ঢাকা ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এই মুহূর্তগুলো ভুলতে পারব না: তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ১০:৫৭:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ৯ Time View

ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই ছবিটি পোস্ট করেছেন তারেক রহমান।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরে মানুষের যে ভালোবাসা ও দোয়া পেয়েছেন সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ফেসবুক নিজের ভেরিফাইড পেজে তিনি এ কথা লিখেছেন।

তারেক রহমান লিখেছেন, প্রিয় বাংলাদেশের বন্ধুরা, বোনেরা ও ভাইয়েরা, গত বৃহস্পতিবার দিনটা সারা জীবনের জন্য আমার হৃদয়ে অবিস্মরনীয় হয়ে থাকবে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর আমি আবার আমার মাতৃভূমির মাটিতে পা রেখেছি। আপনাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা, ঢাকার রাস্তাজুড়ে মানুষের ঢল, আর লাখো মানুষের দোয়া… এই মুহূর্তগুলো আমি কোনো দিন ভুলতে পারব না। সবার প্রতি আমার গভীর কৃতজ্ঞতা।

তিনি লেখেন, এই ফিরে আসা নিয়ে আমার আর আমার পরিবারের মনে যে ভালোবাসা আর সম্মান কাজ করছে, তা শুধুমাত্র কথায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। যারা সব প্রতিকূলতার মাঝেও আমাদের পাশে ছিলেন, কখনো আশা হারাননি, আপনাদের সাহস আমাকে প্রতিনিয়ত শক্তি জোগায়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লেখেন, নাগরিক সমাজের মানুষজন, তরুণরা, পেশাজীবী, কৃষক, শ্রমিক… সব শ্রেণি-পেশার নাগরিকদের ধন্যবাদ। আপনারাই আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশ তখনই সবচেয়ে শক্তিশালী হয়, যখন এদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকে।

এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি দায়িত্বশীলতা ও যত্নের সঙ্গে দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য গণমাধ্যমকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আর যারা আমার ফিরে আসার সময় নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করেছেন, সেই সাথে দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, সেইসব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সেবার গুরুত্ব অপরিসীম।

আমি অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আমার দেশে ফেরাকে স্বাগত জানিয়েছেন। গণতন্ত্র, বহুদলীয় সহাবস্থান এবং জনগণের অদম্য ইচ্ছাশক্তির ওপর জোর দেওয়া এসব ভাবনার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আন্তরিকভাবে স্বাগত জানানোর জন্য ধন্যবাদ, একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সংস্কৃতির আশাবাদ এবং প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বানকেও আমি গুরুত্ব দিচ্ছি। এসব পরামর্শ আমি বিনয় ও সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করছি।

গতকাল আমি শুধু কোনো স্বপ্নের কথা বলিনি, আমি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি বাস্তব পরিকল্পনার কথা বলেছি; যে বাংলাদেশে শান্তি ও মর্যাদা থাকবে, যেখানে প্রতিটি মানুষ নিজেকে নিরাপদ ও সম্মানিত মনে করবে, আর প্রতিটি শিশু আশার আলো নিয়ে বড় হবে।

এই পরিকল্পনা সব বাংলাদেশিদের জন্য। একটি ঐক্যবদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের জন্য। সবাইকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবার মত বাংলাদেশের জন্য।

দেশে ফিরে আসার সময় আমাকে বরণ করে নেবার জন্য, আপনাদের ধন্যবাদ। আল্লাহ বাংলাদেশকে এবং আপনাদের সবাইকে সবসময় তাঁর রহমতে রাখুন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই মুহূর্তগুলো ভুলতে পারব না: তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক
Update Time : ১০:৫৭:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরে মানুষের যে ভালোবাসা ও দোয়া পেয়েছেন সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ফেসবুক নিজের ভেরিফাইড পেজে তিনি এ কথা লিখেছেন।

তারেক রহমান লিখেছেন, প্রিয় বাংলাদেশের বন্ধুরা, বোনেরা ও ভাইয়েরা, গত বৃহস্পতিবার দিনটা সারা জীবনের জন্য আমার হৃদয়ে অবিস্মরনীয় হয়ে থাকবে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর আমি আবার আমার মাতৃভূমির মাটিতে পা রেখেছি। আপনাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা, ঢাকার রাস্তাজুড়ে মানুষের ঢল, আর লাখো মানুষের দোয়া… এই মুহূর্তগুলো আমি কোনো দিন ভুলতে পারব না। সবার প্রতি আমার গভীর কৃতজ্ঞতা।

তিনি লেখেন, এই ফিরে আসা নিয়ে আমার আর আমার পরিবারের মনে যে ভালোবাসা আর সম্মান কাজ করছে, তা শুধুমাত্র কথায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। যারা সব প্রতিকূলতার মাঝেও আমাদের পাশে ছিলেন, কখনো আশা হারাননি, আপনাদের সাহস আমাকে প্রতিনিয়ত শক্তি জোগায়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লেখেন, নাগরিক সমাজের মানুষজন, তরুণরা, পেশাজীবী, কৃষক, শ্রমিক… সব শ্রেণি-পেশার নাগরিকদের ধন্যবাদ। আপনারাই আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশ তখনই সবচেয়ে শক্তিশালী হয়, যখন এদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকে।

এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি দায়িত্বশীলতা ও যত্নের সঙ্গে দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য গণমাধ্যমকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আর যারা আমার ফিরে আসার সময় নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করেছেন, সেই সাথে দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, সেইসব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সেবার গুরুত্ব অপরিসীম।

আমি অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আমার দেশে ফেরাকে স্বাগত জানিয়েছেন। গণতন্ত্র, বহুদলীয় সহাবস্থান এবং জনগণের অদম্য ইচ্ছাশক্তির ওপর জোর দেওয়া এসব ভাবনার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আন্তরিকভাবে স্বাগত জানানোর জন্য ধন্যবাদ, একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সংস্কৃতির আশাবাদ এবং প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বানকেও আমি গুরুত্ব দিচ্ছি। এসব পরামর্শ আমি বিনয় ও সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করছি।

গতকাল আমি শুধু কোনো স্বপ্নের কথা বলিনি, আমি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি বাস্তব পরিকল্পনার কথা বলেছি; যে বাংলাদেশে শান্তি ও মর্যাদা থাকবে, যেখানে প্রতিটি মানুষ নিজেকে নিরাপদ ও সম্মানিত মনে করবে, আর প্রতিটি শিশু আশার আলো নিয়ে বড় হবে।

এই পরিকল্পনা সব বাংলাদেশিদের জন্য। একটি ঐক্যবদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের জন্য। সবাইকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবার মত বাংলাদেশের জন্য।

দেশে ফিরে আসার সময় আমাকে বরণ করে নেবার জন্য, আপনাদের ধন্যবাদ। আল্লাহ বাংলাদেশকে এবং আপনাদের সবাইকে সবসময় তাঁর রহমতে রাখুন।