনোয়ার হোসেন ভূইয়া ওরফে শাওনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার বিষয়ে অস্বীকার করেননি তবে রহস্যজনক কারণে এড়িয়ে যান। (চলবে)

সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রতিবেদকের ক্ষতিসাধনের হুমকি 
দৈনিক নওরোজ পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ‘ব্যবসায়ী দুই বন্ধুর বিরোধের জের, ছয়শ’ কোটি টাকা হাতিয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রীর স্ত্রী কাশমেরী’’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের জেরে প্রতিবেদককে ক্ষতিসাধনের হুমকি প্রদান করা হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৯:০৮ ঘটিকায় এক ব্যক্তি নিজেকে গোয়েন্দা পরিচয়ে এই প্রতিবেদককে মুঠোফোনে কল দিয়ে হুমকি দেন। স্মার্ট মোবাইলের ট্রুকলারে ওই ব্যক্তির নাম মুফতি আমিনুল দেখা গেছে।

তিনি হুমকি দিয়ে বলেন নওরোজ অফিসের ঠিকানা দেন সেখানে আমার গোয়েন্দা টিম পাঠাবো। পরবর্তি সময়ে ১০ সেপ্টেম্বর বিকালে ব্যবসায়ী আশরাফুল আলম হোয়াটস অ্যাপে এসএমএসের মাধ্যমে পুনরায় এই প্রতিবেদককে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। একইভাবে ওই ব্যবসায়ী এই প্রতিবেদকের হোয়াটস অ্যাপে সাবেক স্বৈরশাসক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ছবি পাঠান। শুধু তাই না! আশরাফুল আলম এই প্রতিবেদকের হোয়াটস অ্যাপে একটা ইউটিউব ভিডিও লিংক পাঠান। ভিডিওতে দেখা যায়, ইতোপূর্বে সংবাদ প্রকাশের জেরে একজন সাংবাদিককে কচুকাটা করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

হুমকিদাতা নিজেকে চট্টগ্রামের একটি বির্তকিত শিল্পগোষ্ঠীর পক্ষে এই মর্মে হুমকি প্রদান করে বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিউজ করতে যাওয়ায় তাকে কচুকাটা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ঐ সাংবাদিক তখন হুমকির অডিও দিয়ে একটি ভিডিও ইউটিউবে পাবলিষ্ট করেন। সেই ভিডিও এই প্রতিবেদককে পাঠিয়ে একই হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

উল্লেখ্য, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ছত্রছায়ায় শিল্প গোষ্ঠীটি বেপরোয়া হয়েছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতন হলেও কর্পোরেট স্বৈরশাসক হিসেবে এদের ঔদ্ধত্য একটুও কমেনি। যে কারণে হুমকি দিয়ে সংবাদ প্রকাশে বিরত রাখার হীন প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে।