ঢাকা ১১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
এবার যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ১.২৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বাংলাদেশ সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ডিআরইউ’র নিন্দা ও প্রতিবাদ দেশের তিনটি স্থলবন্দর বন্ধ করার প্রস্তাব অনুমোদন ভিক্ষুক বেশে অভিনব কৌশলে চুরি, ১০ লক্ষাধিক টাকার চোরাই মালামালসহ আটক চোরের রানী তাছলিমা লভ্যাংশ দেবে না ইসলামী ব্যাংক যারা নির্বাচনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে তারা নিশ্চিহ্ন হবে: ফখরুল উপদেষ্টা হতে চিকিৎসকের ২০০ কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের অভিযান প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চলছে ওবায়দুল কাদেরসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

উপদেষ্টা হতে চিকিৎসকের ২০০ কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের অভিযান

জাতীয় ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:৫৫:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৩২ Time View

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের (এনআইসিআরএইচ) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. শেখ গোলাম মোস্তফা।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হওয়ার লোভে এক সমন্বয়ককে ২০০ কোটি টাকার চেক দেয়ার অভিযোগে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের (এনআইসিআরএইচ) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. শেখ গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি বিশেষ দল এই অভিযান পরিচালনা করছে। দুদকের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ডা. মোস্তফার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং অসাধু প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ার জন্য ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডা. গোলাম মোস্তফা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হওয়ার আশায় এক সমন্বয়ক গ্রুপকে ১০ লাখ টাকা নগদ এবং ২০০ কোটি টাকার চারটি চেক দিয়েছেন। এই গ্রুপটি নিজেদের যমুনা থেকে আগত হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল।

লেনদেনের সময় আরিফুল ইসলাম নামে একজন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেন, যিনি নিজেকে সমন্বয়ক আরেফিনের ভাই হিসেবে পরিচয় দেন। আরিফুল সরাসরি ডা. মোস্তফার চেম্বার থেকে চেকগুলো সংগ্রহ করেন।

জানা গেছে, আরেফিন সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি ফোনে কথোপকথনের মাধ্যমে এই লেনদেনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তবে গণমাধ্যমে অধ্যাপক ডা. শেখ গোলাম মোস্তফা দাবি করেছেন, অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা তাকে উপদেষ্টা করার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে এবং জোর করে চেকগুলোতে স্বাক্ষর নিয়েছে। এগুলো সিকিউরিটি চেক ছিল এবং চেক নেওয়ার সময় অফিসে এসেছিল এবং তাদের দুজনের হাতে অস্ত্র ছিল।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ডা. শেখ গোলাম মোস্তফার ব্যাংক হিসাব, আর্থিক লেনদেন এবং সমন্বয়ক গ্রুপের সঙ্গে তার যোগাযোগের রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারী দল চেকগুলোর সত্যতা এবং লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য যাচাই করছে।

দুদকের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ডা. মোস্তফার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং অসাধু প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ার জন্য ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

উপদেষ্টা হতে চিকিৎসকের ২০০ কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের অভিযান

জাতীয় ডেস্ক
Update Time : ০৭:৫৫:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হওয়ার লোভে এক সমন্বয়ককে ২০০ কোটি টাকার চেক দেয়ার অভিযোগে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের (এনআইসিআরএইচ) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. শেখ গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি বিশেষ দল এই অভিযান পরিচালনা করছে। দুদকের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ডা. মোস্তফার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং অসাধু প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ার জন্য ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডা. গোলাম মোস্তফা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হওয়ার আশায় এক সমন্বয়ক গ্রুপকে ১০ লাখ টাকা নগদ এবং ২০০ কোটি টাকার চারটি চেক দিয়েছেন। এই গ্রুপটি নিজেদের যমুনা থেকে আগত হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল।

লেনদেনের সময় আরিফুল ইসলাম নামে একজন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেন, যিনি নিজেকে সমন্বয়ক আরেফিনের ভাই হিসেবে পরিচয় দেন। আরিফুল সরাসরি ডা. মোস্তফার চেম্বার থেকে চেকগুলো সংগ্রহ করেন।

জানা গেছে, আরেফিন সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি ফোনে কথোপকথনের মাধ্যমে এই লেনদেনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তবে গণমাধ্যমে অধ্যাপক ডা. শেখ গোলাম মোস্তফা দাবি করেছেন, অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা তাকে উপদেষ্টা করার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে এবং জোর করে চেকগুলোতে স্বাক্ষর নিয়েছে। এগুলো সিকিউরিটি চেক ছিল এবং চেক নেওয়ার সময় অফিসে এসেছিল এবং তাদের দুজনের হাতে অস্ত্র ছিল।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ডা. শেখ গোলাম মোস্তফার ব্যাংক হিসাব, আর্থিক লেনদেন এবং সমন্বয়ক গ্রুপের সঙ্গে তার যোগাযোগের রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারী দল চেকগুলোর সত্যতা এবং লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য যাচাই করছে।

দুদকের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ডা. মোস্তফার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং অসাধু প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ার জন্য ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।