ঢাকা ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করছে অস্ট্রেলিয়া

Reporter Name
  • Update Time : ০২:৫০:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩
  • / ২৭১ Time View

বিনোদনমূলক ই-সিগারেট বা ভ্যাপিং নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির তরুণ প্রজেন্মের মধ্যে ব্যাপকহারে ভ্যাপের আসক্তি বেড়ে যাওয়ায় এই অবস্থাকে ‘মহামারি’ বলে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এমতাবস্থায় অস্ট্রেলিয়ার ফার্মেসিগুলোতে ভ্যাপ বিক্রি নিষিদ্ধ করার চিন্তা-ভাবনা করছে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ সরকার। খবর বিবিসির।

ই-সিগারেট মূলত এক ধরণের নিকোটিনযুক্ত তরল; যাতে তাপ দিয়ে ধোয়া সৃষ্টি করা হয়। সাধারণত ধুমপায়ীদের ধুমপান ছাড়াতে সিগারেটের বিকল্প হিসেবে ভ্যাপের ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতে ভ্যাপ বিনোদনমূলক পণ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে দেশটির তরুণ-তরুণীরা এর প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্ক বাটলার জানিয়েছেন, ভ্যাপিংয়ের মধ্য দিয়ে দেশটির তরুণ প্রজন্মরা নিকোটিনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। মঙ্গলবার (২ মে) এক ঘোষণায় বাটলার বলেন, তামাকেরই অন্য আরেকরুপ ভ্যাপ।একে চকচকে মোড়কে মুড়িয়ে মিষ্টি স্বাদ যুক্ত করে ভ্যাপ নাম দেয়া হয়েছে। এ কারণেই তরুণ-তরুণীরা এর প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ই সিগারেটও ঝুঁকিমুক্ত নয়। এতে বিভিন্ন ধরণের কেমিক্যাল রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সেবন করলে নানারকম স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ার ১৪-১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রতি ৬ জন এবং ১৮-২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৪ জন ভ্যাপিংয়ে আসক্ত।

ভ্যাপ নিষিদ্ধ করার পেছনে অস্ট্রেলিয়া সরকারের যুক্তি হচ্ছে, পণ্যটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, এটি তরুণদের মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এমন অনেক তরুণ ভ্যাপ গ্রহণ করছেন যাদের অতীতে ধূমপানের অভ্যাস ছিল না।

এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ায় ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে প্রতি ছয়জনে একজন ভ্যাপ গ্রহণ করে। ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে এই অনুপাত প্রতি চারজনে একজন।

Please Share This Post in Your Social Media

ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করছে অস্ট্রেলিয়া

Update Time : ০২:৫০:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩

বিনোদনমূলক ই-সিগারেট বা ভ্যাপিং নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির তরুণ প্রজেন্মের মধ্যে ব্যাপকহারে ভ্যাপের আসক্তি বেড়ে যাওয়ায় এই অবস্থাকে ‘মহামারি’ বলে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এমতাবস্থায় অস্ট্রেলিয়ার ফার্মেসিগুলোতে ভ্যাপ বিক্রি নিষিদ্ধ করার চিন্তা-ভাবনা করছে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ সরকার। খবর বিবিসির।

ই-সিগারেট মূলত এক ধরণের নিকোটিনযুক্ত তরল; যাতে তাপ দিয়ে ধোয়া সৃষ্টি করা হয়। সাধারণত ধুমপায়ীদের ধুমপান ছাড়াতে সিগারেটের বিকল্প হিসেবে ভ্যাপের ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতে ভ্যাপ বিনোদনমূলক পণ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে দেশটির তরুণ-তরুণীরা এর প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্ক বাটলার জানিয়েছেন, ভ্যাপিংয়ের মধ্য দিয়ে দেশটির তরুণ প্রজন্মরা নিকোটিনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। মঙ্গলবার (২ মে) এক ঘোষণায় বাটলার বলেন, তামাকেরই অন্য আরেকরুপ ভ্যাপ।একে চকচকে মোড়কে মুড়িয়ে মিষ্টি স্বাদ যুক্ত করে ভ্যাপ নাম দেয়া হয়েছে। এ কারণেই তরুণ-তরুণীরা এর প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ই সিগারেটও ঝুঁকিমুক্ত নয়। এতে বিভিন্ন ধরণের কেমিক্যাল রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সেবন করলে নানারকম স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ার ১৪-১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রতি ৬ জন এবং ১৮-২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৪ জন ভ্যাপিংয়ে আসক্ত।

ভ্যাপ নিষিদ্ধ করার পেছনে অস্ট্রেলিয়া সরকারের যুক্তি হচ্ছে, পণ্যটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, এটি তরুণদের মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এমন অনেক তরুণ ভ্যাপ গ্রহণ করছেন যাদের অতীতে ধূমপানের অভ্যাস ছিল না।

এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ায় ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে প্রতি ছয়জনে একজন ভ্যাপ গ্রহণ করে। ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে এই অনুপাত প্রতি চারজনে একজন।