ঢাকা ১১:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাকৃবি ছাত্রশিবিরের নবীনবরণ অনুষ্ঠান

বাকৃবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৪:৩৭:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৮১ Time View

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) নবীনবরন ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির, বাকৃবি শাখা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ সেশনের এক হাজারের বেশি নবীন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটি আয়োজিত হয়।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় স্টেডিয়ামে এক আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে এটি উদযাপিত হয়।

অনুষ্ঠানে বাকৃবি শাখা শিবিরের সভাপতি আবু নাছির ত্বোহার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রহুল আমিন, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু জোফার মো. মোসলেহ উদ্দিন, কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো মশিউর রহমান, অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় গবেষণা সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক শরীফ মাহমুদ । এছাড়াও শাখা শিবিরের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী এসময় উপস্থিত ছিলেন।

নবীন বরণে শিক্ষার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় ব্যাগ, টিশার্ট, প্যাড, বই, কলমদানী ও চাবির রিং উপহার দেওয়া হয়। কৃষিবিষয়ক বিভিন্ন সেক্টর ও চাকরি ক্ষেত্রে সফল শিবিরের সাবেক নেতারা এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিকের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোকপাত করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির সবসময় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির বিপক্ষে।। ইসলাম ও রাষ্ট্রের স্বার্থে যারা কাজ করবে, শিবির তাদের সহযোগিতা করবে কিন্তু কখনও লেজুড়বৃত্তি করবে না। এই প্রজন্মে অন্ধ আনুগত্য, ভাই পলিটিক্স চলবে না। এখন আর জোর করে মিছিলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলারও সাহস কেউ পাবে না, ৫ আগস্টে এর কবর রচনা হয়ে গেছে।

অমুসলিম ও নারীদের বিষয়ে তিনি বলেন, নারীদের বিষয়ে শিবিরের বিরুদ্ধে একটা শ্রেনির যে প্রোপাগান্ডা, সেটি তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপপ্রচার, যার কোন ভিত্তি নেই। অমুসলিমদের প্রতি ইসলামের উদারনীতির সাথে শিবির একমত এবং সেটিই ধারন করে।

তিনি আরও বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির নামে কলকাতার সংস্কৃতি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। আমরা চাই আমরা আমাদের আত্মপরিচয় ও আত্মসম্মানের সংস্কৃতি চর্চা করতে। আমরা আমাদের স্বকীয়তা বুঝতে শিখেছি, নিজের সক্ষমতা বুঝতে শিখেছি। এটা বুঝেই আমরা ঠিক করবো কার সাথে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করব।

দেশের শিক্ষার মানোন্নয়নে শিবিরের পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্রশিবির ইতোমধ্যে ৩০ দফা শিক্ষা প্রস্তাবনা দিয়েছে। সরকার এটি বাস্তবায়ন হলে শিক্ষা, গবেষণা ও কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে আমরা অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারব।

Please Share This Post in Your Social Media

এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাকৃবি ছাত্রশিবিরের নবীনবরণ অনুষ্ঠান

বাকৃবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৪:৩৭:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) নবীনবরন ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির, বাকৃবি শাখা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ সেশনের এক হাজারের বেশি নবীন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটি আয়োজিত হয়।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় স্টেডিয়ামে এক আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে এটি উদযাপিত হয়।

অনুষ্ঠানে বাকৃবি শাখা শিবিরের সভাপতি আবু নাছির ত্বোহার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রহুল আমিন, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু জোফার মো. মোসলেহ উদ্দিন, কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো মশিউর রহমান, অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় গবেষণা সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক শরীফ মাহমুদ । এছাড়াও শাখা শিবিরের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী এসময় উপস্থিত ছিলেন।

নবীন বরণে শিক্ষার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় ব্যাগ, টিশার্ট, প্যাড, বই, কলমদানী ও চাবির রিং উপহার দেওয়া হয়। কৃষিবিষয়ক বিভিন্ন সেক্টর ও চাকরি ক্ষেত্রে সফল শিবিরের সাবেক নেতারা এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিকের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোকপাত করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির সবসময় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির বিপক্ষে।। ইসলাম ও রাষ্ট্রের স্বার্থে যারা কাজ করবে, শিবির তাদের সহযোগিতা করবে কিন্তু কখনও লেজুড়বৃত্তি করবে না। এই প্রজন্মে অন্ধ আনুগত্য, ভাই পলিটিক্স চলবে না। এখন আর জোর করে মিছিলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলারও সাহস কেউ পাবে না, ৫ আগস্টে এর কবর রচনা হয়ে গেছে।

অমুসলিম ও নারীদের বিষয়ে তিনি বলেন, নারীদের বিষয়ে শিবিরের বিরুদ্ধে একটা শ্রেনির যে প্রোপাগান্ডা, সেটি তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপপ্রচার, যার কোন ভিত্তি নেই। অমুসলিমদের প্রতি ইসলামের উদারনীতির সাথে শিবির একমত এবং সেটিই ধারন করে।

তিনি আরও বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির নামে কলকাতার সংস্কৃতি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। আমরা চাই আমরা আমাদের আত্মপরিচয় ও আত্মসম্মানের সংস্কৃতি চর্চা করতে। আমরা আমাদের স্বকীয়তা বুঝতে শিখেছি, নিজের সক্ষমতা বুঝতে শিখেছি। এটা বুঝেই আমরা ঠিক করবো কার সাথে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করব।

দেশের শিক্ষার মানোন্নয়নে শিবিরের পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্রশিবির ইতোমধ্যে ৩০ দফা শিক্ষা প্রস্তাবনা দিয়েছে। সরকার এটি বাস্তবায়ন হলে শিক্ষা, গবেষণা ও কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে আমরা অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারব।