ঢাকা ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪, ৪ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উদ্ভাবনের নতুন দিগন্তে বাংলালিংক

মোহাম্মদ মোশাররাফ হোছাইন খান
  • Update Time : ০৪:৫৭:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
  • / ২৭ Time View

উদ্ভাবনী টেলিযোগাযোগ সেবা সম্প্রসারণে বাংলাদেশে নতুন দিগন্ত উম্মোচন করছে বাংলালিংক। সেবা এবং নিত্য নতুন ফিচারে গ্রাহকদের মননে জায়গা করে নিয়েছে বাংলালিংক। দেশের দূর্যোগ, দূর্বিপাকে, বিনোদন, স্বাস্থ্য সেবা, অর্থ-বানিজ্য শিক্ষা ইত্যাদিতে গ্রাহক সেবায় সব সময় এগিয়ে রয়েছে বাংলালিংক।

গত দেড় যুগে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ফোর-জি নেটওয়ার্কে প্রায় সাড়ে চার কোটি গ্রাহকের আস্থার এক পরিবারে পরিণত হয়েছ বাংলালিংক। দেশব্যাপী প্রায় পনেরো হাজার টাওয়ারের মাধ্যমে নানামূখী সিএসআর কার্যক্রমের সাথে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুত গতির ফোর-জি সেবাদাতা টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক।

বাংলালিংকের সিইও এরিক অস বলেন, “প্রযুক্তি বিশ্বকে একীভূত করে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। গ্লোবালাইজেশনের এ সুফল ভোগ করছে অজপাড়া গাঁ থেকে মেগাসিটির সর্বাধুনিক নগর জীবনে। টেক দুনিয়ার অভূতপূর্ব, অপরিহার্য ও প্রয়োজনীয় সংযোজন মোবাইল টেকনোলজি। দৈনন্দিন জীবনে শিল্প, বানিজ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, চিকিৎসাসহ সকল ক্ষেত্রেই মোবাইল একটি অত্যাবশ্যকীয় অনুসঙ্গ। কী গরীব, কী ধনী, কী শিক্ষিত বা অশিক্ষিত, গ্রাম কিংবা শহর, গরীব বা ধনী মোবাইল ছাড়া সকলের আধুনিক জীবনই এখন অচল। প্রতিটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের গতি সঞ্চারের অন্যতম অনুসঙ্গ এই মুঠোফোন। প্রতিটি মূহুর্তে মোবাইল মানুষের নিত্যসঙ্গী। আধুনিক ও সভ্য জগতে মোবাইল ছাড়া জীবন অকল্পনীয়। বাংলাদেশের মানুষের প্রযুক্তি নির্ভর জীবনধারার গতিশীল ও ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে নিত্য নতুন উদ্ভাবনী ফিচার ও সেবা প্রদানের মাধ্যমে আগামীর পথে এগিয়ে চলছে বাংলালিংক”।

তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় দেরীতে হলেও বাংলাদেশে মোবাইল ফোন মানুষের জীবনযাত্রা ও অর্থনীতিতে উল্ল্যেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে। সুযোগ সৃষ্টি করছে ব্যাপক কর্মসংস্হানের, উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে অর্থনীতিতে, সেই সাথে বিশেষ ভূমিকা রাখছে সরকারের রাজস্ব খাতেও। এই শিল্পের ক্রমবর্ধমান বিকাশের সুবাধে লক্ষ লক্ষ মেধাবী বেকার, যুবক-যুবতী, শ্রমিক পেয়েছে সম্মানজনক জীবন, সমাজ জীবনে পেয়েছে আত্মমর্যাদা। বাংলাদেশে টেলিকম সেক্টরই সর্বাধুনিক ও নিত্য নতুন তথ্য প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও এর ব্যবহার সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে সর্বজনীনভাবে। বৈশ্বিক তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে টেলিকম সেবা খাতও দ্রুত বিকশিত হচ্ছে”।

তিনি বলেন, “এই ক্ষেত্রে বাংলালিংক সব সময়ই এগিয়ে থাকতে চায়। ডিজিটালাইজেশনের দিকে শক্তিশালী অবস্থান নিয়ে অপ্রতিরোধ্য গতিতে অগ্রসর হচ্ছে বাংলালিংক। একঝাঁক মেধাবীর সম্মিলনে ও তাদের নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে নিত্য নতুন উদ্ভাবনী শক্তিতে আরও সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে অপারেটরটি। কারণ বর্তমান প্রজন্ম প্রযুক্তির সাথে ডিজিটালাইজেশনের সর্বোচ্চ চূড়ায় আরোহন করতে চায়। এই প্রজন্মের অত্যাধুনিক চাহিদা পূরণে বাংলালিংকের মেধাবী ও উদ্ভাবনে পারদর্শী টিম কাজ করছে। গ্রাহকের চাহিদা পূরণই বাংলালিংকের মূল লক্ষ্য। সেই অনুসারে বাংলালিংক গ্রাহক পর্যায়ে এর সুফল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নিজেদের ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজি ‘ডিজিটাল অপারেটর ১৪৪০’ ঠিক করে দিনের প্রতিটি মিনিটে গ্রাহকদেরকে ডিজিটাল সেবা দিয়ে যাচ্ছে”।

এরিক অস আরও বলেন, বাংলালিংক দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয়তার সাথে সংগতি রেখে তথ্য প্রযুক্তি সেবাকে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, শিল্প, বানিজ্য, স্বাস্থ্যসেবা, আর্থিক লেনদেন, বিনোদন, কৃষিসহ সকল ক্ষেত্রেই তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে মেধাবৃত্তিক টিম নিয়ে কাজ করছে বাংলালিংক। এর জন্য হুয়াওয়ে, জেডটিই, সামিট কমিউনিকেশন, ডক টাইম,  বিকাশ, টেন মিনিট স্কুলসহ তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সেবা প্রদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে ইতোমধ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বাংলালিংক। দেশের এক নম্বর লাইফ স্টাইল অ্যাপ- মাইবিএল সুপারঅ্যাপ ও দেশের সবচেয়ে বড় বিনোদনের প্ল্যাটফর্ম টফি-এর মাধ্যমে গ্রাহকদের তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সকল উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করছে বাংলালিংক। এক্ষেত্রে দেশের দ্রুততম বাংলালিংক ফোর-জি সেবাকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণেও কাজ করছে বাংলালিংক”।

এছাড়াও তথ্য প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের তরুণদের আকৃষ্ট করতে ও নতুন উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে বাংলালিংক একগুচ্ছ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, বাংলালিংক ইনোভেটরস। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য যুগান্তকারী ডিজিটাল আইডিয়া তৈরির একটি প্ল্যাটফর্ম। প্রতিযোগিতার কাঠামোটি সাধারণ ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা থেকে আলাদাভাবে ডিজাইনে করা হয়েছে যার ফলে অংশগ্রহণকারীরা জীবনকে বদলে দেওয়ার মত অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারছে। দেশের সবচেয়ে বড় এই ডিজিটাল আইডিয়ার প্রতিযোগিতাটি ৭ম পর্ব অতিক্রম করেছে।

তথ্য প্রযুক্তিখাতে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে বাংলালিংক-এর উদ্যোগ ওমেনটর-প্রোগ্রাম ফর ওমেন ইন টেক। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া নারী শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ ও এই খাতে সফল নারীদের থেকে পরামর্শ লাভের সুযোগ করে দেয় এই প্রোগ্রাম। এই উদ্যোগটি এসডিজি-এর ৫ নম্বর লক্ষ্যমাত্রা, “লিঙ্গ সমতা অর্জন ও সকল নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন করা”-এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সর্বোপরি তথ্য প্রযুক্তির সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে সমৃদ্ধ ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যত নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলালিংক অঙ্গিকারাবদ্ধ।

বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, “উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক, দেশের দ্রুতগতির মোবাইল নেটওয়ার্ক-এর স্বীকৃতি হিসেবে ওকলা® স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড™ অর্জন করেছে। গত চার বছর ধরে নিয়মিতভাবে বাংলালিংক এই পুরস্কার পেয়ে আসছে। এই স্বীকৃতি বাংলালিংক-এর নির্ভরযোগ্য ও মানসম্মত নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানের দৃঢ় প্রতিশ্রুতিকে নির্দেশ করে।”

তিনি আরও বলেন, “দেশের দ্রুততম ইন্টারনেট প্রদানের মাধ্যমে বাংলালিংক তার গ্রাহককেন্দ্রিক নীতির প্রতি দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মানুষের আস্থাভাজন ও দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানের জন্য আমরা নেটওয়ার্ক অবকাঠামো সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহন করেছি, ইতোমধ্যে নেটওয়ার্ক-এর বিস্তৃতি দ্বিগুণ করা হয়েছে। বাংলালিংক দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেটের সেবার মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত করছে। এছাড়াও, বাংলালিংক টেলিকম সেক্টরে ইন্টারনেট সেবার উৎকর্ষ সাধনের ক্ষেত্রে একটি মানদণ্ড স্থাপন করেছে।”

এছাড়াও তাইমুর রহমান বলেন, “তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিষ্ঠার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব খাতেও গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে অপারেটরটি। অত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সময়ে ব্যবসার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাকে উৎসাহ দেয় বাংলালিংক, এই ধারাবাহিকতায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার অডিট আপত্তির ক্ষেত্রে একমাত্র টেলিকম অপারেটর হিসেবে বাংলালিংক মামলার চেয়ে গঠনমূলক আলোচনাকে প্রাধান্য দিয়ে তাদের মূল অডিটের পাওনা পরিশোধ করেছে। এটি প্রতিষ্ঠানটির স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে একটি মাইল ফলক। দেশের জন্য ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সমূহের জন্যও একটি দৃষ্টান্ত”।

বাংলালিংকের গ্রাহক নম্বর

তাদের জন্য বরাদ্দকৃত নাম্বার হচ্ছে (+৮৮)০১৯xxxxxxxx (+৮৮)০১৪০xxxxxxx

নেটওয়ার্ক বিস্তৃতি

সারাদেশে বাংলালিংকের ১৬,০০০ এর বেশি টাওয়ারের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

জাতীয় রোমিং কাভারেজ

জাতীয় রোমিংয়ের মাধ্যমে বাংলালিংকের গ্রাহকরা টেলিটক নেটওয়ার্ক এবং টেলিটক গ্রাহকরা বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারছেন। বাংলালিংক ও টেলিটক মোট ২০,৬০০ টি মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার ব্যবহারকরে গ্রাহকদের রোমিং সেবা প্রদান করার সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে। প্রাথমিকভাবে ২০০ টি স্থানে পরীক্ষামূলক ভাবে এই সেবা চালু করা হয়েছে। জুলাই ২০২৪ এ বাণিজ্যিকভাবে এই সেবা চালুর কথা বলা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক রোমিং কাভারেজ

বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশ বাংলালিংকের আন্তর্জাতিক রোমিং কাভারেজের আওতাধীন রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

উদ্ভাবনের নতুন দিগন্তে বাংলালিংক

Update Time : ০৪:৫৭:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

উদ্ভাবনী টেলিযোগাযোগ সেবা সম্প্রসারণে বাংলাদেশে নতুন দিগন্ত উম্মোচন করছে বাংলালিংক। সেবা এবং নিত্য নতুন ফিচারে গ্রাহকদের মননে জায়গা করে নিয়েছে বাংলালিংক। দেশের দূর্যোগ, দূর্বিপাকে, বিনোদন, স্বাস্থ্য সেবা, অর্থ-বানিজ্য শিক্ষা ইত্যাদিতে গ্রাহক সেবায় সব সময় এগিয়ে রয়েছে বাংলালিংক।

গত দেড় যুগে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ফোর-জি নেটওয়ার্কে প্রায় সাড়ে চার কোটি গ্রাহকের আস্থার এক পরিবারে পরিণত হয়েছ বাংলালিংক। দেশব্যাপী প্রায় পনেরো হাজার টাওয়ারের মাধ্যমে নানামূখী সিএসআর কার্যক্রমের সাথে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুত গতির ফোর-জি সেবাদাতা টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক।

বাংলালিংকের সিইও এরিক অস বলেন, “প্রযুক্তি বিশ্বকে একীভূত করে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। গ্লোবালাইজেশনের এ সুফল ভোগ করছে অজপাড়া গাঁ থেকে মেগাসিটির সর্বাধুনিক নগর জীবনে। টেক দুনিয়ার অভূতপূর্ব, অপরিহার্য ও প্রয়োজনীয় সংযোজন মোবাইল টেকনোলজি। দৈনন্দিন জীবনে শিল্প, বানিজ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, চিকিৎসাসহ সকল ক্ষেত্রেই মোবাইল একটি অত্যাবশ্যকীয় অনুসঙ্গ। কী গরীব, কী ধনী, কী শিক্ষিত বা অশিক্ষিত, গ্রাম কিংবা শহর, গরীব বা ধনী মোবাইল ছাড়া সকলের আধুনিক জীবনই এখন অচল। প্রতিটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের গতি সঞ্চারের অন্যতম অনুসঙ্গ এই মুঠোফোন। প্রতিটি মূহুর্তে মোবাইল মানুষের নিত্যসঙ্গী। আধুনিক ও সভ্য জগতে মোবাইল ছাড়া জীবন অকল্পনীয়। বাংলাদেশের মানুষের প্রযুক্তি নির্ভর জীবনধারার গতিশীল ও ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে নিত্য নতুন উদ্ভাবনী ফিচার ও সেবা প্রদানের মাধ্যমে আগামীর পথে এগিয়ে চলছে বাংলালিংক”।

তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় দেরীতে হলেও বাংলাদেশে মোবাইল ফোন মানুষের জীবনযাত্রা ও অর্থনীতিতে উল্ল্যেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে। সুযোগ সৃষ্টি করছে ব্যাপক কর্মসংস্হানের, উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে অর্থনীতিতে, সেই সাথে বিশেষ ভূমিকা রাখছে সরকারের রাজস্ব খাতেও। এই শিল্পের ক্রমবর্ধমান বিকাশের সুবাধে লক্ষ লক্ষ মেধাবী বেকার, যুবক-যুবতী, শ্রমিক পেয়েছে সম্মানজনক জীবন, সমাজ জীবনে পেয়েছে আত্মমর্যাদা। বাংলাদেশে টেলিকম সেক্টরই সর্বাধুনিক ও নিত্য নতুন তথ্য প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও এর ব্যবহার সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে সর্বজনীনভাবে। বৈশ্বিক তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে টেলিকম সেবা খাতও দ্রুত বিকশিত হচ্ছে”।

তিনি বলেন, “এই ক্ষেত্রে বাংলালিংক সব সময়ই এগিয়ে থাকতে চায়। ডিজিটালাইজেশনের দিকে শক্তিশালী অবস্থান নিয়ে অপ্রতিরোধ্য গতিতে অগ্রসর হচ্ছে বাংলালিংক। একঝাঁক মেধাবীর সম্মিলনে ও তাদের নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে নিত্য নতুন উদ্ভাবনী শক্তিতে আরও সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে অপারেটরটি। কারণ বর্তমান প্রজন্ম প্রযুক্তির সাথে ডিজিটালাইজেশনের সর্বোচ্চ চূড়ায় আরোহন করতে চায়। এই প্রজন্মের অত্যাধুনিক চাহিদা পূরণে বাংলালিংকের মেধাবী ও উদ্ভাবনে পারদর্শী টিম কাজ করছে। গ্রাহকের চাহিদা পূরণই বাংলালিংকের মূল লক্ষ্য। সেই অনুসারে বাংলালিংক গ্রাহক পর্যায়ে এর সুফল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নিজেদের ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজি ‘ডিজিটাল অপারেটর ১৪৪০’ ঠিক করে দিনের প্রতিটি মিনিটে গ্রাহকদেরকে ডিজিটাল সেবা দিয়ে যাচ্ছে”।

এরিক অস আরও বলেন, বাংলালিংক দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয়তার সাথে সংগতি রেখে তথ্য প্রযুক্তি সেবাকে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, শিল্প, বানিজ্য, স্বাস্থ্যসেবা, আর্থিক লেনদেন, বিনোদন, কৃষিসহ সকল ক্ষেত্রেই তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে মেধাবৃত্তিক টিম নিয়ে কাজ করছে বাংলালিংক। এর জন্য হুয়াওয়ে, জেডটিই, সামিট কমিউনিকেশন, ডক টাইম,  বিকাশ, টেন মিনিট স্কুলসহ তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সেবা প্রদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে ইতোমধ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বাংলালিংক। দেশের এক নম্বর লাইফ স্টাইল অ্যাপ- মাইবিএল সুপারঅ্যাপ ও দেশের সবচেয়ে বড় বিনোদনের প্ল্যাটফর্ম টফি-এর মাধ্যমে গ্রাহকদের তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সকল উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করছে বাংলালিংক। এক্ষেত্রে দেশের দ্রুততম বাংলালিংক ফোর-জি সেবাকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণেও কাজ করছে বাংলালিংক”।

এছাড়াও তথ্য প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের তরুণদের আকৃষ্ট করতে ও নতুন উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে বাংলালিংক একগুচ্ছ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, বাংলালিংক ইনোভেটরস। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য যুগান্তকারী ডিজিটাল আইডিয়া তৈরির একটি প্ল্যাটফর্ম। প্রতিযোগিতার কাঠামোটি সাধারণ ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা থেকে আলাদাভাবে ডিজাইনে করা হয়েছে যার ফলে অংশগ্রহণকারীরা জীবনকে বদলে দেওয়ার মত অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারছে। দেশের সবচেয়ে বড় এই ডিজিটাল আইডিয়ার প্রতিযোগিতাটি ৭ম পর্ব অতিক্রম করেছে।

তথ্য প্রযুক্তিখাতে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে বাংলালিংক-এর উদ্যোগ ওমেনটর-প্রোগ্রাম ফর ওমেন ইন টেক। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া নারী শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ ও এই খাতে সফল নারীদের থেকে পরামর্শ লাভের সুযোগ করে দেয় এই প্রোগ্রাম। এই উদ্যোগটি এসডিজি-এর ৫ নম্বর লক্ষ্যমাত্রা, “লিঙ্গ সমতা অর্জন ও সকল নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন করা”-এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সর্বোপরি তথ্য প্রযুক্তির সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে সমৃদ্ধ ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যত নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলালিংক অঙ্গিকারাবদ্ধ।

বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, “উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক, দেশের দ্রুতগতির মোবাইল নেটওয়ার্ক-এর স্বীকৃতি হিসেবে ওকলা® স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড™ অর্জন করেছে। গত চার বছর ধরে নিয়মিতভাবে বাংলালিংক এই পুরস্কার পেয়ে আসছে। এই স্বীকৃতি বাংলালিংক-এর নির্ভরযোগ্য ও মানসম্মত নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানের দৃঢ় প্রতিশ্রুতিকে নির্দেশ করে।”

তিনি আরও বলেন, “দেশের দ্রুততম ইন্টারনেট প্রদানের মাধ্যমে বাংলালিংক তার গ্রাহককেন্দ্রিক নীতির প্রতি দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মানুষের আস্থাভাজন ও দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানের জন্য আমরা নেটওয়ার্ক অবকাঠামো সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহন করেছি, ইতোমধ্যে নেটওয়ার্ক-এর বিস্তৃতি দ্বিগুণ করা হয়েছে। বাংলালিংক দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেটের সেবার মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত করছে। এছাড়াও, বাংলালিংক টেলিকম সেক্টরে ইন্টারনেট সেবার উৎকর্ষ সাধনের ক্ষেত্রে একটি মানদণ্ড স্থাপন করেছে।”

এছাড়াও তাইমুর রহমান বলেন, “তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিষ্ঠার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব খাতেও গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে অপারেটরটি। অত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সময়ে ব্যবসার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাকে উৎসাহ দেয় বাংলালিংক, এই ধারাবাহিকতায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার অডিট আপত্তির ক্ষেত্রে একমাত্র টেলিকম অপারেটর হিসেবে বাংলালিংক মামলার চেয়ে গঠনমূলক আলোচনাকে প্রাধান্য দিয়ে তাদের মূল অডিটের পাওনা পরিশোধ করেছে। এটি প্রতিষ্ঠানটির স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে একটি মাইল ফলক। দেশের জন্য ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সমূহের জন্যও একটি দৃষ্টান্ত”।

বাংলালিংকের গ্রাহক নম্বর

তাদের জন্য বরাদ্দকৃত নাম্বার হচ্ছে (+৮৮)০১৯xxxxxxxx (+৮৮)০১৪০xxxxxxx

নেটওয়ার্ক বিস্তৃতি

সারাদেশে বাংলালিংকের ১৬,০০০ এর বেশি টাওয়ারের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

জাতীয় রোমিং কাভারেজ

জাতীয় রোমিংয়ের মাধ্যমে বাংলালিংকের গ্রাহকরা টেলিটক নেটওয়ার্ক এবং টেলিটক গ্রাহকরা বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারছেন। বাংলালিংক ও টেলিটক মোট ২০,৬০০ টি মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার ব্যবহারকরে গ্রাহকদের রোমিং সেবা প্রদান করার সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে। প্রাথমিকভাবে ২০০ টি স্থানে পরীক্ষামূলক ভাবে এই সেবা চালু করা হয়েছে। জুলাই ২০২৪ এ বাণিজ্যিকভাবে এই সেবা চালুর কথা বলা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক রোমিং কাভারেজ

বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশ বাংলালিংকের আন্তর্জাতিক রোমিং কাভারেজের আওতাধীন রয়েছে।