ঢাকা ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায় সরকারকেই নিতে হবে: মির্জা ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ০৬:১০:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ২১ Time View

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পুরোনো ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

পোস্টে মির্জা ফখরুল লেখেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং এ দেশের প্রতিটি নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বর্তমান সরকারের দায়িত্ব। শহীদ হাদির মৃত্যুতে যখন পুরো জাতি শোকাহত এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করছে, ঠিক সেই সময়ে ডেইলি স্টার, প্রথম আলোসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং বরেণ্য সাংবাদিক নূরুল কবীরসহ আরও অনেকের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে।

এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের সংকটময় মুহূর্তকে কাজে লাগানোর অপেক্ষায় থাকা অপশক্তিরাই এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তারা সংকটের সুযোগ নিয়ে দুঃখভারাক্রান্ত সময়কে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে রূপান্তর করেছে। এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং সরকারকে পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানান।

প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে মব সন্ত্রাসের মাধ্যমে জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব লেখেন, শহীদ হাদি একজন নির্বাচনী প্রার্থী ছিলেন এবং জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়েছিলেন। নির্বাচন হবে এবং বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে— ইনশাআল্লাহ। তিনি হাদির হত্যাকারীদের বিচার এবং প্রতিটি মব সন্ত্রাসের ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।

পোস্টে আরও বলা হয়, স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের পতনের পর সরকারের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব হওয়া উচিত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তোলা। এ জন্য তিনি সকল পক্ষকে দায়িত্বশীল আচরণ ও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান এবং অনতিবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি করেন।

উল্লেখ্য, জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক শরিফ ওসমান হাদি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে গণসংযোগকালে চলন্ত রিকশায় থাকা অবস্থায় আততায়ীর গুলিতে গুরুতর আহত হন। গুলিটি তার মাথায় লাগে। পরে ঢাকায় এবং সিঙ্গাপুরে দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা ও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায় সরকারকেই নিতে হবে: মির্জা ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক
Update Time : ০৬:১০:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

পোস্টে মির্জা ফখরুল লেখেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং এ দেশের প্রতিটি নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বর্তমান সরকারের দায়িত্ব। শহীদ হাদির মৃত্যুতে যখন পুরো জাতি শোকাহত এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করছে, ঠিক সেই সময়ে ডেইলি স্টার, প্রথম আলোসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং বরেণ্য সাংবাদিক নূরুল কবীরসহ আরও অনেকের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে।

এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের সংকটময় মুহূর্তকে কাজে লাগানোর অপেক্ষায় থাকা অপশক্তিরাই এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তারা সংকটের সুযোগ নিয়ে দুঃখভারাক্রান্ত সময়কে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে রূপান্তর করেছে। এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং সরকারকে পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানান।

প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে মব সন্ত্রাসের মাধ্যমে জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব লেখেন, শহীদ হাদি একজন নির্বাচনী প্রার্থী ছিলেন এবং জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়েছিলেন। নির্বাচন হবে এবং বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে— ইনশাআল্লাহ। তিনি হাদির হত্যাকারীদের বিচার এবং প্রতিটি মব সন্ত্রাসের ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।

পোস্টে আরও বলা হয়, স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের পতনের পর সরকারের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব হওয়া উচিত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তোলা। এ জন্য তিনি সকল পক্ষকে দায়িত্বশীল আচরণ ও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান এবং অনতিবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি করেন।

উল্লেখ্য, জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক শরিফ ওসমান হাদি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে গণসংযোগকালে চলন্ত রিকশায় থাকা অবস্থায় আততায়ীর গুলিতে গুরুতর আহত হন। গুলিটি তার মাথায় লাগে। পরে ঢাকায় এবং সিঙ্গাপুরে দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা ও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।