ঢাকা ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এখনকার প্রজন্ম পোশাকের মতো পার্টনার বদলায় : টুইঙ্কেল

বিনোদন ডেস্ক
  • Update Time : ১২:৪৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১১৮ Time View

বলিউডের প্রাক্তন অভিনেত্রী থেকে লেখিকা বনে যাওয়া টুইঙ্কেল খান্না এবার টকশো সঞ্চালনায় নেমেছেন। অভিনেত্রী কাজলকে সঙ্গে নিয়ে তিনি করছেন ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কেল’ নামের একটি শো।

সম্প্রতি এই শোর নতুন পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন নির্মাতা ফারাহ খান ও অভিনেত্রী অনন্যা পান্ডে। আড্ডার বিষয় ছিল— বিভিন্ন প্রজন্ম সম্পর্ক ও ব্যক্তিগত সীমারেখাকে কীভাবে দেখে।

শোর ‘এগ্রি/ডিসএগ্রি’ (সম্মতি/অসন্মতি) সেগমেন্টে প্রথম প্রশ্ন ছিল— বয়স্করা কী তরুণদের তুলনায় তাদের সম্পর্ক গোপন রাখতে বেশি দক্ষ?

এই প্রশ্নে টুইঙ্কেল খান্না, ফারাহ খান এবং অনন্যা পান্ডে ‘এগ্রি’ (সম্মতি) জানান। অনন্যা মজা করে বলেন, ‘আপনারা সবাই (প্রবীণরা) খুব ভালো পারেন।’ টুইঙ্কেল যোগ করেন, ‘বয়স্করা অনেক বেশি পারদর্শী, তাদের অনেক অনুশীলন আছে।’

তবে এই ধারণার সঙ্গে সম্পূর্ণ ভিন্ন মত প্রকাশ করেন কাজল। ‘বাজিগর’ তারকা বলেন, ‘আমি মনে করি, তরুণরা তাদের জীবনের সবকিছু, অর্থাৎ সম্পর্কসহ সব লুকাতে অনেক বেশি পারদর্শী।’ এর জবাবে অনন্যা বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে এখন কিছুই গোপন থাকে না।’ ফারাহ খান যোগ করেন, ‘তরুণরা এখন প্রেমে না থাকলেও নিজের ব্যক্তিগত জীবন অনলাইনে পোস্ট করেন।’

আড্ডার সবচেয়ে বিতর্কিত মুহূর্তটি আসে পরের প্রশ্নে। যখন জানতে চাওয়া হয়, আজকের প্রজন্ম কী তাদের পার্টনার পোশাকের মতো ঘন ঘন বদলায়?

আশ্চর্যজনকভাবে, এই বক্তব্যের পক্ষে ‘এগ্রি’ করেন সঞ্চালক টুইঙ্কেল খান্না। কিন্তু কাজল, ফারাহ এবং অনন্যা— তিনজনই এর সঙ্গে অসম্মতি জানান।

টুইঙ্কেল তার যুক্তিতে বলেন, “এটা (ঘন ঘন পার্টনার বদলানো) একটা ভালো দিক। কারণ আমাদের সময় আমরা ভাবতাম, ‘মানুষ কী বলবে? এটা করা যায় না।’ এখনকার ছেলেমেয়েরা দ্রুত পার্টনার বদলাচ্ছে, আমি মনে করি এটা ইতিবাচক।”

টুইঙ্কেলের এই যুক্তির সঙ্গে ভিন্ন মত প্রকাশ করেন অনন্যা পান্ডে। তিনি বলেন, ‘মানুষ সব সময়ই পার্টনার বদলাচ্ছে, আগে সেটা নীরবে হতো। অর্থাৎ বিষয়টি নতুন নয়, এখন শুধু বেশি দৃশ্যমান।’

তবে টুইঙ্কেল তার অবস্থানে অটল থেকে বলেন, তাদের (তরুণদের) জন্য বিষয়টি এখন সহজ, কারণ তাদের কোনো মানসিক বোঝা নেই। তারা ভাবে, ‘এটা কাজ করছে না, তাহলে এগিয়ে যাই (মুভ অন করি)।’

Please Share This Post in Your Social Media

এখনকার প্রজন্ম পোশাকের মতো পার্টনার বদলায় : টুইঙ্কেল

বিনোদন ডেস্ক
Update Time : ১২:৪৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

বলিউডের প্রাক্তন অভিনেত্রী থেকে লেখিকা বনে যাওয়া টুইঙ্কেল খান্না এবার টকশো সঞ্চালনায় নেমেছেন। অভিনেত্রী কাজলকে সঙ্গে নিয়ে তিনি করছেন ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কেল’ নামের একটি শো।

সম্প্রতি এই শোর নতুন পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন নির্মাতা ফারাহ খান ও অভিনেত্রী অনন্যা পান্ডে। আড্ডার বিষয় ছিল— বিভিন্ন প্রজন্ম সম্পর্ক ও ব্যক্তিগত সীমারেখাকে কীভাবে দেখে।

শোর ‘এগ্রি/ডিসএগ্রি’ (সম্মতি/অসন্মতি) সেগমেন্টে প্রথম প্রশ্ন ছিল— বয়স্করা কী তরুণদের তুলনায় তাদের সম্পর্ক গোপন রাখতে বেশি দক্ষ?

এই প্রশ্নে টুইঙ্কেল খান্না, ফারাহ খান এবং অনন্যা পান্ডে ‘এগ্রি’ (সম্মতি) জানান। অনন্যা মজা করে বলেন, ‘আপনারা সবাই (প্রবীণরা) খুব ভালো পারেন।’ টুইঙ্কেল যোগ করেন, ‘বয়স্করা অনেক বেশি পারদর্শী, তাদের অনেক অনুশীলন আছে।’

তবে এই ধারণার সঙ্গে সম্পূর্ণ ভিন্ন মত প্রকাশ করেন কাজল। ‘বাজিগর’ তারকা বলেন, ‘আমি মনে করি, তরুণরা তাদের জীবনের সবকিছু, অর্থাৎ সম্পর্কসহ সব লুকাতে অনেক বেশি পারদর্শী।’ এর জবাবে অনন্যা বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে এখন কিছুই গোপন থাকে না।’ ফারাহ খান যোগ করেন, ‘তরুণরা এখন প্রেমে না থাকলেও নিজের ব্যক্তিগত জীবন অনলাইনে পোস্ট করেন।’

আড্ডার সবচেয়ে বিতর্কিত মুহূর্তটি আসে পরের প্রশ্নে। যখন জানতে চাওয়া হয়, আজকের প্রজন্ম কী তাদের পার্টনার পোশাকের মতো ঘন ঘন বদলায়?

আশ্চর্যজনকভাবে, এই বক্তব্যের পক্ষে ‘এগ্রি’ করেন সঞ্চালক টুইঙ্কেল খান্না। কিন্তু কাজল, ফারাহ এবং অনন্যা— তিনজনই এর সঙ্গে অসম্মতি জানান।

টুইঙ্কেল তার যুক্তিতে বলেন, “এটা (ঘন ঘন পার্টনার বদলানো) একটা ভালো দিক। কারণ আমাদের সময় আমরা ভাবতাম, ‘মানুষ কী বলবে? এটা করা যায় না।’ এখনকার ছেলেমেয়েরা দ্রুত পার্টনার বদলাচ্ছে, আমি মনে করি এটা ইতিবাচক।”

টুইঙ্কেলের এই যুক্তির সঙ্গে ভিন্ন মত প্রকাশ করেন অনন্যা পান্ডে। তিনি বলেন, ‘মানুষ সব সময়ই পার্টনার বদলাচ্ছে, আগে সেটা নীরবে হতো। অর্থাৎ বিষয়টি নতুন নয়, এখন শুধু বেশি দৃশ্যমান।’

তবে টুইঙ্কেল তার অবস্থানে অটল থেকে বলেন, তাদের (তরুণদের) জন্য বিষয়টি এখন সহজ, কারণ তাদের কোনো মানসিক বোঝা নেই। তারা ভাবে, ‘এটা কাজ করছে না, তাহলে এগিয়ে যাই (মুভ অন করি)।’