উখিয়ায় মাত্র ৫ গন্ডা জমির জন্য প্রান গেলো ৩ জনের

- Update Time : ০৮:৫৬:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
- / ১৮ Time View
উখিয়ায় উপজেলায় চাচাতো ভাই-বোনদের মধ্যে মাত্র ৫ গন্ডা জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় এক মহিলা সহ ৩জন নিহত হয়েছে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টারদিকে উপজেলার কুতুপালং পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন,উখিয়ার কুতুপালং বাজার জামে মসজিদের খতিব আব্দুল্লাহ আল মামুন(৩৬)।সে নাজির হোসেনের ছেলে।অপর নিহত আব্দুল মান্নান(৩৪) এবং শাহিনা বেগম(৩৮)। তারা দুজনই আপন সহোদর ভাইবোন। এই দুইজন মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুনের জেঠাত ভাই এবং মোহাম্মদ হোসেন মাতু’র ছেলে ও মেয়ে।এ ঘটনায় আরো ৩ জন আহত হয়েছে।
ধারালো কুড়াল, দা, ছুরিকাঘাতে এমন মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা গেছে,নাজির হোসেনের ছেলের সাথে মোহাম্মদ হোসেন মাতুর ছেলে আবদুল মান্নানের মধ্যে এক খন্ড জমি বিক্রি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।ওই জমির মালিক ছিল আবদুল মানান।
ওই জমি নাজির হোসেনের ছেলেদের বিক্রি করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চাপ সৃষ্টি করে আসছিল।কিন্তু জমিটি প্রতিবেশী মুরগী ব্যবসায়ী সরওয়ার’কে চড়া মুল্যে বিক্রি করে দেন আব্দুল মান্নান।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাজির হোসেনের ছেলে সালাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে আবদুল মান্নানের উপর হামলা করে।
ভাইকে রক্ষা করতে গিয়ে সালাহ উদ্দিনের কুড়ালের আঘাতে ঘটনাস্থলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আবদুল মান্নানের বোন শাহিনা বেগম।পরে দুইপক্ষের মধ্যে তুমুল মারামারিতে দুইপক্ষের ৩ জন নিহত হন।আহত হন আরো ৪/৫ জন।এতে গুরুতর আহত পিংকি আক্তার ও আবদুল হামিদের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে।
উখিয়ার রাজাপালং ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, জমির বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।এতে হাসপাতালে ৩জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা সবাই আপন চাচাতো-জেঠাতো ভাই-বোন। এর মধ্যে আবদুল্লাহ আল মামুন স্থানীয় জামায়াত নেতা ও কুতুপালং বাজার জামে মসজিদের খতিব।সকালে বাড়ি-ভিটির সীমানা দেওয়াল নির্মাণ’কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।দুইপক্ষের লোকজনের মধ্যে এলোপাতাড়ি কোপাকুপিতে গুরুতর কাটা জখম হন অন্তত ৬ জন।তাদের’কে উদ্ধার করে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতাল ও উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ৩জনের মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় আহতরা হলেন,মোহাম্মদ হোসেন মাতুর কন্যা পিংকি আক্তার, নাজির হোসেনের ছেলে আবদুল হামিদ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উখিয়া থানা পুলিশের একটি দল যান।তারা লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করত: ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠান।
উখিয়া থানার ওসি আরিফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। আসামী ধরতে পুলিশী অভিযান চলছে।এ রিপোর্ট লেখাকালিন সময় পর্যন্ত মামলা দায়ের এবং কয়জন গ্রেফতার হয়েছে তা জানা যায় নি।তবে পরে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ওসি।