ঢাকা ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া

এএসআইয়ের বিরুদ্ধে চাচাতো ভাইকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
  • Update Time : ১২:০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ৩৪ Time View

আহত মোফাজ্জল হোসেন পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন

ছুটিতে বাড়ি এসে চাচাতো ভাইকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে আরিফুল ইসলাম নামে পুলিশের এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে। পাকুন্দিয়ার ঘাগড়া গ্রামে রোববার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত মোফাজ্জল হোসেন পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা ফয়েজ উদ্দিনের বড় ছেলে এবং বর্তমানে শরীয়তপুর জেলা পুলিশে কর্মরত।

আহত মোফাজ্জলের অভিযোগ- “চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই আরিফুল এলাকায় আধিপত্য দেখায়। আমাকে মারার সময় বলে, ‘আমি পুলিশ, মারলেও আমাদের কোনো বিচার নাই।’ আমি প্রশাসনের কাছে এই হামলার বিচার চাই।”

মামলার বাদী ও মোফাজ্জলের বড় বোন সালমা আক্তার বলেন, ‘যে পুলিশ আমাদের নিরাপত্তা দেবে, সেই পুলিশই যদি আমাদের ওপর হামলা করে, তাহলে বিচার পাব কোথায়? অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু সে যেভাবে ভয় দেখায়, আমরা চিন্তায় আছি, তার ডিপার্টমেন্ট কি আমলে নেবে? আমরা কি বিচার পাব? আমার ভাইয়ের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই।”

অভিযুক্ত এএসআই আরিফুল ফোনে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধান হবে।’

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস. এম. আরিফ অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘একজন অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া

এএসআইয়ের বিরুদ্ধে চাচাতো ভাইকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
Update Time : ১২:০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

ছুটিতে বাড়ি এসে চাচাতো ভাইকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে আরিফুল ইসলাম নামে পুলিশের এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে। পাকুন্দিয়ার ঘাগড়া গ্রামে রোববার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত মোফাজ্জল হোসেন পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা ফয়েজ উদ্দিনের বড় ছেলে এবং বর্তমানে শরীয়তপুর জেলা পুলিশে কর্মরত।

আহত মোফাজ্জলের অভিযোগ- “চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই আরিফুল এলাকায় আধিপত্য দেখায়। আমাকে মারার সময় বলে, ‘আমি পুলিশ, মারলেও আমাদের কোনো বিচার নাই।’ আমি প্রশাসনের কাছে এই হামলার বিচার চাই।”

মামলার বাদী ও মোফাজ্জলের বড় বোন সালমা আক্তার বলেন, ‘যে পুলিশ আমাদের নিরাপত্তা দেবে, সেই পুলিশই যদি আমাদের ওপর হামলা করে, তাহলে বিচার পাব কোথায়? অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু সে যেভাবে ভয় দেখায়, আমরা চিন্তায় আছি, তার ডিপার্টমেন্ট কি আমলে নেবে? আমরা কি বিচার পাব? আমার ভাইয়ের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই।”

অভিযুক্ত এএসআই আরিফুল ফোনে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধান হবে।’

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস. এম. আরিফ অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘একজন অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’