ঢাকা ০৬:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪, ৪ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উন্নয়নের মহাসড়কে বিআরটিসি

মোহাম্মদ মোশাররাফ হোছাইন খান
  • Update Time : ০৪:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪
  • / ২৬ Time View

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) গত তিন বছরে লোকসানী প্রতিষ্ঠানের বদনাম থেকে বের হয়ে এখন লাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রাতিষ্ঠানিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিকসহ সবগুলো প্যারমিটারে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। এর হেড অফিস থেকে শুরু করে ডিপো কার্যালয়গুলো সজ্জিত করা হয়েছে দৃষ্টি নন্দনভাবে। এ সব কিছুর পরিবর্তন হয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি যোগদানের পর। তিনি প্রতিষ্ঠানটি সাজিয়েছেন একটি সর্বাধুনিক মানের কর্পোরেট অফিসের আদলে।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম বলেন, “একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করতে প্রয়োজন দক্ষ একজন সংগঠকের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী টিমওয়ার্ক, উদ্যোগ ও লক্ষ নির্ধারন। টীমওয়ার্ক, উদ্যোগ ও লক্ষ্য নির্ধারণ যতটা স্বচ্ছ ও প্রচ্ছন্ন হবে সে প্রতিষ্ঠানটি তত দ্রুত কাংখিত লক্ষ্যে পৌছতে স্বক্ষমতা অর্জন করে। সরকারী প্রত্যেকটা দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের রয়েছে ডায়নামিক কতিপয় Kay performance indicator (KPI) ।

এ KPI হলো উন্নয়নের মূল স্মারক। KPI অনুসরনে নিয়মতান্ত্রিক কার্যাবলী দক্ষতার সাথে সম্পাদিত হলে সে প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, লোকসান থাকতে পারে না। একজন দক্ষ, অভিজ্ঞ, যোগ্য সংগঠক যখন দেশাত্ববোধের জায়গা থেকে তার দৈনন্দিন কার্যাবলী সম্পাদন করতে থাকেন তখন সে প্রতিষ্ঠানটি উন্নতির চূড়ায় পৌঁছে খুব স্বল্পতম সময়ে। আমি সে কাজটি করার চেষ্টা করেছি। এতে শতভাগ সফলতাও পেয়েছি”।

বিআরটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) তাজুল ইসলাম প্রাতিষ্ঠানিক KPI অনুযায়ী নিরলসভাবে টীমওয়ার্ক করে মাত্র তিন বছরে বিআরটিসির মতো একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠানকে সফলতার প্রান্তে পৌছিয়ে একটি আইকনিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বিআরটিসি যে শুধু রেভিনিউ আয় করে লাভের জায়গায় এসেছে এমনই নয়। এ তিন বছরে প্রতিষ্ঠানটি প্রশাসনিক, প্রাতিষ্ঠানিক, অর্থনৈতিক সবগুলো প্যারমিটারে উচ্চতায় পৌছাতে স্বক্ষম হয়েছেন অবিশ্বাস্যভাবে। চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী টীমওয়ার্কে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও প্রশাসন থেকে প্রেষণে আসা কয়েকজন কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে বিআরটিসি চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, “বিআরটিসিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং প্রশাসন থেকে প্রেষণে আসা কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন যারা সবাই অত্যন্ত সৎ ও কর্মদক্ষ। এ সকল কর্মকর্তাদের যখন যে দায়ীত্ব অর্পণ করা হয়েছে তারা নিষ্ঠার সাথে অর্পিত দায়ীত্ব পালন করেছে। এছাড়া বিআরটিসির বিদ্যমান কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঐকান্তিক সহযোগীতায় মাত্র তিন বছরে বিআরটিসি কর্পোরেট কালচারে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘুরে দাড়াতে স্বক্ষম হয়েছে। আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও টীমওয়ার্কে সরকারেরও ভাবমূর্তি উজ্জল হয়েছে বহু গুন”।

মাত্র তিন বছরে কয়েক যুগের জঞ্জাল দূর করে একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করা খুব সহজ কাজ ছিলো না। দীর্ঘদিনের সুবিধাভোগী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের রোসানল, ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে বিআরটিসির বর্তমান প্রশাসনকে তাদের লক্ষ্য অনুযায়ী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হয়েছে। লক্ষ্যে পৌঁছতে হয়েছে।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান জানান, “বিআরটিসির উন্নয়নে ও প্রতিবন্ধকতা সমূহ দুরীকরণে ফলপ্রসু দিক নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি মহোদয় ও সার্বিক তত্ত্বাবধান করেছেন সচিব এ বি এম আমিনুল্লাহ নূরী মহোদয় ”।

এ ছাড়া বিআরটিসির পরিচালনা পর্ষদে রয়েছে একঝাঁক সফল পেশাজিবী ব্যক্তিত্ব। বিআরটিসির আজকের এ অগ্রযাত্রায় তাদের অবদানও অনস্বীকার্য। তাদের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা ও পরামর্শে বিআরটিসি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের দক্ষতা পূর্ণ নেতৃত্বে আজকের এই অবস্থানে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছে। বিআরটিসি লোকসানী তকমা থেকে বের হতে পেরেছে। আগামীর একটি সোনালী পথে হাটছে বিআরটিসি ।

বিআরটিসির অগ্রযাত্রার রোডম্যাপঃ
বিআরটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব, মোঃ তাজুল ইসলাম ১১তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সরকারি চাকুরীতে যোগদান করেন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন এর চেয়ারম্যান হিসেবে ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে যোগদান করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন মাঠপ্রশাসন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো এবং কৃষি মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে গুরুত্বপ‚র্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।কর্ম জীবনের সর্বস্তরে মেধাদীপ্ত সাফল্যের স্বাক্ষর রাখেন। তার সর্বশেষ কর্মস্থল বিআরটিসি। বিআরটিসিতে যোগদানের পর তিনি প্রথমেই ফাইন্ড আউট করেন বিআরটিসি কেন একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠান, ভিতরে-বাহিরে এর সমস্যাগুলো কী কী। সমস্যা চিহ্নিত করে এগুলো কাটিয়ে উঠার উপায় সমূহ,পদক্ষেপগুলো কি কি হতে পারে তা নির্ধারন করেন এবং বিআরটিসির পুন্জিভূত দায় বা লোন সমূহ বিআরটিসিকে কীভাবে পশ্চাদে রেখেছে ও এটিও নির্ধারণ করেন। প্রনয়ণ করেন কি কি পরিকল্পনা গ্রহণ করলে প্রতিষ্ঠানটি অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাবে এবং সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জল হবে।এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমস্যাবলী চিহ্নিত করে তা দ্রূত সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এ বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে পারায় বিআরটিসির রেভিনিউর পরিমাণ অকল্পনীয়ভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের মিশন, ভিশন, রূপকল্প, অভিলক্ষ্য, কচও ইত্যাদি সামনে রেখে মিঃ তাজুল ইসলাম একটি যুগান্তকারী রোডম্যাপ তৈরীর সাথে একটি শক্তিশালী টীম তৈরী করে পথের সম্মুখে অগ্রসর হতে থাকেন। এই টীমওয়ার্কও তাকে সফলতার দ্বারপ্রন্তে পৌছতে সাহায্য করে।

এ বিষয়ে মিস্টার তাজুল ইসলাম জানান, “আমি চাকুরী জীবনে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকুরী করেছি। সর্ব জায়গায়ই আল্লাহর মেহেরবানীতে সফলতার স্বাক্ষর রাখতে স্বক্ষম হয়েছি। শেষ জীবনে একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠানের তকমা নিয়ে যাওয়াটা সারা জীবনের সব অর্জন বিসর্জনের নামান্তর। এ দৃষ্টি কোন থেকে আমার জীবনের সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করেছি বিআরটিসিকে ভালো কিছু উপহার দেয়ার জন্য। আর যা করেছি নিঃস্বার্থভাবে দেশাত্ববোধের জায়গা থেকে”।

সফলতার মহাসড়কে বিআরটিসিঃ
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সেবামূলক পরিবহন সংস্থা। অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম বিআরটিসির চেয়ারম্যান হিসেব যোগদানের সময় বিআরটিসি’র বহরে সচল বাসের সংখ্যা ছিল মাত্র ৯০০টি এবং ট্রাক ছিলো প্রায় ৫০০টি। যোগদানের পর তিনি বিআরটিসির পড়ে থাকা অচল ৩১০টি গাড়ি মেরামত করে চলাচল উপযোগী করে তোলেন। এতে বহরে বাসের সংখ্যা দাড়ায় ১২১০-এ। ১২০১টি গাড়িতেই VTS সংযুক্ত করেন। ৫০ টি গাড়িতে পরীক্ষনমূলক ভিডিও ক্যামেরা সংযোজন করেন। যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সেবার পাশাপাশি নগর পরিবহন, পর্যটক বাস সার্ভিস, মহিলা বাস সার্ভিস, স্কুল বাস সার্ভিস, বাণিজ্য মেলা, মেট্রোরেল শাটল বাস সার্ভিস, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শাটল বাস সার্ভিস ইত্যাদি নানামুখী সেবা প্রদানের মাধ্যমে বিআরটিসি প্রশংসনীয় ভ‚মিকা পালন করছে। বর্তমানে বিআরটিসি ২০৮টি স্থানীয় রুটে এবং ৫টি আর্ন্তজাতিক রুটে বাস সার্ভিস পরিচালিত হচ্ছে। যেকোনো সময়ের তুলনায় গত তিন বছরে বিআরটিসি’র কারিগরি সক্ষমতা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারনে মাত্র ২ দিনের মধ্যে ছাদখোলা বাস তৈরি করে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধণা দেওয়া সম্ভব হয়েছে, এতে বিআরটিসির স্বক্ষমতার স্বাক্ষর রেখেছে এবং সর্বমহলে বিআরটিসি প্রশংসিত হয়েছে ।

সারাদেশে বিআরটিসির ২২টি বাস ডিপো, ২টি ট্রাক ডিপো, ২টি যানবাহন মেরামত কারখানা, ৪টি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও ২০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে আসছে। গত তিন বছরে প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৪০টি ক্যাটাগরিতে ৯০৬ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। বিভিন্ন পদে ৬২৯জনকে পদোন্নতি এবং ১০১৭ জনকে চাকুরী স্থায়ীকরণ করা হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কল্যাণ তহবিল থেকে নিয়মিত অনুদান প্রদান করা হচ্ছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তিও প্রদান করা হচ্ছে।

বিআরটিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বকেয়া, সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি, ছুটি নগদায়নের দায়-দেনার পরিমাণ ২০২১ সালের প‚র্বে ছিলো ১০১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। ২০২১ সালের পর নিজস্ব আয় হতে প্রায় ৬৬ কোটি টাকা দায়-দেনা পরিশোধ করা হয়েছে। বর্তমানে বিআরটিসির সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা কর্পোরেশনের নিজস্ব আয় হতে প্রতি মাসের ১ তারিখে এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর গ্র্যাচুইটি, সিপিএফ ও ছুটি নগদায়নের টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে। বিআরটিসি’তে প্রথমবারের মত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ২৬৮৭ জনকে ৪.১৪ কোটি টাকা শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রদান করা হয়েছে।

বিআরটিসির মদনপুর, নরসিংদীী, মুক্তারপুর, মিরপুর, বরিশাল সহ কয়েকটি রুটের ড্রাইভারসহ কর্মচারীদের কাছে এ বিষয়ে ভিন্ন ভিন্নভাবে জানতে চাইলে অভিন্নভাবে তারা জানায় – বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম যোগদানের পর তারা চাকুরী স্বাচ্ছন্ধের সাথেই করছেন, গত তিন বছর মাসের ১ তারিখেই বেতন পান। আগে যেমন কবে বেতন পাওয়া যাবে সে চিন্তা থাকতো এখন আর তা ভাবতে হয় না। এ ছাড়া চাকুরী শেষে চাকুরী সুবিধা পেতে বছরের পর বছর ঘুড়তে হবে আপাতত এ চিন্তা মুক্ত রয়েছেন।

বিআরটিসির সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ইনহাউজ প্রশিক্ষণ, দক্ষ চালক ও কারিগর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিআরটিসি অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্প এর মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরীতে গুরুত্বপ‚র্ণ ভ‚মিকা রাখছে। ২০২২-২৩ সময়কালে ২৬,০৪৭ জনকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিসির মুখপাত্র মুবারক হোসেন বলেন, “প্রশিক্ষণ একটি প্রতিষ্ঠানের উন্নতির প্রান, চেয়ারম্যান স্যার তার চাকুরী জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে এ বিষয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করে বিআরটিসির প্রতিটি স্তরে প্রশিক্ষণ চালু করেন। বর্তমানে বিআরটিসি এর সফলতাও ভোগ করছে”।

প্রত্যেক ডিপো/ইউনিটে অনলাইন সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে সকল কার্যক্রম মনিটরিং এর আওতায় আনা হয়েছে। আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি, ওয়াই-ফাই সুবিধা, ই-টিকেটিং, ফ্লিট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারে ব্যবহারের মধ্য দিয়ে উন্নত পরিবহন সেবা দেয়া হচ্ছে। বর্তমান চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মাদ তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে যাচ্ছে বিআরটিসি।
উন্নয়ন ও অগ্রগতির এ ধারা অব্যাহত থাকলে বিআরটিসিকে পিছন ফিরে তাকাতে হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট অনেকে।

Please Share This Post in Your Social Media

উন্নয়নের মহাসড়কে বিআরটিসি

Update Time : ০৪:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) গত তিন বছরে লোকসানী প্রতিষ্ঠানের বদনাম থেকে বের হয়ে এখন লাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রাতিষ্ঠানিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিকসহ সবগুলো প্যারমিটারে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। এর হেড অফিস থেকে শুরু করে ডিপো কার্যালয়গুলো সজ্জিত করা হয়েছে দৃষ্টি নন্দনভাবে। এ সব কিছুর পরিবর্তন হয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি যোগদানের পর। তিনি প্রতিষ্ঠানটি সাজিয়েছেন একটি সর্বাধুনিক মানের কর্পোরেট অফিসের আদলে।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম বলেন, “একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করতে প্রয়োজন দক্ষ একজন সংগঠকের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী টিমওয়ার্ক, উদ্যোগ ও লক্ষ নির্ধারন। টীমওয়ার্ক, উদ্যোগ ও লক্ষ্য নির্ধারণ যতটা স্বচ্ছ ও প্রচ্ছন্ন হবে সে প্রতিষ্ঠানটি তত দ্রুত কাংখিত লক্ষ্যে পৌছতে স্বক্ষমতা অর্জন করে। সরকারী প্রত্যেকটা দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের রয়েছে ডায়নামিক কতিপয় Kay performance indicator (KPI) ।

এ KPI হলো উন্নয়নের মূল স্মারক। KPI অনুসরনে নিয়মতান্ত্রিক কার্যাবলী দক্ষতার সাথে সম্পাদিত হলে সে প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, লোকসান থাকতে পারে না। একজন দক্ষ, অভিজ্ঞ, যোগ্য সংগঠক যখন দেশাত্ববোধের জায়গা থেকে তার দৈনন্দিন কার্যাবলী সম্পাদন করতে থাকেন তখন সে প্রতিষ্ঠানটি উন্নতির চূড়ায় পৌঁছে খুব স্বল্পতম সময়ে। আমি সে কাজটি করার চেষ্টা করেছি। এতে শতভাগ সফলতাও পেয়েছি”।

বিআরটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) তাজুল ইসলাম প্রাতিষ্ঠানিক KPI অনুযায়ী নিরলসভাবে টীমওয়ার্ক করে মাত্র তিন বছরে বিআরটিসির মতো একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠানকে সফলতার প্রান্তে পৌছিয়ে একটি আইকনিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বিআরটিসি যে শুধু রেভিনিউ আয় করে লাভের জায়গায় এসেছে এমনই নয়। এ তিন বছরে প্রতিষ্ঠানটি প্রশাসনিক, প্রাতিষ্ঠানিক, অর্থনৈতিক সবগুলো প্যারমিটারে উচ্চতায় পৌছাতে স্বক্ষম হয়েছেন অবিশ্বাস্যভাবে। চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী টীমওয়ার্কে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও প্রশাসন থেকে প্রেষণে আসা কয়েকজন কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে বিআরটিসি চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, “বিআরটিসিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং প্রশাসন থেকে প্রেষণে আসা কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন যারা সবাই অত্যন্ত সৎ ও কর্মদক্ষ। এ সকল কর্মকর্তাদের যখন যে দায়ীত্ব অর্পণ করা হয়েছে তারা নিষ্ঠার সাথে অর্পিত দায়ীত্ব পালন করেছে। এছাড়া বিআরটিসির বিদ্যমান কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঐকান্তিক সহযোগীতায় মাত্র তিন বছরে বিআরটিসি কর্পোরেট কালচারে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘুরে দাড়াতে স্বক্ষম হয়েছে। আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও টীমওয়ার্কে সরকারেরও ভাবমূর্তি উজ্জল হয়েছে বহু গুন”।

মাত্র তিন বছরে কয়েক যুগের জঞ্জাল দূর করে একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করা খুব সহজ কাজ ছিলো না। দীর্ঘদিনের সুবিধাভোগী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের রোসানল, ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে বিআরটিসির বর্তমান প্রশাসনকে তাদের লক্ষ্য অনুযায়ী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হয়েছে। লক্ষ্যে পৌঁছতে হয়েছে।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান জানান, “বিআরটিসির উন্নয়নে ও প্রতিবন্ধকতা সমূহ দুরীকরণে ফলপ্রসু দিক নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি মহোদয় ও সার্বিক তত্ত্বাবধান করেছেন সচিব এ বি এম আমিনুল্লাহ নূরী মহোদয় ”।

এ ছাড়া বিআরটিসির পরিচালনা পর্ষদে রয়েছে একঝাঁক সফল পেশাজিবী ব্যক্তিত্ব। বিআরটিসির আজকের এ অগ্রযাত্রায় তাদের অবদানও অনস্বীকার্য। তাদের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা ও পরামর্শে বিআরটিসি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের দক্ষতা পূর্ণ নেতৃত্বে আজকের এই অবস্থানে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছে। বিআরটিসি লোকসানী তকমা থেকে বের হতে পেরেছে। আগামীর একটি সোনালী পথে হাটছে বিআরটিসি ।

বিআরটিসির অগ্রযাত্রার রোডম্যাপঃ
বিআরটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব, মোঃ তাজুল ইসলাম ১১তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সরকারি চাকুরীতে যোগদান করেন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন এর চেয়ারম্যান হিসেবে ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে যোগদান করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন মাঠপ্রশাসন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো এবং কৃষি মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে গুরুত্বপ‚র্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।কর্ম জীবনের সর্বস্তরে মেধাদীপ্ত সাফল্যের স্বাক্ষর রাখেন। তার সর্বশেষ কর্মস্থল বিআরটিসি। বিআরটিসিতে যোগদানের পর তিনি প্রথমেই ফাইন্ড আউট করেন বিআরটিসি কেন একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠান, ভিতরে-বাহিরে এর সমস্যাগুলো কী কী। সমস্যা চিহ্নিত করে এগুলো কাটিয়ে উঠার উপায় সমূহ,পদক্ষেপগুলো কি কি হতে পারে তা নির্ধারন করেন এবং বিআরটিসির পুন্জিভূত দায় বা লোন সমূহ বিআরটিসিকে কীভাবে পশ্চাদে রেখেছে ও এটিও নির্ধারণ করেন। প্রনয়ণ করেন কি কি পরিকল্পনা গ্রহণ করলে প্রতিষ্ঠানটি অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাবে এবং সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জল হবে।এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমস্যাবলী চিহ্নিত করে তা দ্রূত সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এ বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে পারায় বিআরটিসির রেভিনিউর পরিমাণ অকল্পনীয়ভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের মিশন, ভিশন, রূপকল্প, অভিলক্ষ্য, কচও ইত্যাদি সামনে রেখে মিঃ তাজুল ইসলাম একটি যুগান্তকারী রোডম্যাপ তৈরীর সাথে একটি শক্তিশালী টীম তৈরী করে পথের সম্মুখে অগ্রসর হতে থাকেন। এই টীমওয়ার্কও তাকে সফলতার দ্বারপ্রন্তে পৌছতে সাহায্য করে।

এ বিষয়ে মিস্টার তাজুল ইসলাম জানান, “আমি চাকুরী জীবনে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকুরী করেছি। সর্ব জায়গায়ই আল্লাহর মেহেরবানীতে সফলতার স্বাক্ষর রাখতে স্বক্ষম হয়েছি। শেষ জীবনে একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠানের তকমা নিয়ে যাওয়াটা সারা জীবনের সব অর্জন বিসর্জনের নামান্তর। এ দৃষ্টি কোন থেকে আমার জীবনের সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করেছি বিআরটিসিকে ভালো কিছু উপহার দেয়ার জন্য। আর যা করেছি নিঃস্বার্থভাবে দেশাত্ববোধের জায়গা থেকে”।

সফলতার মহাসড়কে বিআরটিসিঃ
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সেবামূলক পরিবহন সংস্থা। অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম বিআরটিসির চেয়ারম্যান হিসেব যোগদানের সময় বিআরটিসি’র বহরে সচল বাসের সংখ্যা ছিল মাত্র ৯০০টি এবং ট্রাক ছিলো প্রায় ৫০০টি। যোগদানের পর তিনি বিআরটিসির পড়ে থাকা অচল ৩১০টি গাড়ি মেরামত করে চলাচল উপযোগী করে তোলেন। এতে বহরে বাসের সংখ্যা দাড়ায় ১২১০-এ। ১২০১টি গাড়িতেই VTS সংযুক্ত করেন। ৫০ টি গাড়িতে পরীক্ষনমূলক ভিডিও ক্যামেরা সংযোজন করেন। যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সেবার পাশাপাশি নগর পরিবহন, পর্যটক বাস সার্ভিস, মহিলা বাস সার্ভিস, স্কুল বাস সার্ভিস, বাণিজ্য মেলা, মেট্রোরেল শাটল বাস সার্ভিস, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শাটল বাস সার্ভিস ইত্যাদি নানামুখী সেবা প্রদানের মাধ্যমে বিআরটিসি প্রশংসনীয় ভ‚মিকা পালন করছে। বর্তমানে বিআরটিসি ২০৮টি স্থানীয় রুটে এবং ৫টি আর্ন্তজাতিক রুটে বাস সার্ভিস পরিচালিত হচ্ছে। যেকোনো সময়ের তুলনায় গত তিন বছরে বিআরটিসি’র কারিগরি সক্ষমতা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারনে মাত্র ২ দিনের মধ্যে ছাদখোলা বাস তৈরি করে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধণা দেওয়া সম্ভব হয়েছে, এতে বিআরটিসির স্বক্ষমতার স্বাক্ষর রেখেছে এবং সর্বমহলে বিআরটিসি প্রশংসিত হয়েছে ।

সারাদেশে বিআরটিসির ২২টি বাস ডিপো, ২টি ট্রাক ডিপো, ২টি যানবাহন মেরামত কারখানা, ৪টি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও ২০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে আসছে। গত তিন বছরে প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৪০টি ক্যাটাগরিতে ৯০৬ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। বিভিন্ন পদে ৬২৯জনকে পদোন্নতি এবং ১০১৭ জনকে চাকুরী স্থায়ীকরণ করা হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কল্যাণ তহবিল থেকে নিয়মিত অনুদান প্রদান করা হচ্ছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তিও প্রদান করা হচ্ছে।

বিআরটিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বকেয়া, সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি, ছুটি নগদায়নের দায়-দেনার পরিমাণ ২০২১ সালের প‚র্বে ছিলো ১০১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। ২০২১ সালের পর নিজস্ব আয় হতে প্রায় ৬৬ কোটি টাকা দায়-দেনা পরিশোধ করা হয়েছে। বর্তমানে বিআরটিসির সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা কর্পোরেশনের নিজস্ব আয় হতে প্রতি মাসের ১ তারিখে এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর গ্র্যাচুইটি, সিপিএফ ও ছুটি নগদায়নের টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে। বিআরটিসি’তে প্রথমবারের মত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ২৬৮৭ জনকে ৪.১৪ কোটি টাকা শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রদান করা হয়েছে।

বিআরটিসির মদনপুর, নরসিংদীী, মুক্তারপুর, মিরপুর, বরিশাল সহ কয়েকটি রুটের ড্রাইভারসহ কর্মচারীদের কাছে এ বিষয়ে ভিন্ন ভিন্নভাবে জানতে চাইলে অভিন্নভাবে তারা জানায় – বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম যোগদানের পর তারা চাকুরী স্বাচ্ছন্ধের সাথেই করছেন, গত তিন বছর মাসের ১ তারিখেই বেতন পান। আগে যেমন কবে বেতন পাওয়া যাবে সে চিন্তা থাকতো এখন আর তা ভাবতে হয় না। এ ছাড়া চাকুরী শেষে চাকুরী সুবিধা পেতে বছরের পর বছর ঘুড়তে হবে আপাতত এ চিন্তা মুক্ত রয়েছেন।

বিআরটিসির সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ইনহাউজ প্রশিক্ষণ, দক্ষ চালক ও কারিগর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিআরটিসি অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্প এর মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরীতে গুরুত্বপ‚র্ণ ভ‚মিকা রাখছে। ২০২২-২৩ সময়কালে ২৬,০৪৭ জনকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিসির মুখপাত্র মুবারক হোসেন বলেন, “প্রশিক্ষণ একটি প্রতিষ্ঠানের উন্নতির প্রান, চেয়ারম্যান স্যার তার চাকুরী জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে এ বিষয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করে বিআরটিসির প্রতিটি স্তরে প্রশিক্ষণ চালু করেন। বর্তমানে বিআরটিসি এর সফলতাও ভোগ করছে”।

প্রত্যেক ডিপো/ইউনিটে অনলাইন সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে সকল কার্যক্রম মনিটরিং এর আওতায় আনা হয়েছে। আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি, ওয়াই-ফাই সুবিধা, ই-টিকেটিং, ফ্লিট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারে ব্যবহারের মধ্য দিয়ে উন্নত পরিবহন সেবা দেয়া হচ্ছে। বর্তমান চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মাদ তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে যাচ্ছে বিআরটিসি।
উন্নয়ন ও অগ্রগতির এ ধারা অব্যাহত থাকলে বিআরটিসিকে পিছন ফিরে তাকাতে হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট অনেকে।