এক সপ্তাহের ব্যবধানে অর্ধকোটি টাকার বিদেশী পণ্য জব্দ

- Update Time : ০৪:০১:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
- / ৮ Time View
একের পর এক সফল অভিযানের মাধ্যমে আলোচনায় উঠে এসেছেন রাজধানীর বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম। মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে ফের জব্দ করা হলো প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার বিদেশি পণ্য। আর ১ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বিদেশী পণ্য জব্দ করল বংশাল থানা পুলিশ।
গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বংশালের একটি পার্সেল অফিস থেকে শুল্ক না দেওয়া ভারতীয় থ্রি-পিস ও শাড়ি উদ্ধার করে।
গতকাল সকালে রাজধানীর মালিটোলা থেকে একটি ভ্যানে করে পণ্য ডেলিভারি দেয়ার সময়, সন্দেহজনকভাবে পুলিশ তা আটক করে।
বংশাল থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়, সন্দেহজনক পণ্যের বিষয়ে বৈধ কাগজপত্র দেখানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের দুই ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাগজপত্র উপস্থাপন করতে না পারায় পুলিশের উপস্থিতিতে এবং উৎসুক জনতার সামনে প্যাকেট খুলে দেখা হয়, যেখানে বিদেশি পণ্যের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়। এরপর সব মালামাল গণনা করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
বংশাল থানা পুলিশের পরিদর্শন (তদন্ত) বলেন, আমদানীর বৈধ ডক্যুমেন্টস আনার কথা বলে প্রায় দুই ঘন্টা অতিক্রম হওয়ার পরও তারা বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি।
পরবর্তীতে আমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি এসে তাদেরকে মালামালের বৈধ কাগজপত্র প্রদর্শনের জন্য আরও সময় দিলে তারা জানান, বৈধ কাগজপত্র চট্টগ্রাম আছে, আনতে সময় লাগবে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, তারা বিদেশী মালামাল পাঠাবে বৈধ ডক্যুমেন্টস দিয়ে যা দেখে সবাই নিশ্চিত হতে পারে যে, মালামালগুলো বৈধ পথে আনা হয়েছে। তারপরও তাদেরকে সময় দিয়েছি, যদি বৈধ কাগজপত্র প্রদর্শন করতে পারেন তাহলে মালামাল ফেরত দিতে বাধ্য এমনকি আদালতে গেলে একইভাবে তাদের মালামাল বুঝিয়ে দিবে।
তিনি আরও জানান, বংশাল এলাকাটি রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রান্সপোর্ট হাবে পরিণত হওয়ায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরেই বিদেশি পণ্য শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পাচার করে আসছে। ফলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব রোধে সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।
লালবাগ জোনের ডেপুটি কমিশনার মোঃ জসিম উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ এখন নিয়মিতভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান ও অবৈধ কার্যক্রম দমনে কাজ করছে। পুলিশের এসব কার্যক্রম ইতিমধ্যে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। যদি পুলিশের মধ্যে তাদের কার্যক্রম পরিচালনায় অসদুপায় অবলম্বন করে তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা নিব।
উল্লেখ্য, ২৫ মার্চ আনুমানিক ২৬ লক্ষ টাকার বিদেশি পণ্য এবং ৩০ মার্চ প্রায় ১১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার ভারতীয় শাড়ি জব্দ করে আদালতে পাঠানো হয়। এছাড়া নতুন ওসির দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই সাড়ে ৫ টন নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছিল।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় বংশাল থানা পুলিশের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়